মঙ্গলবার ● ১৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » করোনাকালে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পাশে “চিহ্ন”
করোনাকালে মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পাশে “চিহ্ন”
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ::করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় এক ভিন্নধর্মী সেবা প্রদান করেছে সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “চিহ্ন”। রাস্তায় পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীনদের মাঝে নিরবে রান্না করা খাবার সরবরাহ করে যাচ্ছে সংগঠনটি।
জেলার পানছড়িতে দেখা গেছে , অতি অসহায় ও ভাসমান মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করছে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা। প্রতিটি প্যাকেটে ভাত, মুরগির মাংস, ডিম ও সবজির সাথে মিনারেল পানির বোতল নিয়ে বাজার ও আশেপাশের এলাকায় মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষদের খুঁজে বের করে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। জানা যায়, গত ২৬শে মার্চ থেকে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন তারা। প্রথম দুইমাস প্রতিদিন প্রায় ২৮/৩০ জন ও গত একমাস থেকে ১৬/১৭ জন ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন ও অতি অসহায় মানুষকে রান্না করা খাবার সরবরাহ করছেন।
পানছড়ি উপজেলায় চিহ্ন’র প্রতিষ্ঠাতা ও পানছড়ি সদর ইউডিসি উদ্যোক্তা মুহাম্মদ শামিম সিহাব জনান, প্রাণঘাতী নোভেল করোনা ভাইরাস এর ভয়ঙ্কর থাবায় বৈশ্বিক মহামারি থেকে বাদ যায়নি বাংলাদেশ। প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৎপরতায় বেশ কিছুদিন নিরাপদ থাকলেও শেষ রক্ষা হয়নি পর্যটনখ্যাত প্রিয় খাগড়াছড়ির। এ সময় বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে উচ্ছিষ্ট খাবার ও ডাস্টবিন ঘেঁটে খাবার সংগ্রহ করা অসহায় ভবঘুরে ভাসমান মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষগুলো চরম খাদ্য সংকটে পড়ে। তাঁদের বাঁচিয়ে রাখতে গত ২৬ শে মার্চ থেকে তাদের পাশে দাঁড়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘চিহ্ন’। ‘আমার শহরে অভুক্ত ঘুমাবে না একটি অভিযোগহীন মানুষ’ এই শ্লোগানে দীর্ঘ তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে কোরোনা ভাইরাসের জেরে অস্থিরতার মধ্যেও প্রতিদিনকার রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে অসহায় মানুষগুলোর মুখে খাবার তুলে দেয়া হচ্ছে।
দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ‘ফুড শেয়ার ইউথ চিহ্ন’ নামে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫০০ জনের অধিক ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন, প্রতিবন্ধী ও অতি অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সরবরাহ করেছে। প্রশাসনিক ও অন্যান্য সহযোগীতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুরুতে উপজেলা প্রশাসন মানবিক সহযোগীতায় আমাদের পাশে দাঁড়ালেও বর্তমানে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে অর্থসংকটে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: রাকিবুল ইসলাম’র আন্তরিক সহযোগীতা ও পরামর্শ আমাদের পথ চলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।