শনিবার ● ১৬ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা নেই, দোকানে-দোকানে উপচে পড়া ভীড়
স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা নেই, দোকানে-দোকানে উপচে পড়া ভীড়
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: করোনার কারণে বন্ধ ছিল দোকান-পাট, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। গত ১০ মে থেকে সীমিত আকারে সারাদেশের ন্যায় ঝিনাইদহেও শপিংমল, বিপনী বিতাণ খুলে দেয়া হয়। ঘোষনা দেওয়ার পর থেকেই জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেঁচা-কেনা করছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। এতে করোনার সংক্রমের ঝুঁকি দিন দিন বাড়ছে। জানা যায়, গত ১০ মে থেকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ঘোষনা দেওয়া হয়। কিন্তু ৮ মে থেকে ঝিনাইদহে শুরু হয় বেঁচা-কেনা। সীমিত আকারে বলা হলেও পুরোদমে খুলতে শুরু করে দোকান পাট। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের কেপি বসু সড়ক, মসজিদ মার্কেট, মুন্সী মার্কেটের দোকানগুলোতে পোশাক কিনতে ভীড় করছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য বিধি না মেনে বেঁচা-কেনা করছে তারা। সামাজিক দুরত্ব না মেনে দোকানে পাশা-পাশি বসে পোশাক কিনছেন ক্রেতারা। অনেক দোকানে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস পরছেন না ক্রেতারা।শহরের কেপি বসু সড়কে পোশাক কিনতে আসা কুরবান আলী বলেন, দীর্ঘদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় জরুরী অনেক কিছুই কিনতে পারেন নি। এ কারণে বাধ্য হয়ে শহরের এসেছেন নিজের ব্যবহারি এবং দোকানের কিছু মালামাল কিনতে। আরাপপুর থেকে আসা শাহিন আলম বলেন, আর কদিন পরেই ঈদ। বুঝতে পারছি মার্কেটে আসা স্বাস্থ্যের বিপদজনক। কিছু তো করার নেই। হলিধানী গ্রামের জহুরা বেগম বলেন বাচ্চাদের কেনাকাটার জন্য মার্কেটে এসেছি। বাচ্চাদের কে বোঝানো খুব কষ্টের। বাচ্চারা করোনা বোঝে না। তাদের ঈদের নতুন জামা কাপড় চাই। তাই বাধ্য হয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি। খুব ভয় পাচ্ছি মার্কেটের যে পরিস্থিতি খুব ভিড়। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ও করোনা সেলের মূখপাত্র ডা : প্রসেনজিৎ বিশ্বাস পার্থ বলেন, সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে দোকানে কেনা-বেঁচা করলে করোনার সংক্রমনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। দোকানগুলোতে যদি স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা হয় তাহলে কিছুটা হলেও বাঁচা সম্ভব। ঝিনাইদহ দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম মন্টু বলেন, গত বছর ৬ হাজার ব্যবসায়ী প্রায় ৫০ কোটি টাকার ব্যবসায় করেছেন। এ বছর করোনার কারণে বেচা-বিক্রি কম। ১০ তারিখ থেকে আজ পর্যন্ত যা বিক্রি হয়েছে তাতে ব্যবসায়ীরা কিছুটা হলেও লাভ করেছেন। এখন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ করলেও আমাদের কোন বাঁধা থাকবে না।
কৃষকের ধান কেটে দিল কুতুবপুর ইউপি যুবলীগ
ঝিনাইদহ :: মহামারি করোনা ভাইরাসে দেশে যখন চরম শ্রমিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে ঠিই সেই মুহুর্ত থেকেই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের যুবলীগ সর্বদা অসহায় কৃষকদের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে ইউনিয়ন জুড়েই যুবলীগের সমস্ত সদস্যরা মাঠের পর মাঠ ঘুরে ঘুরে খুঁজে খুঁজে কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ই মে শনিবার ২০২০ ইং তারিখে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়নের জীবনা গ্রামের অসহায় কৃষক মুঙলা খাঁ’র তিন বিঘা জমির ধান কেটে দিল ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ। শনিবার সকালে জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোর্য়াদ্দার এর নেতৃত্বে¡ ধান কাটায় অংশ গ্রহন করেন জেলা যুবলীগের সদস্য মোঃ মাসুম, সদর উপজেলার ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি মোঃ মিলন আলী বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রিঙ্কু, ইউনিয়ন যুবলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সোহাগ মিয়া, ইউনিয়ন অর্থ বিষয়ক সম্পাদক কদর আলী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মিস্টার আলী সহ যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। যুবলীগ সহ সভাপতি মিলন আলী বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, জীবনা গ্রামের কৃষক মুঙলা খাঁ’র জমির ধান পেকে গেছে কিন্তু তিনি শ্রমিকের অভাবে জমির ধান কাটতে পারছিলোনা। বিষয়টি তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোর্য়াদ্দারকে জানালে তার নেতৃত্বে সাথে সাথে শনিবার চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ সভাপতি মোঃ মিলন আলী বিশ্বাস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রিঙ্কুর সহযোগিতায় জীবনা গ্রামের মাঠে মুঙলা খাঁ’র তিন বিঘা জমির ধান কেটে দেন। ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের এই মানবিক কর্মকান্ডের জন্য তাদেরকে এলাকাবাসি ও মুঙলা খাঁ’র পরিবার অশেষ ধন্যবাদ জানান। যুবলীগ সহ সভাপতি মিলন আলী বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে জনজীবন স্থবির। মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। প্রতি বছর যে পরিমাণ ধান কাটার শ্রমিক বাহিরের জেলা থেকে আসতো এবার তুলনামূলক অনেক কম। শ্রমিক সংকটের কারণে কৃষকরা দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন। অপরদিকে মাঝে মধ্যে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে। অসহায় কৃষকদের কষ্টের ফসল ঘরে তুলে দিতে আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছি। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে মহামারি দুর্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কড়া নির্দেশ রয়েছে। এজন্য আমরা সদর উপজেলার ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কৃষকের পাশে থেকে ধান কেটে তাদের ঘরে তুলে দিচ্ছি। মিলন আলী বিশ্বাস জানান, মহামারি করোনায় যত দিন শ্রমিক সঙ্কট থাকবে, ততদিনই ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়নের ১৯টি গ্রামের সাধারন মানুষের কল্যাণে আমাদের অর্থ্যাৎ ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মহামারি করোনা ভাইরাসে শ্রমিক সঙ্কটে যুবলীগ নেতা নঈম হাসান জোর্য়াদ্দার এর পরামর্শক্রমে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের যুবলীগ সর্বদা অসহায় কৃষকদের সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে ইউনিয়নের বিভিন্নস্থানে অসহায় ও গরীব কৃষকের ধান কাটা হচ্ছে এবং কৃষকের ধান কাটা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ৩নং কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগ কৃষকের পাশে আছে ও থাকবে বলে জানান সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রিঙ্কু। এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোর্য়াদ্দার সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় যেসব কৃষক শ্রমিক পাচ্ছেন না তাদের ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়ার কার্যক্রম শুরু করেছি। আমাদের এই কার্যক্রম সর্বদা অব্যাহত থাকবে।
মহেশপুরে গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের মহেশপুরের বদ্দিপুর গ্রামে রতি খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। শনিবার সকালে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত রতœা খাতুন ওই গ্রামের রমজান আলির স্ত্রী। মহেশপুরের যাদবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এ বি এম শাহিদুল ইসলাম জানান, রাতে দেড় বছরের সন্তান নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিল সে। মাঝরাতে কে বা কারা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। তার আত্মচিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তার মৃত্যু হয়। মহেশপুর থানার ওসি মুর্শেদ হোসেন খান বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন। তবে কি কারনে এ হত্যাকান্ড তা জানতে পারেনি তিনি। উল্লেখ্য, নিহতের স্বামী রমজান আলী একটি মামলায় জেলহাজতে আছে।
হরিণাকুন্ডুতে পাওনা টাকা চাওয়ায় হাত পিটিয়ে ভেঙে দিল দূর্বত্তরা
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার জোড়াদহ ইউনিয়নের ভেড়াখালী গ্রামে পাওনা টাকা চাওয়ায় সোহেল নামে এক যুবককে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে দুর্বত্তরা। আহত যুবক ওই গ্রামের আনজের আলীর ছেলে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে আহত ওই যুবক বাদী হয়ে একই গ্রামের নাসির, ফজলুর রহমান সহ ৫ জন কে অভিযুক্ত করে হরিণাকুন্ডুু থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আহত যুবক সোহেল জানান, তার বাবা গ্রামে পাটকাঠির ব্যবসা করেন। বুধবার অভিযুক্ত নাসিরের চাচার কাছে পাটকাঠি বিক্রির পাওনা টাকা চাইতে গেলে অভিযুক্তরা তার বাবাকে মারধর করে। এ সময় তিনি বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে দূর্বত্ত নাসিরসহ অন্যরা তাকে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এ সময় অভিযুক্তরা লোহার রড ও লাঠিসোঠা দিয়ে মেরে তার হাত ভেঙে দেয়। তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত নাসির এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় মামলা করার পর থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়াও তাদেরকে গ্রামছাড়া করার হুমকিও দিচ্ছে ওই দূর্বৃত্ত। এ বিষয়ে হরিণাকুন্ডু থানার পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মানুষ বাঁচাতে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের আপ্রণ চেষ্টা
ঝিনাইদহ :: করোনা ভাইরাস কিছু-ই মনে করছেন না শহরে মার্কেটে আসা লোকজন। স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না বেশকিছু দোকান মালিক। এ পরিস্থিতিতে ১৬ই মে শনিবার ঝিনাইদহ পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান পিপিএম এর নির্দেশে সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান শহরের দুটি মার্কেটে অভিযান চালান। সেসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা এবং স্বাস্থ্য বিধি লঙ্ঘনকারি ৩ টি দোকানে ১০ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা, ৬ টি দোকানে ৫ হাজার টাকা করে ৩০ হাজার টাকা, ১টি দোকানে ৩ হাজার টাকা, ১ টি দোকানে ১ হাজার টাকা ও মাস্ক বিহীন ২ জন কে ৫ শ” টাকা করে মোট ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় । ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিন্নাত। এ অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন মহল।
করোনা জয়ী আরাফাতের বাড়িতে গিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালো ইউএনও
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলার এই প্রথম সুস্থ হওয়া করোনা জয়ী বেসরকারী কোম্পানীর বিক্রয় কর্মকর্তা আরাফাতেক শুভেচ্ছা, প্রধান মন্ত্রীর উপহার সামগ্রী ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হরিনাকুন্ডু উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার দুপুরে উপজেলার টাওয়ার পাড়ার বাবলু রহমানের ছেলে আরাফাত করোনা রোগ থেকে জয়ী হয়ে সুস্থতার এ ছাড়পত্র পেয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। করোনা জয়ী আরাফাত সুস্থতা হওয়ার খবর শুনে তার বাড়িতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা। এ সময় তিনি দুপুর বারোটার দিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধান মন্ত্রীর উপহার সামগ্রী চাল, ডাল, তেল লবন, পেয়াজ ফল-মুল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত হয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ডাঃ জামিনুর রশিদ ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও রোগীকে করেনা মুক্ত ঘোষনা করেন। করোনার রোগী সনাক্ত হওয়ার পর থেকেই আরাফাতের ও তার পরিবারের নিয়মিত খোজ খবর রাখতেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলাতানা। নিয়মিত করোনা রোগী ও তার পরিবারের সাহস যোগিয়েছেন। আর এ করোনাক ভয়কে জয় করার সাহস যোগানোর জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানাকে এলাকার মানুষ বীরত্বের খেতাব দিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের এমন ভালোবাসা পেয়ে আবেগাপ্লুত আরাফাত ও তার পরিবারের সদস্যরা। করোনা জয়ী আরাফাত জানান, সে গাজীপুর ম্যারিকো কোম্পানীর বিক্রয় কর্মকর্তা হিসাবে চাকুরী করেন। গত ২২শে এপ্রিল থেকে বাড়িতে এসে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। পরে পরীক্ষা করে তার করোনা রোগ সনাক্ত হয়। তিনি আরও জানান, আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়েছি। অনেক খুশি লাগছে। ইউএনও স্যার সব সময় খোজ খবর নিয়েছেন। তিনি পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন। আর চিকিৎসার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়ার কারনে মুক্ত হয়েছি। করোনা থেকে মুক্ত আরাফাতের বাবা বাবুল শেখ জানান, ইউএনও স্যারের কাছে কৃতজ্ঞ । তিনি পরিবারের সদস্যর মত পাশে ছিলেন। আজ প্রধান মন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী আর ফল-মুল পেয়ে আমরা খুব খুশি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্যার খুব সহযোগীতা করেছেন। আমরা দোয়া করি স্যারদের জন্য। আর আমাদের পরিবারের জন্য তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জামিনুর রশিদ জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সব সময় খোজ-খবর ও সকল পরামর্শ দেওয়া হয়েছিলো। পর পর দু-বার তার নমুনা নেগেটিভ আসার কারনে ও সুস্থ হয়ে যাওয়ার কারনে আজ তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নাফিস সুলতানা জানান, করোনার ভয়কে জয় করার জন্য প্রথম থেকেই আমরা উপজেলা প্রশাসন পাশে আছি। আমরা তাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য সব সময় পাশে থেকেছি। আশে-পাশের কোয়ারেন্টাইনে থ্কাা ১০ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আর করেনা থেকে মুক্ত আরাফাতের পরিবারের সকল খাদ্য সহায়তা এ পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে জেলার প্রথম সে করোনা থেকে জয়ী হওয়ায় আমরা নিজে বাড়িতে গিয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উপহার সামগ্রী পৌছে দিয়েছি। উপজেলা প্রশাসন সব সময় মানবতায় কাজ করে চলেছে। এ দিকে জেলায় এই প্রথম হরিনাকুন্ডুতে একজন করেনা মুক্ত হলেন।
ঝিনাইদহে ৩’শ পরিবারের মাঝে সংসদ সদস্য’র খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনার প্রভাবে বিপাকে পড়া অসহায়, হতদরিদ্র ও নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে শহরের আদর্শপাড়ায় নিজ বাস ভবনে ৩’শ পরিবারের মাঝে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন ঝিনাইদহ-মাগুরা সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম। এসময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আগতদের হাতে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবনসহ খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। খাবার পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষগুলো।
ঝিনাইদহে বাস শ্রমিকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া বাস শ্রমিকদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার সকালে শহরের আরাপপুরে জনি পরিবহণের পক্ষ থেকে অসহায় ১৩০ জন বাস শ্রমিকদের মাঝে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে সবার মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন জনি পরিবহনের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ হান্নান মিয়া। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ বাস মিনিবাস মালিক সমিতির রোকনুজজামান রানু, জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ওলিযার রহমান খান, আসাদুজ্জামান পাতা। করোনা মহামারীর প্রভাবে বিপাকে পড়া কর্মহীন হয়ে পড়া কলার ম্যান ও লাঠিয়ালরা চাল, ডাল, আলু, লবণসহ খাদ্যসামগ্রী পেয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন
শৈলকুপায় সাড়ে ৩’শ পরিবারের মাঝে আফতাব উদ্দীন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের
উদ্দ্যোগে খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে করোনার প্রভাবে বিপাকে পড়া অসহায়, হতদরিদ্র ও নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে শৈলকুপা উপজেলার পীড়াগাতী গ্রামের আফতাব উদ্দীন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যোগে ঐ এলাকার সাড়ে ৩’শ অসহায়, হতদরিদ্র ও নি¤œ আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. রাশেদ আল মামুন, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, সমাজসেবক ও সাবেক ছাত্র নেতা আলমগীর হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত থেকে খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। সে সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে আগতদের হাতে চাল, ডাল, আলু, তেল, লবণ,সাবান, সেমাই,চিনি ও শাড়ী লুঙ্গী তুলে দেওয়া হয়। এসব পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষগুলো। উল্লেখ্য ২০১৯ সালে আফতাব উদ্দীন স্মৃতি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড ও বিনামূল্য স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে আসছে।