বৃহস্পতিবার ● ৯ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মানব সেবাই আমার মূল ব্রত চিকিৎসক কামরুজ্জামান
মানব সেবাই আমার মূল ব্রত চিকিৎসক কামরুজ্জামান
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দন্ড হতে অব্যাহতি প্রাপ্ত গরীবের চিকিৎসক খ্যাত মো. কামরুজ্জামান চিকিৎসা সেবায় মনোনিবেশ করেছেন। চিকিৎসা জগতে পা দিয়েই নিজের জীবনটা মানব সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন তিনি। খাগড়াছড়িতে গরীবের ডাক্তার নামেও আছে তার পরিচিতি।
বিগত বছর গুলিতে অসংখ্য রোগীর চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তিনি। এখনও অব্যাহত রেখেছেন তার মানব সেবার কাজ। এলাকায় একজন ভালো চিকিৎসক হিসেবে রয়েছে তার সু-নাম।
কারো অসুস্থতার খবর পেলেই দিন-রাত, ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছুটে চলেন জেলার আনাচে কানাচে। সাদামাটা এ মানুষটি রোগীদের কথা শোনেন মনোযোগ সহকারে। পাইলস ও পলিপ রোগে বিনা অপারেশনে ওষুধের মাধ্যমে রোগীর রোগ দ্রুত নিরাময়ে রয়েছে তার সু-খ্যাতি। পার্বত্য তিন জেলাসহ দূর দূরান্ত হতে প্রতিনিয়ত তার নিকট চিকিৎসা সেবা পেতে ছুটে আসছেন লোকজন। অনেক অসহায় দরীদ্র রোগী চিকিৎসা খরচ বহনে অপারগতায় বিশেষ ছাড় দিয়ে চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন এ মানবতার ফেরিওয়ালা।
গরীবের চিকিৎসক কামরজ্জামান বলেন, মানব সেবাই আমার মূল ব্রত। চিকিৎসা জগতে পা দিয়েই নিজের জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছি মানব সেবায়। বিশেষ করে বিনা অপারেশনে পাইলস ও পলিপ রোগের চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় খাগড়াছড়ি সদরের শান্তি নগরসহ উপজেলা গুলিতে দূর-দূরান্ত থেকে এ রোগের চিকিৎসা নিতে এসে মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। তিনি বলেন, মানুষকে ভালোবাসলে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়। আমার জন্য আশির্বাদ করবেন যাতে আজীবন মানব সেবায নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি। যতদিন বেঁচে আছি, ততদিন মানুষের সেবা করে যাবো। মানুষের সেবা করেই আমি আত্মতৃপ্তি পাই। মানব সেবা যেন আমার জীবনের একটি বড় অংশে পরিণত হয়েছে।
মুসলিম পাড়ার পাইলস রোগী ব্যাবসায়ী মো. মজিবুর রহমান বলেন, কামরুজ্জামান একজন ভালো চিকিৎসক হিসেবে তিনি একজন ভালো মনের মানুষ। তার চিকিৎসা নিয়ে আমি বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছি। এলাকাবাসী খুব ভাগ্যবান তার মত একজন চিকিৎসক তারা পেয়েছেন। শান্তি নগর এলাকার তাসলিমা আক্তার নামে এক ছাত্রী পলিপ রোগ থেকে সুস্থ হয়ে বলেন, চিকিৎসক কামরুজ্জামান বিনা অপারেশনে পালিপ রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন জেনে আামরা তার স্মরণাপন্ন হই। তার চিকিৎসায় বর্তমানে আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি। এখন আর কোন সমস্যা দেখা দিচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ অক্টোবর দীঘিনালার রসিক নগর বটতলা ১ নং মেরুং এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ উল্লাহ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় মো. কামরুজ্জামানকে তার চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সঙ্গে না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে মোবাইল কোর্টে অভিযুক্ত করে বিএমডিসি আইনে ৬ মাসের দন্ড দেয়া হয়। পরবর্তীতে গত ৫ ফেব্রুয়ারী/২০ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালতে পেশ করলে, আদালত তাকে ঐ মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেয়।