শনিবার ● ৩০ মে ২০২০
প্রথম পাতা » পাবনা » ব্যতিক্রমী সড়ক সচেতনতায় চিত্রাংকন কর্মসূচী
ব্যতিক্রমী সড়ক সচেতনতায় চিত্রাংকন কর্মসূচী
পাবনা জেলা প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহরে আজ ৩০ মে শনিবার সকালে ফেসবুক পেজ ‘চেতনায় চাটমোহরের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী সড়ক সচেতনতায় চিত্রাংকন কর্মসূচী পালন শুরু হয়েছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার অংশ হিসেবে এই কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।
সকালে পৌর শহরের নতুন বাজার জারদিস মোড়ে করোনাভাইরাস ও বিভিন্ন স্লোগানের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়। বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও শিশু-কিশোর এই কর্মসূচীতে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেদের হাতের ছাপ রেখে যান চিত্রাংকনে অংশ নিয়ে।
এসময় চাটমোহর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার সজীব শাহরীন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইকতেখারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য সাইদুল ইসলাম পলাশ, বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান, অরবিটল লিংক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন, আর্টিস্ট মিলন রবসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। কর্মসূচী সমন্বয় করেন অংকন শিক্ষক মানিক দাস।
এ বিষয়ে চেতনায় চাটমোহরের অ্যাডমিন জেমান আসাদ বলেন, মানুষ অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হচ্ছেন। মুখে মাস্ক নেই, মানছে না কেউ সামাজিক দূরত্ব। তাই পথচারীদের জন্য পথেই আমরা ছড়িয়ে দিতে চাই সচেতনতার বার্তা। এ উদ্দেশ্যেই সড়ক সচেতনতার এই উদ্যোগ গ্রহণ। পথ চলতে চলতে মানুষ এই ছবি দেখে যেন নিজেকে অনুভব করেন। প্রাথমিকভাবে চাটমোহর পৌর শহরের পাঁচটি পয়েন্টে এই ছবি আঁকার কাজ করা হবে।
চাটমোহরে পানিতে ডুবছে পাকা ধান, দিশেহারা কৃষক
পাবনা :: আমফানের প্রভাব, গুমানী নদীর পানি বৃদ্ধি, নটাবাড়িয়ায় কিনুসরকারের ধরের স্লুইজগেট খোলা থাকায় ও অতিবৃষ্টিতে পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া, ছাইকোলা, হান্ডিয়াল ও বিলচলন ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় পাকা ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন ও কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে নিমজ্জিত ও আক্রান্ত জমির পরিমান প্রায় দুইশ হেক্টর। একই সাথে সবাই কাঁচা পাকা ধান কাটতে শুরু করায় শ্রমিক সংকটও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমান একজন ধান কাটা শ্রমিকের মজুরী ৭শ টাকায় পৌছেছে।
জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ৯ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সামান্য কিছু ধান কাটা হয়েছিল। জোয়ারের প্রভাবে বেশ কিছু এলাকার ধান পানিতে আক্রান্ত হবার পর মঙ্গলবার রাতের অতিবর্ষণে তা পানিতে নিমজ্জিত হয়। উপজেলার বোয়াইলমারী গ্রামের আলহাজ¦ শামসুল সরকার জানান, পাশর্^বর্তী আফরার বিলে তার দুটি অগভীর নলকূপ রয়েছে। এর অধীনে নিজের ২৬ বিঘা ও অন্যদের ২০ বিঘা জমি রয়েছে। সমস্ত জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় তার ৬ লাখ টাকার অধিক ক্ষতি হয়েছে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, “খরচের পয়সা তুলব্যার পারলি জানডা বাঁচতো।” একই গ্রামের মোসলেম উদ্দিন জানান, তার দশ কাঠা জমির ধান সম্পূর্ণ পানিতে তলিয়ে গেছে। কাটেঙ্গা বাওন বাজার এলাকার জামরুল ইসলাম জানান, তার তিন বিঘা জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মামাখালী গ্রামের ইসরাফিল হোসেন এবং বরদানগর গ্রামের রতন হোসেন জানান, কাটাগাঙের পাশর্^বর্তী মামাখালী থেকে জিয়েলগাড়ী পর্যন্ত কয়েক’শ বিঘা জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। নিচু এলাকার ধান কেটে নৌকা যোগে বাড়ি নিতে হচ্ছে বলে বাড়ছে ধান কাটার খরচ। জমিতে কেটে রাখা ধান ঢেওয়ে ভেসেও গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এ.মাসুম বিল্লাহ জানান, ২০ হেক্টর জমির ধান পানিতে নিমজ্জিত দেখানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার মোঃ রায়হান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তার সাথে কথা বলে নটাবাড়িয়ায় অবস্থিত কিনু সরকারের ধরের স্লুইজগেট আপাতত বন্ধ করে দিয়েছেন।