বৃহস্পতিবার ● ১১ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় করোনা উপসর্গ নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু
গাইবান্ধায় করোনা উপসর্গ নিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে করোনা (জ্বর সর্দ্দি কাশির) উপসর্গ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ (৭৩) আরো মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা সদরের প্রফেসরপাড়ায় নিজ বাড়ীতে তিনি মারা যান।
পরে বিকালে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।
পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদার রহমান বলেন, আজ দুপুর ২টায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্থানীয় সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা মাঠে রাষ্ট্রীয় মার্যাদায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিকালে পলাশবাড়ী উপজেলা সরকারী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আনিছুর রহমান বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে সর্দ্দি কাশি ও জ্বরে ভুগছিল। গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। কিন্তু তার রির্পোট আসার আগেই তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে মারা গেলেন। তিনি বলেন, তার পরিবারের সদস্য ও তার সংস্পর্শে আসা সকলকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
বরাদ্দের বন্টন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও প্রশাসনিক ভবনে হামলা
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার ফুলছড়িতে টিআর, কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দ বন্টন নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ১১ জুন দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলার সাধারণ বরাদ্দের টিআর ও কাবিখার প্রকল্প সংক্রান্ত বৈঠকে বিভাজন নিয়ে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। বৈঠকে বরাদ্দকৃত প্রকল্পের শতকরা ৮০ ভাগ ইউনিয়ন পরিষদকে দিয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বাকী ২০ শতাংশের প্রকল্প দাখিল করতে চায়। এসময় মোট বরাদ্দের ১০ শতাংশ প্রকল্প স্থানীয় সংসদ সদস্যকে দেয়ার জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শহীদুজ্জামান প্রস্তাব দিলে উপজেলা চেয়ারম্যান এতে আপত্তি জানান এবং এক পর্যায়ে তিনি সভাস্থল ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিয়ে বৈঠকের বাহিরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্যের সমর্থকদের উত্তেজনার একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এসময় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বারান্দায় থাকা কয়েকটি চেয়ার ও ফুলের টব ভেঙে ফেলে। উভয় পক্ষের সমর্থকদের উত্তেজনার এক পর্যায়ে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সমর্থকদের অভিযোগ, বৈঠক থেকে বেরিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ ডেপুটি স্পিকারকে গালিগালাজ করলে তারা আপত্তি জানান। এসময় সেলিম ও তার লোকজন রাব্বীর সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ জানান, উপজেলার সাধারণ বরাদ্দ থেকে অন্যায়ভাবে সংসদ সদস্য তাদের বরাদ্দ কেটে নেয়ার জন্য ডিও লেটার দিয়েছেন। এর প্রতিবাদ করায় সংসদ সদস্য এডভোকেট ফজলে রাব্বীর সমর্থকরা আমার উপর হামলা চালিয়েছে।
এবিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ার, ফুলের টব ভাংচুর ও উপজেলার প্রশাসনিক ভবনে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।