সোমবার ● ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » অর্থ-বাণিজ্য » চলনবিলে বোরো চারা সংকট
চলনবিলে বোরো চারা সংকট
চাটমোহর প্রতিনিধি :: (৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১০.১০মিঃ) পাবনার চাটমোহর উপজেলাসহ চলনবিলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বোরো ধানের তীব্র চারা সংকট চলছে৷ এ সুযোগে বিক্রেতারা আশপাশের জেলা থেকে চারা সংগ্রহ করে স্থানীয় বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছে৷
জানা গেছে, নভেম্বর মাস থেকে চলনবিল অঞ্চলজুড়ে বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়েছে৷ চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, গুরদানসপুর, সিংরা, বড়াউগ্রাম ৯টি উপজেলা নিয়ে চলনবিল অঞ্চল৷ বর্ষায় এসব উপজেলার নিচু এলাকা পানিতে ডুবে থাকে৷ বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর বিস্তীর্ণ এলাকায় ইরি-বোরো ধানের আবাদ শুরু হয়৷ তবে এবার বোরো চারা সংকট থাকায় এ পর্যন্ত ও অনেক জমি পড়ে আছে৷ এসব জমিতে আবাদ না করতে পেরে বিপাকে আছে কৃষকরা৷ বোরো চারার অভাবে শত শত জমি এবার পতিত থাকার আসংক্ষা করছে কৃষকেরা৷ রবিবার চাটমোহর উপজেলার অমৃতকুন্ডা রেলবাজার হাট ঘুরে দেখা গেছে, কমপক্ষে ২০ জন ব্যক্তি বোরো ধানের চারা নিয়ে বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে৷ দল বেঁধে কৃষকেরা তাঁদের ঘিরে দরদাম করছেন৷ একমুঠো বোরো-২৯ জাতের চারা ৩ টাকা থেকে ৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে৷ অথচ গত বছর একমুঠো চারা ২ টাকার কম দরে বিক্রি হয়েছে বলে কৃষকেরা জানান৷
হাটে আগত কৃষক সেলিম হোসেন বলেন, বোরো আবাদের জন্য এক বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি৷ কিন্তু বোরো ধানের চারা পাচ্ছি না৷ হাটে চারা মিললেও দাম অনেক বেশি৷ তাঁর এক বিঘা জমির জন্য কমপক্ষে ৪০০ মুঠো চারা দরকার৷
চারা বিক্রেতা মানিক আলী জানান, স্থানীয় কৃষকদের চারার চাহিদা মেটাতে তাঁরা বগুড়া, শেরপুর, জয়পুরহাট জেলা থেকে চারা কিনে এনে এখানে বিক্রি করে বাড়তি আয় করেন৷
জগতলা গ্রামের কৃষক আশরাফ আলী বলেন, প্রতিবছরই শেষ সময়ে এসে বোরো ধানের চারাসংকট দেখা দেয়৷ এবার তিনি এক বিঘা জমিতে বোরোর বীজতলা করেছিলেন৷ কিন্তু শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে পাঁচ কাঠা বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে৷