বুধবার ● ২৯ জুলাই ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে বিশ্ব বাঘ দিবস পালন
বাগেরহাটে বিশ্ব বাঘ দিবস পালন
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট প্রতিনিধি :: বাঘ আমাদের গর্ব, বাঘ বাঁচলে সুন্দরবন বাঁচবে। তাই যে কোন মূল্যে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে। মানুষের অত্যাচারে সুন্দরবন আজ বিপর্যস্ত। এছাড়া পাচারকারী দলের শক্তিশালী সিন্ডিকেট’র মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাঘ হত্যা করা হচ্ছে। সুন্দরবনের প্রান পশুর নদীকে শিল্প দূষণ কবল থেকে রক্ষা করতে না পারলে বাঘসহ সুন্দরবন ও প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা করা যাবে না। আজ ২৯ জুলাই বুধবার সকালে বাগেরহাটে বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এবং ওয়াটারকিপার বাংলাদেশ’র আয়োজনে ”সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও” শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা একথা বলেন।
বুধবার সকাল ১১টায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন পালন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। মোংলার ফেরিঘাট চত্বরে এ দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ”সুন্দরবন বাঁচলে বাঘ বাঁচবে”, ”পশুর নদী বাঁচাও, সুন্দরবন বাঁচাও, বাঘ বাঁচাও”, ”টাইম ফর ন্যাচার” ”ক্লাইমেট জাসটিস নাউ” ”গ্রীণ রিকভারী” ”গ্রীণ জবস” ”স্টপ কোল, স্টপ নিউক্লিয়াির” প্রভৃতি শ্লোগান লেখা প্লাকার্ড-ব্যানার নিয়ে মানববন্ধন করেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর বাগেরহাট জেলা কমিটির আহ্বায়ক মোঃ নূর আলম শেখ’র সভাপতিত্বে বাপা নেতা নাজমুল হক, কমলা সরকার, আব্দুর রশিদ হাওলাদার, সার্ভিস বাংলাদেশ’র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, কবি জহির কামালসহ অন্যান্যরা বক্ব্য রাখেন।
এছাড়া এদিন বিকেল ৪টায় বাপা এবং পশুর রিভার ওয়াটারকিপার এর আয়োজনে ”বাঘ দিবসে বাঘের গল্প” শীর্ষক বিশেষ ভার্চুয়াল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাপা’র নির্বাহী সহ-সভাপতি ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বাপা’র সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল এবং পশুর রিভার ওয়ারটাকিপার মোঃ নূর আলম শেখ।
“বাঘ দিবসে বাঘের গল্প” শীর্ষক ভার্চুয়াল সেমিনারে প্যানেল আলোচক ছিলেন সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির, বাঘ বন্ধু মোঃ আলামীন মোছাল্লী, ভিলেজ টাইগার রেসপন্স টিমের নান্টু গাজী, ডলফিন কনজারভেশন টিমের টিম লিডার ই¯্রাফিল বয়াতী, বাঘের আক্রমণের শিকার নুরুজ্জামান সানা, সুন্দরবন ট্যুর গাইড মোঃ নাজমুল হক, দুবলা চরের জেলে নজরুল ইসলাম, শুদ্ধপ্রাণ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র রায়।
বাগেরহাটে মোরেলগঞ্জে চোরাই সন্দেহে ৩৫ বস্তা চাল জব্দ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটেরমোরেলগঞ্জে চোরাই চাল সন্দেহে ৩৫ বস্তা চাল জব্দ করেছন সহকারি কমিশনার(ভূমি) রঞ্জণ চন্দ্র দে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফুলহাতা বাজারের মুদি ব্যাবসায়ী অলিয়ার কাজীর দোকান সংলগ্ন বসতঘর থেকে এ চাল জব্দ করেন। এ সময় অলিয়ার কাজী পলাতক ছিলেন।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে বহরবুনিয়া ইউনিয়নে হতদরিদ্রের জন্য পাওয়া বিষেশ ভিজিএফ এর চাল বস্তা পরিবর্রিতন করে ওই দোকানীর নিকট গোপনে বিক্রি করা হয়েছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থল থেকে থানার ওসি(তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল বলেন, স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অলিয়ার কাজীর ঘরে পাওয়া ৩৫ বস্তা চাল জব্দ করা হয়েছে। অলিয়ার কাজীকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
ফকিরহাটে নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে উপজেলা প্রেসক্লাবের ফুলেল শুভেচ্ছা
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের ফকিরহাটে নবনিযুক্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর রহমান-কে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেছেন ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবের নের্তৃবৃন্দ। আজ বুধবার ২৯জুলাই সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শেখ ফারুক হোসেন, আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ সিহাব উদ্দিন রুবেল, উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য খান, মাহবুবুর রহমান দুলু, কামরুল আহসান হিরক,মোজাহিদুর রহমান,সহ-সাধারণ সম্পাদক শেখ আজমল হোসেন,শেখ মাসুম বিল্লাহ,শেখ মনিরুজ্জামান মনি প্রমুখ।
মধুমতিনদী’র পাড় দখল করে স্থাপনা নির্মান পানি প্রবাহে চরম বাধা
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে খননকৃত পুরাতন মধুমতি নদী হস্তান্তরের আগেই স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করেছেন। ওই প্রভাবশালীরা নদী ও খালের ভিতর পাঁকা স্থাপনা নির্মান করায় পানি প্রবাহ চরম ভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে সরকারের ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ টি নদী ও ৫৫ টি খাল খনন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে খাল খনন এখনও শেষ হয়নি।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পানি প্রবাহ ও গতি ফিরিয়ে আনতে সরকার চিতলমারীর পুরাতন মধুমতি, হক ক্যানেল ও মরা চিত্রসহ ৩ টি নদী ও ৫৫টি খাল পুনঃ খননের উদ্যোগ নেয়। এ প্রকল্পে ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। গত বছরের (২০১৯ সাল) ২৩ ডিসেম্বর চিতলমারী সদর বাজারে মরা চিত্রা নদীর পাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে খাল ও নদী খনন শুরু হয়। ইতিমধ্যে বেশ কিছু খাল খনন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, এখনও হক ক্যানেলের দু’পাড়ে প্রভাবশালীদের গড়ে তোলা অবৈধ পাকা ইমারত উচ্ছেদ হয়নি। ‘তাতেই বেধেছে গন্ডগোল।’ ওই প্রভাবশালীদের দেখাদেখি পুরাতন মধুমতি নদী হস্তান্তরের আগেই আরও কয়েকজন প্রভাবশালী পাড় দখল করে নদীর ভিতর অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মান করেছেন। অনেকে আবার স্থাপনা নির্মান করে ভাড়া দিয়েছেন। খননকৃত পুরাতন মধুমতি নদীর পাড়ে দখলকারীরা হলেন, শান্তিপুর ব্রীজের গোড়ায় সুকেশ মন্ডল, বোয়ালিয়া গ্রামে ভক্ত মন্ডল, বিপুল বিশ্বাস, তপন রায়, বাপ্পী, কুড়ালতলা ব্রীজের গোড়ায় রাসেক মিয়া, মান্নান গাজী, অলি গাজী ও মিন্টু শেখ সহ ১৫-২০ জন। তাদের স্থাপনায় পানি প্রবাহ চরম ভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে তারা আরও জানান, এই অবৈধ দখলবাজদের কারণে সরকারের ২৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩ টি নদী ও ৫৫ টি খাল খনন প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ছে।
এ ব্যাপারে রাসেক মিয়া জানান, তিনি খালের পাড় দখল করলেও নদীর মধ্যে তো যাননি। এতে পানি প্রবাহের কোন ক্ষতি হবে না।
তপন রায় সাংবাদিকদের জানান, তিনি এক বিশেষ ব্যাক্তির সন্তান। সেই পরিচয়েই তিনি নদীর মধ্যে পাকা ইমারত নির্মান করেছেন। তাকে কেউ বাধা দেয়নি।
তবে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদুজ্জামান জানান, খনন কাজ এখনও শেষ হয়নি। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত আছে।
করোনা ভীতি উপক্ষো করে জনগনের পাশে সিটি মেয়র তালুকদার আ: খালেক
বাগেরহাট :: করোনা ভয়ে যখন প্রত্যেকে নিজেকে নিরাপদ রাখতে সদা ব্যস্ত , ঠিক সেই মুহুর্তে নিজের জীবনকে ঝুকিতে ঠেলে দিয়ে প্রতিনিয়ত সাধারন মানুষের খোজ খবর নেয়ার জন্য খুলানা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আ: খালেক সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি রামপাল-মোংলার প্রতিটি কাজকে নিয়মিত এলাকায় উপস্থিত হয়ে পর্যবেক্ষন করছেন। পাশাপাশি সাধারন মানুষের অধিকার থেকে যাতে তাদের কেউ বঞ্চিত করতে না পারে , সে দিকে অবিরত খেয়াল রেখে চলেছেন। সরকারী সাহায্য যাতে সত্যিকার প্রাপকদের মাঝে বন্টিত হয় , সে বিষয়ে ও তিনি নজর রাখছেন। কখন ও নিজে থেকে আবার কখনও প্রশাসনকে দিকনির্দেশনা দিয়ে এ কাজ তিনি সমান তালে সামলিয়ে চলেছেন। এরই অংশ হিসেবে আসন্ন ঈদে যাতে গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে যথাযত ভাবে ত্রান সামগ্রী পৌছে যায়, সে লক্ষ্যে আজ ২৯ জুলাই বুধবার সকালে তিনি প্রথমে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত মানবিক সহায়তা কর্মসূচীর আওতায় ঈদ উল আযহা উপলক্ষে দুঃস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে শাড়ী, থ্রি-পিচ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার জন্য ছুটে আসেন। এরপর একে একে তিনি বাইনতলা , হুড়কা ও রাজনগর ইউনিয়নে উপকারভোগীদের হাতে নিজে ঈদ উপহার ও ত্রান সামগ্রী তুলে দেন। এ সময় তিনি তার পক্ষ থেকে প্রায় দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার ও ত্রান সামগ্রী হিসেবে শাড়ী, ত্রি-পিচ, চাল, ডাল, তেল ও অন্যান্য সামগ্রী জনগনের হাতে তুলে দেন। এরপূর্বে ২৪ জুলাই ও তিনি খুলনা থেকে ছুটে এসে ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৫হাজার ভিজিএফ কার্ডধারী গরীব মানুষের হাতে চাল তুলে দেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে ত্রান নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে ও তার কঠোর নজরদারী ও নির্দেশনার জন্য রামপাল মোংলায় এখনও গরীব মানুষের অধিকার থেকে কেউ বঞ্চিত করার সাহস পায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর উপহার দেয়া একটি ঘরের নির্মান কাজ দেড় বছরেও শেষ হয়নি
বাগেরহাট :: বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগুম্বুজ ইউনিয়নের শ্রীঘাট গ্রামের হামিদ শেখের স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের নামে ২০১৮-১৯অর্থ বছরে বরাদ্দ কৃত টি আর কাবিখা কর্মসুচীর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাস গৃহ নির্মান প্রকল্পটি দেড় বছরে ও সমাপ্ত করেনি উক্ত প্রকল্পের পিআইসি ।
দেড় বছরে ও তার নামে বরাদ্দকৃত বাসগৃহটির নির্মান কাজ সমাপ্ত না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অসমাপ্ত ত্রানের ঘর সমাপ্ত করনের জন্য লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভুগী আনোয়ারা বেগম।
ভুক্তভুগীর লিখিত আবেদন সূত্রে ও সরজমিনে অনুসদ্ধানে জানাগেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে টি আর,কাবিখা কর্মসূচীর আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাস গৃহ নির্মান প্রকল্পের একটি ঘর বরাদ্দ হয় উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের শ্রীঘাট গ্রামের হতদরিদ্র আঃ হামিদ শেখের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ওই অর্থ বছরেই আনোয়ারা বেগমের ঘরের কাজ শুরু করেন উক্ত প্রকল্পের পিআইসি ও ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চু ঘরের নকসা অনুযায়ী পাকা দেওয়াল ,পোলর পাকা, দেওয়ালে প্লাষ্টার ,এবং ঘরের চালের ফ্রেম ও দরজা,জানালার ফ্রেম বসালে ও দেড় বছরে ও উক্ত ঘরের টিন ছাওনি ও দরজা জালানা লাগাননি তিনি ফলে বৃষ্টির পানিতে ভিজে ঘরের চালের ফ্রেম ও দরজা,জানালার ফ্রেম নষ্ট হবার উপক্রম হয়েছে প্রায় এবং দেওয়ালে ও সেদলা পড়েছে।
এ ব্যাপারে ভুক্তভুগী আনোয়ারা বেগমের ছেলে মিরাজুর ইসলাম বলেন চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের একটি ঘর দিয়েছিলেন কিন্তু দেড় বছরে ও ঘরের নির্মান কাজ শেষ হয়নি। এই প্রাকল্পের উপকার ভুগী আনোয়ারা বেগম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের ঘরে স্বামী সন্তান নিয়ে বসবাস করতে পারছেন না । এই হতদরিদ্র পরিবারটি বর্তমানে উপহার পাওয়া ঘরের পাশের্^ থাকা পুরানো ছাপড়া ঘরে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ষাষ্টগম্বুজ ইউপি সচিব মোঃ শওকত আলী বলেন, এই প্রকল্পের পিআইসি চেয়ারম্যান সাহেব তার সাথে কথা বলুন।
এ বিষয়ে উক্ত প্রকল্পের পিআইসি ও ষাটগম্বুজ ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আক্তারুজ্জামান বাচ্চুর নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি এখন কোন কথা বলব না ঈদের পর বলব বলে মোবাইলের সংযোগ বিছিন্ন করে দেন।
এবিষয়ে মুঠো ফোনে জানতে চাওয়া হলে তৎকালিন (২০১৮-১৯ অর্থ বছর) উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমানের নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন উক্ত ব্যক্তির নামে ত্রানের ঘর বরাদ্দ হয়েছিল কিন্তু উক্ত প্রকল্পের বিল দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে বাগেরহাট সদর উপজেলার নবাগত নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোছাব্বেরুল ইসলাম মহিলার আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি (ইউএনও) আজ বুধবার দুফুরে মহিলার উপহার পাওয়া নির্মানাধীন বাড়িটি সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম । আমি তো ওই সময় দ্বায়িত্বে ছিলাম না, দ্রুত ঘরটির বাকি কাজ সম্পন্ন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতেছি তবে এতদিন ঘরটির নির্মান কাজ সমাপ্ত না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে কারো কোন ত্রুটি পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সুদ কারবারি অত্যাচার-নির্যাতনে স্কুল শিক্ষিকা’র আত্মহত্যা আরও গ্রেফতার ১
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের চিতলমারীতে সুদখোরদের নির্মম অত্যাচার-নির্যাতনে স্কুল শিক্ষিকা হাসিকনা বিশ্বাসের আত্মহত্যার ঘটনায় সুনীল বিশ্বাস (৫০) নামে আরও এক সুদ কারবারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে কুড়ালতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুনীল বিশ্বাস কুড়ালতলা গ্রামের অতুল বিশ্বাসের ছেলে এবং মামলায় এজাহার নামীয় ৬ নং আসামী। সুনীল বিশ্বাসকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে পুলিশ ২৪ জুলাই রাতে ‘হিটলিস্টে’ থাকা সুদ কারবারি রেফাজুল খান (৩৮) কে গ্রেফতার করে।
চিতলমারী থানার ওসি মীর শরিফুল হক জানান, সুদ কারবারীদের তিরস্কার-গালিগালাজ ও অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে সোমবার (২০ জুলাই) দুপুরে নিজ বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন হাসিকনা বিশ্বাস। নিহত হাসিকনা বিশ্বাস উপজেলার দক্ষিন শিবপুর মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা এবং খড়মখালি গ্রামের যুগল কান্তি ডাকুয়ার স্ত্রী। মৃত্যুর দুই দিন পরে (২২ জুলাই) হাসিকনার স্বামী যুগল কান্তি ডাকুয়া বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে চিতলমারী থানায় এই মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ আসামীদের ধরতে অভিযানে নামে। মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে কুড়ালতলা এলাকা থেকে সুনীল বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুনীল বিশ্বাস কুড়ালতলা গ্রামের অতুল বিশ্বাসের ছেলে এবং মামলায় এজাহার নামীয় ৬ নং আসামী। সুনীল বিশ্বাসকে বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে ২৪ জুলাই রাতে ‘হিটলিস্টে’ থাকা সুদ কারবারি রেফাজুল খানকে গ্রেফতার করে আদালতেপ্রেরণ করা হয়েছে।
ওসি আরো জানান,চিতলমারীতে সুদের ব্যবসা বন্ধ ও মাদকমুক্ত করতে পুলিশের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সুন্দরবনে বিষ দস্যু ধরতে বন বিভাগের পাশাপাশি পুলিশের অভিযান আটক-৭
বাগেরহাট :: সুন্দরবন জুড়ে বন বিভাগের পাশাপাশী এখন পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। সফলতাও এনেছে পুলিশ প্রশাসন। তাই সুন্দরবনে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকারের অভিযোগে জেলে ও কীটনাশক বিক্রেতাসহ ৭ জনকে আটক করেছে মোংলা থানা পুলিশ। এ সময় বিষ প্রয়োগে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, জাল, নৌকা এবং বিপুল পরিমান কীটনাশক জব্দ করে তারা।
বুধবার সকালে সুন্দরবনের জয়মনিসহ আশপাশ এলাকায় মোংলা থানা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে এসব বিষ দুর্বৃত্তকে আটকের পাশাপাশি মাছ, ট্রলার, জাল ও বিষ উদ্ধার করে।
বুধবার দুপুরে থানা চত্তরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মোংলা থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আসিফ ইকবাল ও ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, সুন্দরবন এলাকায় দস্যু, অবৈধভাবে বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার ও চোরা হরিণ শিকাররোধে নিয়মিত টহলের সময় বুধবার সকালে ৬ জেলে ও জেলেদের কাছে বিষ বিক্রির অভিযোগে এক কীটনাশক বিক্রেতাকে আটক করে।
এরা হচ্ছে, মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সুন্দরতলা এলাকার মৃত সুধির মন্ডলের ছেলে শিবপদ মন্ডল (৪২), মৃত নরেন রায়ের ছেলে গোবিন্দ রায় (৩৫), মোঃ আকবর আলি শেখ’র ছেলে মোঃ দুলাল শেখ (২৫), মৃত সুলতান ফকিরের ছেলে আরিজুল ফকির ( ৩৫), বিজয় রায়ের ছেলে সুব্রত রায় (২৫) ও আফজাল শেখের ছেলে আমিন শেখ (১৯)। আটককৃতদের সকলের বাড়ী চিলা ও সুন্দরবন ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা বিষগুলো ডেনিটল, লিডার, সুপারথ্রিন, সাইপারমেথ্রিন নামের ২০ বোতল বিষ সহ সুন্দরবন ইউনিয়নের কাটাখালি এলাকার সুলতান খানের ছেলে আলামিন খান (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে গোপনে আলামিন বৈদ্যমারী বাজারে তার মালিকানাধীন নিজ দোকানে জেলেদের কাছে এ বিষ বিক্রি করে আসছিল। এছাড়া বিষ দিয়ে শিকার করা ছয় ক্যারেট বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়িং ও সাদা মাছ সহ একটি ট্রলার ও একটি বাধা জাল এসময় জব্দ করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বনাঞ্চলের জলাভুমিতে কীটনাশক প্রয়োগের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।