শনিবার ● ২৩ মে ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের অনুমতি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত
গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট গাড়ি চলাচলের অনুমতি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ঈদের দুদিন আগে সারাদেশে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে ঈদযাত্রার অনুমতি দেওয়াকে সরকারের আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলে দাবি করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। ঈদুল ফিতরে ঈদযাত্রা ঠেকাতে না পারায় বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনা প্রতিরোধে ও ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণেও সরকার ব্যর্থ হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। আজ শনিবার (২৩ মে) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুদ্দীন চৌধুরীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়ানো করোনা প্রতিরোধের জন্য এবারের ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছিল সরকার। কয়েকদিন আগে ঈদে কঠোরভাবে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলেন পুলিশ প্রধান। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ঈদের দু’দিন আগে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে ঈদযাত্রার অনুমতি দেয় সরকার। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসের মালিক অতিরিক্ত মুনাফা আদায়ের জন্য গাড়ি রিজার্ভ দেখিয়ে ভাড়ায় চলাচলের অনুমতি দেয়। এতে মানা হচ্ছে না কোনও স্বাস্থ্যবিধি। সড়ক-মহাসড়কে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠা-নামা করছে এই ব্যক্তিগত পরিবহনগুলো। এদিকে সারাদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে। প্রতিদিন লাশের মিছিলে যোগ হচ্ছে বেশ কিছু মানুষ। শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ও দৌলোদিয়া-পাটুরিয়া ফেরী ঘাটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছে সাধারণ মানুষ।
বিজ্ঞপ্তিতে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দীন চৌধুরী আরও বলেন, ঈদের আমেজ নিয়ে সাধারণ যাত্রীরা যেভাবে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে বাড়ি ছুটছে তাতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।
সংগঠনটির দাবি, যদি শর্তসাপেক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে সীমিত আকারে আন্তঃজেলা বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হতো তাহলে করোনা সংক্রমণের হাত থেকে কিছুটা হলেও জনগণকে রক্ষা করা যেত। কিন্তু এখন যেভাবে প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে ঈদযাত্রা চলছে, আমি মনে করি সারাদেশে বিপুল ভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।
ঈদে বাড়ী যাওয়া ও ঈদফেরত যাত্রীদের ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।