বৃহস্পতিবার ● ২১ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গায় “ঈদুল ফিতর”এর নামাজ মসজিদের ভেতরে অনুষ্ঠিত হবে : মেয়র
মাটিরাঙ্গায় “ঈদুল ফিতর”এর নামাজ মসজিদের ভেতরে অনুষ্ঠিত হবে : মেয়র
অন্তর মাহমুদ, মাটিরাঙ্গা প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে এবার মাটিরাঙ্গায় ঈদুল ফিতরের নামাজ ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে না। জামায়াত না করে বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে গিয়ে আদায় করার জন্য মুসল্লিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকার।
সরকারের আদেশ বাস্তবায়নে সকলকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মোঃ শামছুল হক বলেন, এবার ঈদের নামাজ পড়তে হবে মসজিদের ভেতর। এক সংঙ্গে স্বল্প সংখ্যক মানুষ নামাজ পড়তে হবে বিধায় প্রয়োজনে একাধিক জামায়াত করতে হবে। এ জন্য মসজিদ পরিচালনা কমিটিসহ ঈদের নামাজ আয়োজকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহনের পাশাপাশি মুসল্লিদেরও কি ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে সে সম্পর্কে ধারনা দিতে হবে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে সেখানে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ের ব্যাপারেও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়, ‘বর্তমানে সারা বিশ্বসহ আমাদের দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিজনিত ওজরের কারণে মুসল্লিদের জীবন ঝুঁকি বিবেচনা করে এ বছর ঈদগাহ বা খোলা জায়গার পরিবর্তে ঈদের নামাজের জামায়াত নিকটস্থ মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার নামাজ আদায় করা হবে।
পরিপত্রের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদের নামাজের জামায়াতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে ওযুর স্থানে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। ঈদের নামাজের জামায়াতে আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে। শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যে কোনো অসুস্থ্ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি ঈদের নামাজের জামায়াতে অংশ গ্রহণ করতে পারবেন না। সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত কল্পে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদে জামায়াত শেষে কোলাকুলি এবং পরস্পর হাত মেলানো পরিহার করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে। করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামগণকে অনুরোধ করা যাচ্ছে এবং খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
এসব নির্দেশনা লংঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রহণ করবে। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে পরিপত্রে।
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ করেছে মন্ত্রণালয়।