মঙ্গলবার ● ১৪ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৯৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত
ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৯৯ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন পুনরায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ওইসব এলাকার ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ এখন পানিবন্দী।
যেসব এলাকা থেকে পানি নেমে গিয়েছিল ওইসব এলাকা আবার নতুন করে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। ফলে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় পানিবন্দী পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছে। শুকনো খাবার ও জ্বালানির অভাবে খাদ্য সংকটে পড়েছে বন্যার্ত মানুষ। অনেকে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে গরু-ছাগল নিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ও উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৯৯ সে.মি. এবং ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৭১ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ এবারের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ উপজেলার বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণের জন্য নতুন করে ১শ’ মে. টন চাল, ৪ লাখ টাকা, ১ হাজার ৮শ’ প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশু খাদ্যের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গাইবান্ধার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, বন্যার পানি আরও দুদিন বাড়বে। এতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১১০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টে জরুরী প্রতিরক্ষামূলক কাজ করা হচ্ছে। বাঁধের অবস্থা এখনও ভালো আছে।
গাইবান্ধায় মশক নিধন ও জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রমের উদ্বোধন
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধা পৌরসভার উদ্যেগে মঙ্গলবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে শহরের দাস বেকারির মোড় থেকে মশক নিধন ও জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি থেকে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শহরের গণমান্য বক্তিসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ।
উদ্বোধনের আগে পৌর মেয়র বলেন, “পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় পৌরবাসিকে সুরক্ষা দিতে এই কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। এই কার্যক্রম একই সঙ্গে করোনা ভাইরাস থেকেও আমাদের রক্ষা করবে।
গাইবান্ধা পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌর এলাকার নয়টি ওয়ার্ডে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ি মশক নিধন ও জীবানুনাশক স্প্রে কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডের পাড়া মহল্লায় পরিচালিত হবে।