রবিবার ● ৭ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » গফরগাঁওয়ে সেপটিক ট্যাংকিতে নেমে নিহত ২,আহত-৩
গফরগাঁওয়ে সেপটিক ট্যাংকিতে নেমে নিহত ২,আহত-৩
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :: ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সেপটিক ট্যাংকির সেন্টারিং খুলতে ট্যাংকির ভেতরে নেমে গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া রাজমিস্ত্রি ও তার যোগালীকে উদ্ধার করতে গিয়ে মালিকের ছেলে হুমায়ুন (৩৫) ও তার প্রতিবেশি হিমেল (২৮) নামে দুই যুবক নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় গুরুতর আহত আরো তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আজ রবিবার ৭ জুন দুপুর ১২টার দিকে গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধিন নিগুয়ারী ইউনিয়নের কুরচাই গ্রামের মান্নান সরকারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পাগলা থানার ওসি শাহীনুজ্জামান খান ঘটনাস্থলে যান।
নিহত হুমায়ুন কুরচাই গ্রামের মান্নান সরকারের (বাড়ির মালিক) একমাত্র ছেলে ও হিমেল একই গ্রামের সিরাজ মাস্টারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গফরগাঁও উপজেলার উপজেলার পাগলা থানাধিন নিগুয়ারী ইউনিয়নের কুরচাই গ্রামের মান্নান সরকার তার বাড়িতে প্রায় দেড় মাস আগে একটি সেপটিক ট্যাংকি নির্মাণ করেন। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে ঢাকনাবিহীন থাকায় ট্যাংকির ভেতর বৃষ্টির পানি জমে যায়।
পরবর্তীতে আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে স্থানীয় রাজমিস্ত্রি শরিফ এর কাজের যোগালী (শ্রমিক) মুর্শিদ মিয়া (২৫) ট্যাংকির ভেতর নেমে সেন্টারিং খুলতে গিয়ে গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে রাজমিস্ত্রি শরিফ নিজে তার যোগালী মুর্শিদকে উদ্ধার করতে গিয়ে তিনিও অজ্ঞান হয়ে যান। এ অবস্থায় এলাকায় চিৎকার,হইচই শুনে মালিকের ছেলে হুমাযুন এবং প্রতিবেশি আলতাফ, হিমেল, মাজহারুল নামে আরো তিন যুবক যোগালী মুর্শিদ ও রাজমিস্ত্রি শরিফকে উদ্ধার করতে গিয়ে তারাও অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্থানীয় লোকজন পাঁচজনকে উদ্ধার করে পাশের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে হুমায়ুন ও হিমেল মারা যান। আর গুরুতর আহত তিনজনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে দু’জনের জ্ঞান ফেরে ও একজনের অবস্থার অবনতি হলে তাকে গাজীপুর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পাগলা থানার ওসি শাহীনুজ্জামান খান বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলাম। সম্ভবত ট্যাংকির ভেতর জমে থাকা পানিতে গ্যাস হয়ে এ দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।’