মঙ্গলবার ● ১৬ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » মদের সাথে ব্যাটারীর পানি মিশিয়ে জহির হত্যাকান্ডের রহস্যের জট খুলছে, প্রকাশ্যে ঘুরছে অপরাধীরা
মদের সাথে ব্যাটারীর পানি মিশিয়ে জহির হত্যাকান্ডের রহস্যের জট খুলছে, প্রকাশ্যে ঘুরছে অপরাধীরা
পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া প্রতিনিধি :: কক্সবাজারের উখিয়ায় এক ব্যক্তিকে ব্যাটারীর পানি মিশ্রিত মদ খাইয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যাকান্ডের রহস্যের ফাঁস হয়েছে। অথচ এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে অপরাধীরা। ঘটনাটি ঘটেছে রত্নাপালং ৮নং ওয়ার্ডের বায়তুশ শরফ এলাকায়।
সরেজমিনে জানা গেছে, গত ৩ জুন রাতে রাজাপালং ইউনিয়নের হিজলিয়া গ্রামের নবী সুলতানের ছেলে রায়হান মদ্যপ অবস্থায় জহিরের দোকানে আসে এবং বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় জহির আহমদের সাথে ঝগড়া করে।
ওই সময় রায়হান ফোনে অপর প্রান্তে এক ব্যক্তিকে হুমকি দিয়ে জহির আহমদকে দেখে নেওয়ার কথা বলে চলে যায়।
একই দিন রায়হানের নেতৃত্বে সিএনজি ড্রাইভার কামাল, ভিডিও সাইফুল কৌশলে জহির আহমদকে মদের সাথে ব্যাটারী পানি মিশিয়ে খাইয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর জহির অসুস্থ হয়ে পড়লে তারা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে।
এরপর ১২ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ব্যবসায়ী জহির আহমদ ১৫ জুন (সোমবার) সকালে মৃত্যুবরণ করেছে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী রোকেয়া।
নিহত জহিরের ছেলে মোঃ রায়হান বলেন, তার পিতা জহির আহমদ দীর্ঘদিন ধরে উখিয়ার পালং গার্ডেন নামক স্থানে একটি দোকান পরিচালনা করে আসছিল পিতার মৃত্যুর আগের দিন তাকে পাশে বসিয়ে মানুষের সাথে লেনদেনের সমস্ত কিছু বুঝিয়ে দেন।
ওই সময় তিনি আরো বলেন, রাজাপালং হিজলিয়ার নবী সুলতানের ছেলে রায়হান, জাফর আলমের ছেলে কামাল ড্রাইভার ও সিদ্দিক মিকারের ছেলে সাইফুল মিলে কৌশলে মদের সাথে ব্যাটারী পানি মিশিয়ে খাওয়ানোর বিষয়টিও জহির মৃত্যুর পূর্ববর্তী ছেলেকে জানান।
নিহতের পারিবারিক এবং স্থানীয়সূত্রের বরাত দিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল গফুর সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
এদিকে জহিরের মৃত্যু পরবর্তী উখিয়ায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে নিয়ে গেলে ওসি উল্টো কিসের মামলা বলে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন বলে জানান নিহতের চাচাত ভাই জাহেদুল ইসলাম খোকন। অথচ জহির হত্যাকারীকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবী করছে স্বজনরা।
এ প্রসঙ্গে উখিয়া থানার (ওসি -তদন্ত) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে জহির আহমদের লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেছি। তবে এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উখিয়া থানার ওসি মর্জিনা আকতার বলেন, এ বিষয়ে তাৎক্ষনিক কোন সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক হবে না। তবে স্বজনদের অভিযোগের বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি।