বৃহস্পতিবার ● ১৮ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ৫ কেজি ৭’শ গ্রাম রুপা ও ২২ লাখ টাকাসহ ২জন আটক
৫ কেজি ৭’শ গ্রাম রুপা ও ২২ লাখ টাকাসহ ২জন আটক
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভেটেরিনারী কলেজের সামনে থেকে পাচারের সময় ৫ কেজি ৭’শ গ্রাম রুপা ও ২২ লাখ টাকাসহ ২ জন আটক গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার হলিধানী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো-মানিকগঞ্জ উপজেলার সিংগাইল উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন (৪০) ও একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (২০)। ঝিনাইদহ ডিবি ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারে মেহেরপুর থেকে ঝিনাইদহ হয়ে রুপা ঢাকায় পাচার হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম, এস আই আব্দুল আলিম, এস আই সেলিম রেজা, এএসআই আলিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হলিধানী এলাকার ভেটেরিনারী কলেজের সামনে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। সন্দেহ হলে একটি মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে মোটর সাইকেলের ২ আরোহীকে তল্লাসী করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫ কেজি ৭’শ গ্রাম রুপা ও ২২ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সংরক্ষনের অভাবে ঝিনাইদহের এতিহ্যবাহি জর্জবাড়ি এখন নিশ্চিহ্ন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে ব্রিটিশ আমলে পিতা পুত্র জর্জ ইতিহাতের শেষ চিহ্ন বসত ভিটা কালের স্বাক্ষী হয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে। সংরক্ষনের অভাবে তা আজ নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে বসেছে। জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর গ্রামের চ্যাটার্জী পরিবার উচ্চ শিক্ষিত পরিবার হিসাবে পরিচিত ছিল। এই পরিবারের গোপাল চট্টোপাধ্যায় এবং তার পুত্র অমূল্য চট্টোপাধ্যায় পিতাপুত্র দুই জনই কোলকাতার কোর্টে নাম করা জর্জ ছিলেন। জর্জ গোপাল চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন-নলডাঙ্গার রাজা বাহাদুর প্রমথ ভুষন দেবরায়, জয়দিয়ার রাজা সতিষ চন্দ্র রায় বাহাদুর ও ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যা সাগর। পিতা পুত্র দুই জনাই সাংস্কৃতি, ফারসি ও আরবি ভাষায় প্রগাড় পন্ডিত ছিলেন। তারা এখানে বসবাস করলেও চাকুরির সুবাদে কোলকাতার ২৩/ ৩১ গাড়িয়ারহাট রোড, বালিগজ্ঞে বসবাস করতেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর স্ব-পরিবারে সেখানে চলে যান তারা। সেখানে বংশধররা বসবাস করেন। কিন্তু এখানে ৮৮ শতাংশের জমির উপর নির্মিত রেখে যান সুরম্য পাকা অট্টলিকা। খোঁজনিয়ে জানা গেছে, দেশ ভাগের পর পরিবারটি কলকাতায় চলে যাবার পর সরম্য অট্টলিকার ভবনগুলো স্থানীয় বাওড়ের মৎস অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হত। কিন্তু ১৯৮৫ সালে বিশ^ ব্যাংকের সহায়তায় বাওড়ের জন্য নতুন ভাবে অফিস বরাদ্ধ পাবার পর বাড়িটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। নষ্ট হতে থাকে ভবনের ইমারত গুলো। প্রবীণদের সাথে কথা বলে জান গেছে, তারা শুনেছেন ব্রিটিশ আমলে জর্জ সাহেব গোড়ার গাড়িতে আবার কখনও নৌকায় এবাড়িতে আসতেন। বাড়িটি মুর্শিদাবাদের রাজমিস্ত্রির আদলে তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে বাড়ির ঠাকুর ঘর এবং প্রধান ফোটকটি কোন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। তাদের শেষ চিহ্ন এমনকি ঝিনাইদহ ইতিহাসের এ অংশটি রক্ষনা বেক্ষন করা হোন এমটাই দাবি স্থানীয় সচেতন ব্যাক্তিদের। এবিষয়ে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, তারা জমিটিতে বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক তৈরির করার চেষ্টা করেছেন।
বিপুল পরিমান মাদক সহ গ্রেফতার-২
ঝিনাইদহ :: বর্তমান প্রেক্ষাপটে তরুণ সমাজ ধ্বংসের সবচেয়ে আলোচিত এবং অন্যতম মাধ্যম হিসেবে মাদকদ্রব্যকে ব্যবহার করা হচ্ছে। তদ্রুপ এক শ্রেণীর অসাধু মাদক ব্যবসায়ী নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুব সমাজের হাতে মাদকদ্রব্য বা নেশাজাতীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে এই সকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারসহ মাদক বিরোধী অভিযানে র্যাব সর্বদা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ জুন বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, র্যাব-৬ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম এবং স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি এইচ এম শফিকুর রহমান এর নেতৃত্বে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার নিমিত্তে গমন করেন। এসময় কোটচাঁদপুর বাজারের কন্টিনেন্টাল কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে অভিযান পরিচালনা করে ১ জন মাদক ব্যবসায়ী মোঃ আহাদ আলী (২৪), পিতা-মোঃ আক্কাছ আলী, সাং-কোটচাঁদপুর হাসপাতাল পাড়া, ২নং ওয়ার্ড কোটচাঁদপুর পৌরসভা, থানা-কোটচাঁদপুর, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে আসামীর দখল হতে ৩০৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১টি মোবাইল সেট এবং ১টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর থানায় হস্তান্তর করতঃ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক) ধারার মামলা করা হয়। এদিকে ১৭ জুন দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিপিসি-২, র্যাব-৬ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ আলম এবং স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি এইচ এম শফিকুর রহমান এর নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানা এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনার নিমিত্তে গমন করেন। এ সময় চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানাধীন আন্দুলবাড়িয়া এলাকার মীরপাড়া গ্রামের জনৈক পুটু এর বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১ জন নারী মাদক ব্যবসায়ী মোছাঃ জাহানারা খাতুন (৪৫), স্বামী-পুটু গাজী, সাং-মীরপাড়া আন্দুলবাড়িয়া, থানা-জীবননগর, জেলা- চুয়াডাঙ্গাকে গ্রেফতার করা হয়। তার দখল থেকে ১০৭ বোতল ফেন্সিডিল, ১ টি মোবাইল সেট এবং ১ টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।