শুক্রবার ● ১৫ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাইসছড়িতে পুকুর খননের কারণে ঝুঁকির মুখে ২০ পরিবার
মাইসছড়িতে পুকুর খননের কারণে ঝুঁকির মুখে ২০ পরিবার
আব্দুল্লাহ আল মামুম, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি ইউনিয়নের মানিকছড়ি মুসলিম পাড়ায় প্রতিবেশী কর্তৃক পুকুর খনন করায় অন্তত ২০ পরিবার ঝুঁকির মুখে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ২৯ এপ্রিল-২০২০ তারিখ সুরাহা চেয়ে জোন অধিনায়ক, মহালছড়ি জোন সদর বরাবর একটি আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, একই এলাকার মো. গোলাম নবীর ছেলে মো. জাহিদুল, মো. সালমান শাহ গং বসতবাড়ির সীমানা ঘেঁষে পুকুর খনন করায় কয়েকটি বসতবাড়ির ৩/৪ হাত করে জায়গার মাটি ভেঙ্গে পুকুরে চলে গিয়েছে। এতে করে পুকুর ঘেষা পরিবারগুলি তাদের বসতবাড়ি ঝুঁকির মুখে পড়ায় উদ্বিগ্ন রয়েছে।
বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে বলা আছে, সেতু, কালভার্ট, সড়ক-মহাসড়ক, রেলপথসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু ও মাটি উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু এখানে দেখা গেছে, অপরিকল্পিতভাবে পুকুর খনন করায় বিশেষ করে পুকুর সংলগ্ন বসতবাড়ির জন্য ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মহালছড়ি জোন সদর থেকে সরেজমিনে পুকুর পরিদর্শন করা হয়েছে। পুকুরের পাড় ধ্বসে বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় পুকুর খনন কারিদের উভয় দিকে পাড় বেঁধে দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সালমান শাহ”র সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, লকডাউন এর কারণে পুকুরের পাড় বেঁধে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা সকল প্রতিবেশীরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে চাই। অচিরেই পুকুরের পাড় বেঁধে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শ করোনা ভাইরাস সংকটের মধ্যে বাড়ির আশে-পাশে কোন জমিই ফাকা রাখা যাবে না।
এই সব অপকর্ম কারীরা বর্তমান সরকারি দলের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ধানী জমিতে পুকুর খনন করছে।
এই বিষয়ে মাইসছড়ি এলাকার কিছু সচেতন মহল, বসতবাড়ি ও ছোট ছোট শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকি রোধে প্রশাসনের নিকট পুকুর খনন কাজ বন্ধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।