শনিবার ● ২০ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে লাপাত্তা যুবক
প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে লাপাত্তা যুবক
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের মোংলায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে দুই সন্তানের জননীকে (গৃহবধু) ফুঁসলিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হয়েছে এক লম্পট যুবক। টানা এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছে ওই গৃহবধু আর তার কথিত প্রেমিক।
এ ঘটনায় উপজেলার দক্ষিন কাইমনারী গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েক দফায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে শালিস মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও প্রভাবশালী একটি মহলের দাপটে নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দক্ষিন কাইনমারী গ্রামের দিনমজুর লিপটন বিশ্বাসের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত ছিল প্রতিবেশী যুবক মইশখ বিশ্বাসের । এ সুযোগে লিপটন বিশ্বাসের স্ত্রী কনিকা বিশ্বাস (২৬) প্রতিপবেশী মইশখের সঙ্গে পরকীয় প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনা উভয় পরিবারের মধ্যে জানাজানি হলে গত ১০ জুন লিপটন দম্পত্তির মধ্যে বাকবিতন্ডা ও ঝগড়া হয়।
এদিন রাতে কথিত প্রেমিক মইশখ লোকজন নিয়ে লিপটনকে হামলা ও মারধর করে দু’সন্তানের জননী কনিকা বিশ্বাসকে নিয়ে পালিয়ে যায়। লিপটন বিশ্বাস জানান, প্রেমের ফাঁদে ফেলে এলাকার লম্পট যুবক তাকে মারধর করে নগদ অর্থকড়ি ও স্বর্নলংকার সহ তার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে।
ঘরে তার দু’শিশু কন্য মায়ের জন্য কান্নাকাটি ও অস্থির হয়ে উঠছেন।
পরে বিষয়টি শালিস মিমাংসার দায়িত্ব নেন স্থানীয় ইউপি সদস্য র্দূজয় মন্ডল। পরে মিামংসা বৈঠকে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল কথিত প্রেমিক-প্রেমিকার পক্ষ অবলম্বন করায় সুরাহ করা সম্ভব হয়নি। নিরুপয় হয়ে শেষ পর্যন্ত নগদ টাকা পয়সা ও স্ত্রীকে ফেরত পেতে মোংলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন লিপটন বিশ্বাস। তিনি জানান, এলাকার অর্থলোভী লম্পট যুবক মইশখ প্রতিবেশী আরও বেশ কয়েকটি সংসার ভেঙ্গেছে। হাতিয়ে নিয়েছে নগদ অর্থ ও স্বর্নলংকার।
এ প্রসঙ্গে মোংলা থানার এস আই দেব্রত সরদার জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের অনুসন্ধান করা হচ্ছে। তাদের পাওয়া গলে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
করোনা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর টহল ও জীবাণুনাশক বিতরণ
বাগেরহাট :: করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ রোধকল্পে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘‘In Aid to Civil Power” এর আওতায় কমান্ডার খুলনা নেভাল এরিয়া এর তত্ত্বাবধানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদান করে আসছে। দেশের বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের সচেতনতার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের অংশ হিসেবে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনী কন্টিনজেন্ট বরগুনা জেলা সদর, পাথরঘাটা, আমতলী, বামনায় ও তালতলী এলাকায় নিয়মিত টহল প্রদান করে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহায়তা প্রদান করে এবং উপজেলাসমূহের বিভিন্ন স্থানে ১২০টি সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে। উপজেলাসমূহের বিভিন্ন মসজিদে ২৪ কেজি ব্লিচিং পাউডার বিতরণ করা হয়। সাধারণ জনগণকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ, একান্ত প্রয়োজনে বাড়ির বাহিরে অবস্থানের ক্ষেত্রে মুখে মাস্ক পরিধানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়। জনগণকে বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও অন্যান্য যানবাহন ব্যবহারে সরকারী নীতিমালা অনুসরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়। সরকার নির্ধারিত সময়ের পর সকল বাজার, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাধ্যতামূলকভাবে বন্ধ রাখতে এবং ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে ব্যবসায়ীদের বোঝানো হয়। নৌ কন্টিনজেন্ট মংলা সামাজিক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিগরাজ বাজার, বুড়িরডাঙ্গা, আপাবাড়ি, মংলা বাজার, মংলা বন্দর, হাসপাতাল চত্ত্বর ও ফেরিঘাট এলাকায় টহল অব্যাহত রেখেছে। সামাজিক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে নতুন নতুন স্থানে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সর্ম্পকিত বিভিন্ন ব্যানার স্থাপন করে ও প্লাকার্ড নিয়ে রাস্তার বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকা প্রদক্ষিণ করে। দিগরাজ বাজার, মংলা ফেরিঘাট এবং আশেপাশের এলাকার রাস্তায় প্রতিদিনের মত ক্লোরিন মিশ্রিত পানি দ্বারা জীবাণুমুক্ত করা হয়। নৌ কন্টিনজেন্ট মংলা জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানসহ নিয়মিত টহল ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ।