শনিবার ● ২৩ মে ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে শেষ মূহুর্তে নজর টুপি আর আতরে
ঝিনাইদহে শেষ মূহুর্তে নজর টুপি আর আতরে
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঈদের নতুন পোশাকের রঙের সাথে মিল রেখে সকলে পরবেন নতুন টুপি সাথে ব্যবহার করবেন সুগন্ধের আতর। তাই শহরের টুপি আতরের দোকান গুলোতে চলছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। তরুনদের পোশাকের সাথে মানানসই টুপি চাই। তাই ঈদ কেনাকাটার শেষের দিকে নজর এখন টুপি ও আতরের দিকে। ফলে ঈদ যত কাছিয়ে আসছে বাড়ছে আতর টুপির দোকানে ভীড়। শনিবার সকাল থেকেই শহরের টুপি আতরের দোকান গুলোতে দেখা যায়,ক্রেতাদের ঠাসাঠাসি। কার আগে কে নেবে যেন প্রতিযোগিতা চলছে। দোকান মালিকেরা দেশী বিদেশী রঙ ও ডিজাইনের টুপির সাথে বিভিন্ন ফুল ও ফলের ফ্লেভার সমৃদ্ধ আতর দেখানোর পর একসময় মিলে যাচ্ছে ক্রেতাদের পছন্দের কিন্তু সময় ব্যয় হচ্ছে। কিছুকিছু সময় পর পর দোকানের সামনেই ক্রেতাদের ভীড় জমে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেখানো হচ্ছে তাদের পছন্দের টুপিসহ আতরটিও। শহরের পাইরা চত্তর , হামদহ, চাকলাপাড়া, আরাপপুর ছাড়াও শহরের রাস্তার পাশে বসা অস্থায়ী টুপির দোকান গুলোতে চলছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। তারা দেশী বিদেশী বিভিন্ন দাম ও ডিজাইনের টুপি,আতর পাইকারী এবং খুচরা বিক্রি করে থাকেন। ঈদ কেনাকাটার শেষ দিকে তাদের দোকানে ভীড় বেড়ে যায়। তিনি জানান,দেশী সুনামধন্য বিভিন্ন টুপি কোম্পানীসহ সৌদি আরব, পাকিস্থান, ভারত,আরব আমিরাত,সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের তৈরী নামিদামি টুপি বিক্রি করছেন। আতরের মধ্যে পাকিস্থানী জান্নাতুল ফেরদাউস, ১০০ টাকায়, আল মিম ১০০ টাকায়,আল ফারহান ১০০ টাকায়,আলিফ ৫০ টাকায়,ম্যাগনেট প্রতি শিশি ৩০ টাকায়, আরব আমিরাত,ভারতীয় আল নাইম,সৌদি আরবের আল রিহাবের আতর বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়, হল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডের রজনীগন্ধ্যা ও বেলী আতর একটু বেশি দামে ২০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তার দোকানে বিদেশী টুপির চেয়ে দেশী নামি দামি কোম্পানীর সুতি ও নেট টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে। আর আতরের মধ্যে রজনীগন্ধ্যা,বেলি. লিচু ফ্লেভারের আতর বেশি বিক্রি হচ্ছে। শহরের রাস্তার পাশে অস্থায়ী টুপির দোকান মারিকরা জানান, তার দোকানে দেশী বিদেশী সব ধরনের টুপি আছে। ঈদ কেনাকাটা করতে আসা পথচারীরা তার দোকানের ক্রেতা। ঈদের দুই তিন দিন আগে থেকে তাদের বিক্রি বেড়ে যায়। তিনি জানান, এবছর বিক্রি ভালো। বেশির ভাগ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকার টুপি বিক্রি হচ্ছে।
দোকান ভাড়া মওকুফ করলেন পাগলা কানাই মধু মার্কেটের মালিক
ঝিনাইদহ :: এই প্রথম ঝিনাইদহ শহরে করোনা দুর্যোগ মুহূর্তে প্রায় লক্ষাধিক টাকা দোকান ভাড়া মওকুফ করলেন পাগলাকানাই মধু মার্কেটের মালিক মধু ভাই। শুক্রবার বিকালে ঐ মার্কেটের ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক বৈঠকে তিনি এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত লকডাউন ঘোষণার পর অন্যান্য অঞ্চলের মতো এই বাজারেও দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। তাতে অনেক ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ী প্রবল আর্থিক সঙ্কটে পড়ে যান। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই নামক স্থানে ৪তলা ভবন বিশিষ্ট মার্কেটের প্রায় চল্লিশটি দোকানের চলতি মে মাসের ভাড়া মওকুফ করে দেন তিনি। তাতে সব মিলে লক্ষাধিক টাকার ভাড়া মওকুফ করলেন তিনি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা। এজন্য তারা মধু ভায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এই ধরনের সিদ্ধান্ত একটি নজিরবিহীন মানবিক উদ্দ্যোগের উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে দোকান মালিক মধু ভাই বলেন, এই পরিস্থিতিতে ভাড়াটিয়া দোকানিদের প্রতি দোকান মালিকরা ভাড়া মওকুফ করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ বলে আমি মনে করেছি।
অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যাকারী সেই পরিবারের পাশে র্যাব-৬
ঝিনাইদহ :: ৪ সন্তান, মা ও স্ত্রী কে দুইদিন খাবার মুখে তুলে দিতে না পেরে ও ঋনের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মহত্যাকারী ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীরবেড় ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের ৪ সন্ত্রানের জনক ভ্যান চালক ওহিদুল ইসলাম (৩৫) এর পরিবারটির পাশে দাড়িয়েছেন ঝিনাইদহ র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মাসুদ আলম ও পুলিশের কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে অসহায় পরিবারটির জন্য বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী, নগদ ৩০ হাজার টাকা ও পরিবারটির স্থায়ী ভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে একটি সেলাই মেশিন, থান কাপড় ও অন্যান্য উপকরন নিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন এই দুই কর্মকর্তা। আত্মহত্যাকারী ওহিদুলের ২ মেয়ে ওহিদা (১৩) নাহিদা (১১) ছেলে স্বাধীন (৬) শাহিন (৪) তার মা ও স্ত্রী রয়েছে। কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন পরিবারটির পাশে আমি ও র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার স্যার সাধ্যমত সহায়তা করবার চেষ্টা করেছি। আসলে আমাদের এই সামান্য সহায়তা দিয়ে বিধবা মেয়েটির পক্ষে তার ৪ সন্তান কে লালন পালন করা বেশ কষ্ট সাধ্য। কাজেই যদি সমাজের বিত্তবান মানুষ যদি পরিবারটির পাশে একটু সহায়তার হাতটা বাড়িয়ে দেয় তাহলে অন্তাত পরিবারটি দুবেলা খেয়ে বাচঁতে পারবে। ঝিনাইদহ র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মাসুদ আলম বলেন এর আগেও আমি ও পুলিশের কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম ব্যক্তিগত ভাবে পরিবারটিকে যতটুকু পেরেছি সহায়তা করেছি। কিন্তু এভাবে কে কতদিন করবে ? সেই জন্য যেহেতু বিধবা ওহিদুল এর স্ত্রী সেলাইমেশিন এর কাজ পারে সেকারনে তাকে র্যাবের পক্ষ থেকে সেলাইমেশিন সহ অন্যান্য উপকরন দেওয়া হলো যেনো সে তার সন্তানদের জন্য একটা স্থায়ী আয়ের সুযোগ পায়। এছাড়াও আমার ও কোটচাঁদপুর সার্কেল মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম এর পক্ষ থেকে ব্যাক্তিগত ভাবে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা দিয়েছি যেনো এই টাকাটা দিয়েও বিধবা মেয়েটি একটা আয়ের উৎস তৈরি করে তার ৪ সন্তানদের মুখে খাবার ও লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারেন। ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাজীবেড় ইউনিয়নের ডালভাঙ্গা গ্রামের ৪ সন্তানের জনক অহিদুল ইসলাম (৩০) গত ৬ই এপ্রিল অভাবের তাড়নায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।