শুক্রবার ● ১৯ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » মৌলভীবাজার » স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই ও বিক্রি হচ্ছে : হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য
স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই ও বিক্রি হচ্ছে : হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্য
এম এ কাদির চৌধুরী ফারহান, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ডাক্তারি পরীক্ষা ও ছাড়পত্র ছাড়াই বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে গরু, মহিষ ও ছাগলের মাংস। কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বাজারেই প্রতিদিনই মাংস ব্যবসায়ীরা গরু, মহিষ ও ছাগল জবাই করে বিক্রি করেন। প্রতিটি পশু নির্দিষ্ট জবাইখানায় জবাইয়ের কথা থাকলেও পৌর এলাকায় জবাইখানা না থাকায় নিয়মনীতি না মেনেই যত্রতত্র পশু জবাই করে আসছেন কসাইরা। বাজারে নিম্নমানের অসুস্থ পশু জবাই হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এলাকার সচেতন মহল বলছেন, এসব গবাদিপশুর বিভিন্ন জটিল রোগ থাকতে পারে। পরীক্ষা ছাড়া গবাদিপশু জবাই করা এবং বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয়। এ আইন অমান্য করে প্রকাশ্যে প্রশাসনের নাকের ডগায় দিয়েই বাজারে জবাই হচ্ছে গবাদিপশু।
সুমন নামের একজন ক্রেতা বলেন, বর্তমানে দেশে গুরুর মধ্যে গুটি ভাইরাস সংক্রমণের দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে জবাইকৃত পশুটি সুস্থ ছিল নাকি অসুস্থ ছিল আমরা তা যেভাবে ব্যবসায়ীরা জানে ঠিক একই ভাবে আমরা জানি না। নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা থাকলেও কসাইরা তা নিচ্ছেন না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও কোনো ধরনের তৎপরতা দেখা যায় না। ফলে ক্রেতারা মাংস কিনে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরতে হচ্ছে। পৌর শহরের বাসিন্দা কায়েস আহমেদ বলেন, লোকজন মরা গরুর মাংস খাচ্ছে না কি রোগাক্রান্ত গরু-মহিষের মাংস খাচ্ছে, তা বোঝার কোনো উপায় নেই।
এবিষয়ে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী জামাল আহমেদ বলেন, আমরা গরুর পরিক্ষা করানোর জন্য পৌর মেয়রের কাছে গিয়েছিলাম, তখন পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেছেন আমাদের পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর নাই তাই কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবে আমি পরিক্ষা করে দিয়েছি। মেয়র সাহেব কি ডাক্তার এ প্রতিনিধি গরু ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা আপনি গিয়ে উনাকে জিজ্ঞেস করেন।
এবিষয়ে কমলগঞ্জ পৌর মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেন, ব্যবসায়ীর কথাটি সঠিক নয়। আমি কসাইদের বলেছি নিয়মনীতি অনুযায়ী পশু জবাই করার জন্য।
এবিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ডা. মো. হিদায়াতুল্লাহ বলেন, কমলগঞ্জ পৌর এলাকায় কোথাও স্বীকৃতি প্রাপ্ত কোন কসাইখানা নাই তাই এই কাজটি আমাদের নয়।
খাসিয়া পুঞ্জিতে জেলা প্রশাসকের সবজি বীজ বিতরণ
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির ৬০টি পরিবারের মাঝে দেশীয় বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছের চারা, নানা জাতের সবজি বীজ ও পুঞ্জিতে কর্মরত ১০টি শ্রমিক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করেন মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন। জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির টানা তিন মাস স্বেচ্ছায় লকডাউনে থাকা খাসিয়া পরিবার সদস্যদের খোঁজ খবর নিতে এসে গতকাল বুধবার (১৭ জুন) বেলা ১টায় মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জিতে ফলজ গাচের চারা, সবজি বীজ ও চাল বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী হাকিম সুমন চন্দ্র দাশ, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির মন্ত্রী (গ্রাম প্রধান) জিডিশন প্রধান সুচিয়াং প্রমুখ।
এ সময় জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন, করোনা সংক্রমণকালে নিজ ঘরে থাকাটাই সবচেয়ে বেশী নিরাপদ। সে হিসেবে মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির খাসিয়া পরিবারগুলো টানা তিন মাস স্বেচ্ছায় লকডাউনে ছিল। আর এখনও পর্যন্ত এ পুঞ্জির কোন পরিবার সদস্য অসুস্থ হয়নি। তাদের খোঁজ খবর নিতে এসে তাদের মাঝে ফলজ গাছের চারা, সবজি বীজ ও পুঞ্জিতে অবস্থান নিয়ে ১০টি দরিদ্র শ্রমিক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
জামায়াত নেতা হাফিজুরের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি
কমলগঞ্জ :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে জামায়াত নেতা কাজি হাফিজুর রহমানের উপর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে পলাতক থাকায়, তাকে গ্রেফতার করতে হন্নে হয়ে খুজছে পুলিশ। কোথাও তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। জামায়াত নেতা কাজি হাফিজুর রহমান সহ এ মামলার মোট ৫ জন আসামি দির্ঘদিন ধরে পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও স্থাবর সম্পত্তির ক্রোকী পরোয়ানা জারি করেন। পুলিশ তাদের আত্মিয় স্বজনের বাড়ি সহ আসামিদের বাড়িঘরে হানা দিয়ে তন্ন বিতন্ন করেও আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে পারছেনা।
মামলায় প্রকাশ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ৮ নং আশারকান্দি ইউনিয়নের তিলক গ্রামের মৃত হাবিব কাজীর পুত্র জামায়াত নেতা কাজী হাফিজুর রহমান (৩৫) ও তার দুই ভাই সহ ৫ জনকে আসামি করে, তিলক গ্রামের আলফত খাঁ’র ছেলে শাহ আলম খাঁ। তার অভিযোগের পেক্ষিতে জগন্নাথপুর থানায় মামলাটি রেকর্ড ভূক্ত হয়। যার নং- ০৩, তারিখ ০৭-০৪-২০২০ ইং। দঃ বিঃ ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৬/৩০৭/৩৪/১১৪/ ধারায় মামলা রুজু করে সুনামগঞ্জ আদালতে প্রেরন করা হয়।
আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ। যার, জি আর মোং নং ৪৭/ ২০২০ ইং (জগন্নাথপুর)। দীর্ঘদিন আসামিরা পলাত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ও আসামিদের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকি জারি করেন আদালত। তাছারাও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ সংগঠনের সক্রিয় সদস্য থাকায় তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা সহ একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে। জামাত নেতা কাজি হাফিজুর রহমান সহ অন্য আসামিরা পালাত থাকায় বাদি পক্ষ বর্তমান সরকার দলীয় লোক থাকার কারনে আসামিদের বাড়ি-ঘরে বার বার হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়। বাদী পক্ষের হুমকি দামকি ও অশালীন আচরনে জামাত নেতা কাজি হাফিজুর রহমান বর্তমানে বাড়িঘর ছেরে পলাতক রয়েছেন বলে তাদের আত্মিয়স্বজন ও এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছেন।
১৭০ পিচ ইয়াবাসহ এক যুবক আটক
কমলগঞ্জ :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর কানীহাটি চা-বাগানের জোড়াপুল এলাকা থেকে এক যুবককে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ১৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চা বাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত ওয়াজকুরনী(২৫) কুলাউড়া উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের লালারচক এলাকার মুহাম্মদ আলীর ছেলে।
কমলগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম এএসআই আনিসুর রহমান, এএসআই আয়েছ আহমেদ, এএসআই হামিদুর রহমানের নেতৃত্বে শমশেরনগরের কানীহাটি চা বাগান এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১৭০ পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়।
ইয়াবাসহ এক যুবক আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে এএসআই হামিদুর রহমান জানান, ১৭০ পিস ইয়াবার বাজার মুল্য ৫১হাজার টাকা। মাদক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।