বুধবার ● ২৭ মে ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সাংবাদিক দম্পত্তি করোনায় আক্রান্ত : লকডাউন
সাংবাদিক দম্পত্তি করোনায় আক্রান্ত : লকডাউন
মো. আবুল কাশেম, ষ্টাফ রিপোর্টার ::: সিলেট নগরীর লামাবাজার এলাকায় বসবাসরত দৈনিক সবুজ সিলেট পত্রিকার সাবেক স্টাফ রিপোর্টার ও অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক সাংবাদিক আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আর এদিকে মিথ্যা গুজবে কান দিয়ে বিশ্বনাথের অলংকারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহেল মিয়া বড়খুরমা গ্রামসহ ওই সাংবাদিকের শশুর বাড়ি লকডাউন করেছেন। কি আজব জাতি আমরা। যে কোন গুজবে সাড়া দিতে থাকি। যেখানে মেয়ে ও তার স্বামী করোনা আক্রান্তের খবর পেয়ে একটি পরিবার চিন্তায় ও কান্নায় না খেয়ে আছে। সেই পরিবাকের শান্তনা না দিয়ে উল্টো তাদের উপর গুজবের নির্যাতন।
যারা বাড়ি ও গ্রাম লকডাউন করছেন তারা কতোটুকু সচেতন ? তাদের কারো মুখে মাক্স নেই। গুজব ছড়িয়ে একটি পরিবারকে হয়রানি করা ছাড়া আর কিছু না। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের নজরে দেওয়া হয়েছে।
বড়খুরমা গ্রামে মিথ্যা গুজবে কান দিয়ে কবির মিয়ার পরিবারের উপর লকডাউন দিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে। ওই সাংবাদিক দম্পত্তি না কি গত শুক্রবার তাদের শশুর বাড়ি বড় খুরমা আসছেন। আজ বুধবার থেকে নগরীতে তাদের বাসা লকডাউন। তাহলে কি ভাবে শুক্রবার তারা সেখানে আসলো ? এসকল গুজবে দয়া করে কেউ কান দিবেন না।
অলংকারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুহেল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠো ফোনে বলেন আমি ফেসবুকে এবং স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে ওই বাড়ি এবং গ্রাম লকডাউন করছি। পরে ওই সাংবাদিকের সাথে আলাপ করে জানতে পারলাম তারা গত দুই রমজানে বড়খুরমায় আসছেন।
মিথ্যা গুজবের হয়রানি ও লকডাউন থেকে মুক্তি পেতে এবং গুজব ছড়ানোকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের নিকট আশুহস্থক্ষেপ কামনা করছেন ওই পরিবার।
পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীসহ ২ জন করোনায় আক্রান্ত
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী ও এক দিনমজুর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
নতুন আক্রান্তরা হলেন- বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমাপ্রসাদ চক্রবর্তীর স্ত্রী পিংকি চক্রবর্তী ও উপজেলার আমতৈল গ্রামের দিনমজুর সাদ্দাম হোসেন।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহমান।
এই নিয়ে বিশ্বনাথ উপজেলায় মোট ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। এদের মধ্যে ২৭ জনই পুলিশ সদস্য। আক্রান্তদের মধ্যে ৫ জন সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
এএসআই জাহাঙ্গীর কবীর করোনা জয়
বিশ্বনাথ :: নবেল করোনা ভাইরাস জয় করে কর্মস্থলে ফিরেছেন সিলেটের বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের আরো এক সদস্য এএসআই জাহাঙ্গীর কবীর, করোনা শনাক্ত হবার পর সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তারা। সম্প্রতি কোভিড-১৯ এর ফলোআপ টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। বর্তমানে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অস্থায়ী ব্যারাকে হোমকোয়ারেন্টিনে রয়েছেন তারা। এর আগে সুস্থ হয়ে ফিরেন আরো দু’জন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত থানা পুলিশের ২৭ সদস্যের মধ্যে সুস্থ হয়ে ফিরলেন ৫জন। অন্যরা সিলেট বিভাগীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা।
এসআই অলক দাসে’র করোনা জয়
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার আরেক পুলিশ সদস্য করোনা জয় করে বাসায় ফিরেছেন। তার নাম এসআই অলক দাস। চিকিৎসকরা তাকে করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র দিলে গেল ২৫ মে সোমবার (ঈদের দিন) নিজ বাসায় ফিরেন তিনি।
সূত্র জানায়, প্রচন্ড জ্বর নিয়ে গেল ১১ই মে নমুনা পরীক্ষায় পাঠান এসআই অলক দাস। পরে ১৬ মে প্রাপ্ত রিপোর্টে করোনা শনাক্ত হয় তার। এরপর থেকে নিজ বাসায় হোমকোয়ারেন্টাইনে ৭ দিন ও সিলেট বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে আরো ৬ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ২১ মে ফলোআপ টেস্টের জন্যে ফের নমুনা দেন তিনি। ২৪ মে এর নেগেটিভ আসে রিপোর্টের ফলাফল। শেষে ঈদুল ফিতরের দিন তাকে করোনামুক্ত ও সুস্থ ঘোষণা করে হাসপাতাল ত্যাগের ছাড়পত্র দেন কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কথা হলে এসআই অলক দাস বলেন, ইশ্বরের কৃপায় সকলের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে কোভিড-১৯ এর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে বাসায় ফিরেছি। সবার এ ভালোবাসা পরবর্তী সকল প্রকার যুদ্ধে সম্মুখে থাকার সাহস যোগাবে প্রতিনিয়িত। এই যুদ্ধ জয়ে আমার সকল আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজন ও সহযোদ্ধাদের ভলোবাসার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকলাম।
করোনায় ব্রিটেনে বিশ্বনাথের বৃদ্ধের মৃত্যু
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: নবেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনে প্রাণ হারিয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮৩ বছর বয়সি এক বৃদ্ধ। ব্রিটেনের লেষ্টার সিটির বাসিন্দা বৃদ্ধ হাজী আহমদ আলী, আজ বুধবার (২৭ মে) স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৪টায় লেষ্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কারিকোনা গ্রামের বাসিন্দা।
তার পারিবারিক সূত্র জানায়, গত শুক্রবার হঠাৎ করে অসুস্থবোধ করলে তাকে স্থানীয় লেষ্টার জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসক তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করেন। এর রিপোর্টে পজেটিভ আসে ফলাফল।
এরপর থেকে হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা চলছিল তার। ধীরে ধীরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার ভোরে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।