মঙ্গলবার ● ৩০ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » হুমকির মুখে গাইবান্ধার শহর রক্ষা বাঁধ
হুমকির মুখে গাইবান্ধার শহর রক্ষা বাঁধ
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৮০ সে.মি. ও ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৫৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এদিকে করতোয়া নদীর পানি ২৪ ঘন্টায় ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নতুন নতুন এলাকা বন্যা কবলিত হচ্ছে এবং বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির আরও মারাত্মক অবনতি হচ্ছে। সেইসঙ্গে গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া এবং ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে নদী ভাঙন ব্যাপক ধারণ করেছে।
এছাড়া গাইবান্ধা সদরের নতুন ব্রীজ থেকে ডেভিড কোম্পানিপাড়ার আগের বাড়ী পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধটি পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার আগে তড়িঘড়ি করে বালু দিয়ে সংস্কার শুরু করে। বন্যার পানির তোড়ে বালু সরে গিয়ে বাঁধের ৪টি পয়েন্টে ফুটো দিয়ে পানি চুইয়ে পড়ছে। সেইসঙ্গে বাঁধের গোড়ার মাটি ধসে যাচ্ছে। ফলে শহর রক্ষা বাঁধটি এখন চরম হুমকির মুখে।
এদিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামে বসতবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় প্রায় ৫শ’ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়া ব্যাপক এলাকার ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। সেইসঙ্গে করতোয়া নদীর ভাঙনে ওই ইউনিয়নের ধনদিয়া গ্রাম জুড়ে ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে দু’দিনে দু’দিনে ওই গ্রামে ২০টি পরিবার ও ফুলছড়ি উপজেলার পশ্চিম জিগাবাড়ি গ্রামের ৪২টি পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহারা হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙনে চরম হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি বাজার, নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা, ঈদগা মাঠ, একটি বিএস কোয়াটার, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র, দুটি জামে মসজিদ, ৩টি মোবাইল টাওয়ার ও একটি বাজার। নদী ভাঙন এলাকা থেকে মাত্র কয়েক গজ দুরেই এসব প্রতিষ্ঠান অবস্থান করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও গাইবান্ধা শহর রক্ষা বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তবে বাঁধ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জেলায় মোট ১৮টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এরমধ্যে সুন্দরগঞ্জে ৪, ফুলছড়িতে ৬, সাঘাটায় ৫ ও সদর উপজেলায় ৩টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত।
গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন
গাইবান্ধা :: সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মাদারপুর গীর্জার সামনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাঁওতাল বিদ্রোহে সিদু, কানুসহ নাম না জানা শহীদ ও বাগদাফার্মে পুলিশের হামলায় গুলিতে নিহত শ্যামল-রমেশ-মঙ্গলসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রয়াতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ফিলিমন বাস্কের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাফরুল ইসলাম প্রধান, গণেশ মুর্মু, সুফল হ্রেমব্রম, থমাস হেমব্রম, বার্নাবাস টুডু, রেজাউল করিম, স্বপন শেখ, প্রিসিলা মুর্মু, অলিভিয়া মার্ডি প্রমুখ।
সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, বাংলাদেশ আদিবাসী ইউনিয়ন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ ও জনউদ্যোগ যৌথভাবে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের বার কাউন্সিলে সরাসরি তালিকাভুক্ত করে সনদ প্রদানের দাবিতে
গাইবান্ধায় আইনজীবীদের মানববন্ধন
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা বার এসোসিয়েশনের সকল শিক্ষানবীশ আইনজীবীদের বার কাউন্সিলে সরাসরি তালিকাভুক্ত করে সনদ প্রদানের দাবিতে গাইবান্ধা জেলা আইনজীবি সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার শহরের ডিবি রোডে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন সমাবেশ চলাকালে বক্তব্য রাখেন শিক্ষা নবীশ আইনজীবী আব্দুল জলিল, শাহীন প্রধান, রায়হানুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, খন্দকার জাকারিয়া জিম, লুৎফুন্নাহার সবিতা, সাজ্জাদ বিন রহমান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, করোনা ভাইরাসের থাবায় পৃথিবী আজ মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে। বিশ্বের সব পেশার মানুষ আজ এই ক্রান্তিলগ্নে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। শুধুমাত্র শিক্ষা নবীশ আইনজীবী ছাড়া, বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে আইন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করার ৬ মাসের ভেতর আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির বিধান থাকলেও আমাদের দেশে একবার তালিকাভুক্তি হওয়ার পর আরো ৩ থেকে ৪ বছরে ও আরেকটি তালিকাভুক্তির কার্যক্রম শেষ হয়না।
করোনা ভাইরাসে জর্জরিত বিশ্বের চলমান দুর্যোগকালীন মুহূর্তে পরীক্ষা কখন হবে তালিকাভুক্তি কখন হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
বক্তারা অবিলম্বে ২০২০ সালের এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল আইনজীবীদের বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কতৃক সরাসরি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তি করে আদালতে সরাসরি প্রাকটিস করার অনুমতি এবং গেজেটের মাধ্যমে সনদ প্রদানের দাবি জানান।