মঙ্গলবার ● ৫ মে ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » হালদায় অল্প পরিসরে নমুনা ডিম ছাড়ছে মা মাছ
হালদায় অল্প পরিসরে নমুনা ডিম ছাড়ছে মা মাছ
স্টাফ রিপোর্টার :: দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম নদী হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছাড়ছে মা মাছ। তবে এখন ডিম সম্ভাবা মা মাছ ডিম দেয়ার প্রহর গুনছে। অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি হলে যেকোনো সময় মাছ ডিম দিতে পারে এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে নদীর দুই পাড়ের শতশত ডিম সংগ্রহকারীরা। গতকাল ৪ মে সোমবার দুপুরে হালদার কয়েকটি অবস্থান পরিদর্শন করে দেখা গেছে নদীর কিনারায় নৌকা নোঙ্গর করে দলে দলে মৎস্যজীবরা জাল ফেলার অপেক্ষা করছে। তবে অন্যদিকে সরকারি নিষেধজ্ঞা অমান্য করে নদীতে বালুবাহী যান্ত্রিক বোর্ড চলাচল করার দৃশ্য দেখা গিয়েছে। হাদীতে অপেক্ষা করতে তাঁকা কয়েকজন ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে কথা বলে তাঁরা জানান গত রবিবার রাতে নদীতে জাল ফেললে অল্প পরিমান ডিম জালে দেখা গেছে।
পরিদর্শন কালে দেখা যায় ডিম সংগ্রহকারীদের ব্যাপক প্রস্তুতির নিয়ে নদীর দুই পাশে অপেক্ষা করছে। এছাড়াও মৎস্যজীবিদের কেউ ডিম থেকে পোনা রূপান্তরে জন্য তৈরী করা মাটির কুয়া পরিষ্কার করছে, কেউবা নদীতে নৌকা নোঙ্গর করে পাড়ে বসে নদীতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে।
রাউজানের আজিমের ঘাটের মৎস্যজীবি রোসাঙ্গীর আলম বলেছেন, ডিম দেয়ার এই ভরা মৌসুমেও মাছ চোরেরা নদীতে তৎপর আছে। গত ৩ এপ্রিল রবিবার রাতেও আইডিএফ এর স্বেচ্ছাসেবীরা নদী থেকে ৮টি জাল আটক করে হাটহাজারী মৎস্য বিভাগের হাতে হস্থান্তর করেছে। সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, নিষেধজ্ঞা থাকার পরও
নদীতে বালুবাহী যান্ত্রিক বোর্ড চলাচল করছে।
রাউজান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পীযুষ প্রভাকর এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার রাউজানের ৭২টি নৌকা নিয়ে ১৭৭ জন মৎস্যজীবি ডিম সংগ্রহ করার প্রস্তুতি নিয়ে আছে। তাদের সংগৃহীত ডিম থেকে পোনায় রূপান্তরের জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৬৮টি মাটি কুয়া তৈরী করেছেন মৎস্যজীবিরা। সরকারি ভাবে পোনা তৈরীতে প্রস্তুতি রাখা হয়েছে রাউজানের অংকুরীঘোনা মৎস্যবিভাগের হ্যাচারীটি। তার ধারণা আগামী পূর্ণিমার তিথিতে মা মাছ ডিম দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।