বুধবার ● ২৭ মে ২০২০
প্রথম পাতা » ময়মনসিংহ » দাদন ব্যবসায়ীর চাপে আত্মহত্যা : স্ত্রী হাসপাতালে
দাদন ব্যবসায়ীর চাপে আত্মহত্যা : স্ত্রী হাসপাতালে
উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দাদন ব্যবসায়ীর চাপে টাকা দিতে না পাড়ায় স্বামী-স্ত্রী মিলে বিষ পানে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে হারুন মিয়ার (২৮) মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রী জেসমিন আক্তার (২৩) কে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সরিষা ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামে ওই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে থানা পুলিশ।
জানাযায়, উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের মহেশপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে মহেশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারি হারুন মিয়া ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার দু’জনে মিলে মঙ্গল বার বেলা ১১টায় নিজ গৃহে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। বিষয়টি পরিবারের অন্য সদস্যরা আচ করতে পেরে ঘরের দরোজা ভেঙ্গে দু’জনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হারুন মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন এবং স্ত্রী জেসমিনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহত হারুনের ঘরে আড়াই বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
হারুনের মা খোরশেদা বেগম জানান, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে প্রায় ২০লাখ টাকা সুদে ঋণ নেয় হারুন। এই টাকার জন্যে প্রতিদিনই পাওনাদাররা বাড়িতে এসে ছেলেকে হুমকি দিয়ে যেত। টাকা পরিশোদের জন্য জমি বিক্রি করার চেষ্টা করলেও করোনা ভাইরাসের কারণে তা বিক্রি করতে পারেননি। কিন্তু দাদন ব্যবসায়ীরা কোন কথা না মেনে হারুনকে আরো চাপ দিতে থাকে। দাদন ব্যবসায়ীদের এমন চাপ হারুন সহ্য করতে না পেরে তার স্ত্রীকে নিয়ে বিষ পান করে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি জেসমিনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
এবার করোনায় আক্রান্ত ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী
ঈশ্বরগঞ্জ :: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নমুনা পরীক্ষায় উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফার শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এবার আক্রান্ত হয়েছেন তার স্ত্রী নাজমা আক্তার। মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নূরুল হুদা খান।
সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা টিম তার নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পাঠায়। পরে মঙ্গলবার রাতে রিপোর্টে নাজমা আক্তারের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়।
এনিয়ে উপজেলায় মোট ২০জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলো এর মধ্যে ১৫ জন সুস্থ হয়েছেন। নতুন আক্রান্ত হলেন উপজেলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হানিফার সহধর্মিনী নাজমা আক্তার। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।