রবিবার ● ৫ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বর্ষা মৌসুমে সড়কের বেহাল দশা, দূর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
বর্ষা মৌসুমে সড়কের বেহাল দশা, দূর্ভোগে ১০ গ্রামের মানুষ
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন এবং যাত্রাপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের মারাত্মক দুরাবস্থা দেখা দিয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই এটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। কখনও কখনও দূর থেকে এটিকে দেখলে প্রবাহমান নদী বলেও মনে হতে পারে। বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ‘বাগদিয়া’ গ্রামের প্রধান সড়ক এটি। যাত্রাপুর বাজার থেকে ১০/১১ টি গ্রামে যাওয়ার একমাত্র সহজ ও প্রধান সড়ক এটি। বিগত কয়েক বছর যাবৎ এই সড়কে তেমন উন্নত মানের কোন মেরামত কাজ হয়নি।
গত অর্থ-বছরে ভৈরব নদীটি খনন করার জন্য নদীর মাঝে বাঁধ তৈরী করাতে বৃষ্টির পানি সরবরাহের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় এই সড়ক সহ আশপাশের গ্রামের বেশ কিছু অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং রাস্তার বেশ কিছু অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে গর্তগুলি মানুষের নজর আন্দাজ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। ফলে জনসাধারণ প্রতিনিয়তই নানা ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। বর্তমানে রাস্তাটি পথচারীদের জন্য খুবই অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, চলাচলের জন্য একমাত্র এই রাস্তাটি ছাড়া এলাকাবাসির বিকল্প কোন সড়ক বা রাস্তা না থাকায় চলাচলে তারা মারাত্নক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। পথচারীদের মধ্যে বাগদিয়া গ্রামের ইমতিয়াজ উদ্দীন বলেন, “বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তাটি আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়ক হওয়ায় আমাদের নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। এই রাস্তাটি পুনঃ সংস্করণ ও উঁচু করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ ও জন-প্রতিনিধিগন বিষয়টি আমলে এনে রাস্তাটি পুনঃ সংস্করণ এর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনসাধারণের চলাচল উপযোগী করে তুলবেন এটা সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবী”।
প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেল ১০৭ জন শিক্ষক কর্মচারী নন এমপিও
বাগেরহাট :: করোনা পরিস্থিতিতে বাগেরহাট সদর উপজেলার নন এমপিও শিক্ষকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আজ রবিবার ৫ জুলাই দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই প্রনোদনার চেক বিতরণ করা হয়। এসময় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিজিয়া পারভীনসহ শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
সদর উপজেলার ৯টি নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০৭ জন শিক্ষক কর্মচারীর মধ্যে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।