শুক্রবার ● ৮ মে ২০২০
প্রথম পাতা » কুষ্টিয়া » কুষ্টিয়াতে ছাত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে ধ্রুমজালের সৃষ্টি : পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা
কুষ্টিয়াতে ছাত্রীর আত্মহত্যা নিয়ে ধ্রুমজালের সৃষ্টি : পরিবারের দাবী পরিকল্পিত হত্যা
শামসুল আলম স্বপন, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :: কুষ্টিয়া কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের মালিথা পাড়ায় জয়া (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এলাকায় চলছে বিভিন্ন কানাঘোষা। কেউ বলছে হত্যা, আবার কেউ বলছে আত্মহত্যা। গত বুধবার ৬মে সকালে নিজ বাড়ির পিছনের আমগাছ থেকে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে কয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী ও মালিথা পাড়ার জিয়ার মেয়ে। তবে স্কুল ছাত্রী জয়াকে কেউ হত্যা করেছে না সে নিজেই আত্মহত্যা করেছে তা নিয়ে চলছে নানান গুঞ্জন। তবে ধারনা করা হচ্ছে প্রেম ঘটিত বিষয়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আত্মহত্যার পরিবেশ ও পারিপাশ্বিকতা দেখে সন্দেহ দেখা দিয়েছে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে। এলাকাবাসী জানায়, একই এলাকার জসিম মালিথার ছেলে লিমন মালিথার সাথে জিয়ার সপ্তম শ্রেনীতে পড়ুয়া মেয়ে জয়ার প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো। কিছুদিন আগেই মেয়ের পরিবার ঐ ছেলে সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ফলে, বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে হঠাৎ এই আত্মহত্যার। তবে লাশের পাশেই জয়ার ব্যবহৃত পোষাকের ব্যাগ ও আত্মহত্যার সময় জয়ার পায়ে স্যান্ডেল পরিহিত অবস্থা থাকায় নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে এ আত্মহত্যার ঘটনায়।
জয়া’র বাবা জানান, তার মেয়ে জয়া’র সাথে লিমনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। আজ গভীর রাতে তার মেয়েকে লিমন ডেকে নিয়ে গিয়ে মেরে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে। তিনি আরো বলেন, রাত ১ টার দিকে মেয়েকে ঘরে দেখতে না পেয়ে লিমনের বাড়িতে খুঁজতে গিয়ে দেখি লিমন বাড়িতে আমার মেয়ে নাই। সে সময় লিমন তার ঘরে প্যান্ট-শার্ট পরিহিত অবস্থায় কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলো । মেয়ে কোথায় জিজ্ঞেস করলে তারা জানেনা বলে জানায়। পরবর্তীতে খোঁজাখুঁজি করে জয়াকে না পেয়ে ভোর রাতে পাশের বাড়ির পিছনে আম গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। আমি ও আমার মনে করি, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষন করে হত্যা করা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে ফাসির দাবী জানায়।
অপরদিকে লিমনের বাবা জসিম মালিথা জানায়, গভীর রাতে মেয়ের বাবা সহ কয়েকজন আমার বাড়িতে জয়া ও লিমনকে খুঁজতে আসে। সে সময় লিমন তার ঘরে শুয়ে ছিলো। তিনি আরো জানান, ছেলে মেয়ের সম্পর্কের জানতে পেয়ে প্রায় ৭/৮ মাস আগেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলাম।হয়তো বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় জয়া আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মজিবুর রহমান জানান, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। এদিকে হত্যা না আত্মহত্যা? এ নিয়ে এলাকায় ধ্র“মজালের সৃষ্টি হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর দাবী অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক।