বৃহস্পতিবার ● ২০ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৫
ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৫
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। পুলিশ জানায়, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র আয়োজনে ২০ আগষ্ট বৃহস্পতিবার সকালে শহরের মকবুল হোসেন প্লাজার তৃতীয় তলায় ফুড সাফারী রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র আয়োজনে কমিউনিটি পরামর্শ সভা চলছিল। সভায় ঝিনাইদহ শিশু পার্ক সংরক্ষণে আদালতের আদেশ এবং মামলা পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এক পর্যায়ে সভার বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। পরে ছাত্রলীগের দু’পক্ষ শহরের এইচ এস এস সড়কে সংষর্ঘে জড়িয়ে পড়ে। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে দু’গ্রুপের অন্তত ৫ জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরে উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মহেশপুরে সেই ‘জিনের বাদশা’ আটক, এলাকায় স্বস্তি
ঝিনাইদহ :: এলাকার সহজ সরল মানুষদের বিভিন্ন স্থানে চাকুরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এবং গুপ্তধনের সন্ধান দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় প্রতারনা করে আসা জিনের বাদশা নামে খ্যাত মোস্তফা কামালকে পুলিশ আটক করেছে। এ সময় তার দু’সহযোগিও ধরা পড়ে। মঙ্গলবার ঝিনাইদহের মহেশপুর থানা পুলিশ কুশাডাঙ্গা এলাকা থেকে বাদশা নামে খ্যাত মোস্তফা কামাল (৪৫), ভাই মফিজ উদ্দীন (৫৫) ও সহযোগি একই এলাকার জুলফিকার আলীকে (৪৫) আটক করে। পরে আটককৃতদেরকে ঝিনাইদহ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান মহেশপুর থানার কর্মকর্তা ইনর্চাজ (ওসি) সাইফুল ইসলাম। প্রতারক জ্বিনের বাদশা খ্যাতদের গ্রেফতার করার পরে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসছে বলে স্থানীয়রা জানায়। গত ১৯ জুলাই সকালে কুশাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্তরে এলাকার হাজারো নারী-পুরুষ প্রতারক জিনের বাদশা নামে খ্যাত মোস্তফা কামালের শাস্তি ও আটকের দাবিতে জুতা এবং ঝাড়ু মিছিলসহ মানববন্ধন করেছিল।
কালীগঞ্জে ইউনিলিভার ডিপোতে চুরি: গ্রেফতার ৩
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইউনিলিভারের ডিপোতে চুরির ঘটনায় তিন চোরকে গ্রেফতার করেছে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে চুরি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে যশোর কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হলেন, যশোর জেলার বজরাপুর এলাকার মৃত তহিদুল ইসলামের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০), ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শাহাবাজপুর এলাকার অহিদুল ইসলামের ছেলে আরিফ হোসেন তুষার (২০) ও যশোর সদরের বেজপাড়া এলাকার এজেমবারের মেয়ে নুরজাহান আক্তার রতœা (২০)। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই রিফাত ইমরান জানান, ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা: মাহফুজুর রহমান মিয়া স্যারের নির্দেশনায় মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে যশোরের কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় চুরি হওয়া তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
বর্ষা মৌসুমে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বেশ কয়েক মাস ধরে পানির মধ্যে বসবাস করে অর্ধশত পরিবার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি গ্রাম বলিদাপাড়া। এই গ্রামের ফায়ার সার্ভিস পাড়ায় অর্ধশত পরিবারের বসবাস। যে পরিবারের মানুষগুলো বর্ষা মৌসুমের ৩ থেকে ৪ মাস পনির মধ্যে বসবাস করেন। বৃষ্টি শুরু হলেই পাড়ায় পানি জমতে শুরু করে। ড্রেন না থাকায় পানি নামতে না পেরে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ দিনের জলাবদ্ধতা। আর যখনই বৃষ্টি, তখনই বদ্ধ ওই পানি আরো বেড়ে যায়। দেখা দেয় ভোগান্তি আর পোকা-মাকড়ের উৎপাত। রাতেও বিষাক্ত পোকা আর সাপের ভয়ে ঘুম হয়না। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষ বলছেন, ওই পাড়ার মানুষের এতোটা খারাপ অবস্থা তা তারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি। স্থানিয় ভাবে অবহিত করা হলে অবশ্যই পদক্ষেপ নেওয়া হতো। তারা চেষ্টা করবেন দ্রুত একটি প্রকল্প তৈরী করে ওই পানি নিষ্কাষনের জন্য ড্রেন নির্মানের। স্থানীয়রা জানান, ১৯৯২ সালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভা গঠিত। ৯ টি ওয়ার্ডের এই পৌরসভার বলিদাপাড়া একটি ওয়ার্ড। এই গ্রামের কয়েকটি পাড়ার মধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ধারে রয়েছে ফায়ার সার্ভিস পাড়া। যে পাড়াতে প্রায় ৫০ টি পরিবার বসবাস করেন। বর্তমানে ওই পাড়ার মানুষগুলো জলাবদ্ধ অবস্থায় বসবাস করছেন। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ওই পাড়ায় গিয়ে দেখা যায় গোটা পাড়ার বাড়িঘরগুলোর চারিপাশে হাঁটু পানি। অনেক বাড়ির মধ্যেও পানি। অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারের ঘরগুলোর মেঝেতেও পানি। পাড়ার মানুষগুলোর কষ্টের শেষ নেই। তারা হাতে বাড়তি কাপড় নিয়ে বাইরে বের হন। অনেকে হাঁটু সমান কাপড় উঠিয়ে পানি পার হচ্ছে। কথা হয় ওই পাড়ার বাসিন্দা আক্তার হোসেনে সঙ্গে। তিনি জানান, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পাড়ার মধ্যে ইট বিছানো রাস্তা করে দিয়েছেন। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে সেই রাস্তা থাকে পানির নিচে। তিনি বলেন, তাদের এই পাড়ায় যে অর্ধশত পরিবার রয়েছে, যে পরিবারগুলোর বেশির ভাগ সদস্য চাকুরীজীতি অথবা ব্যবসায়। প্রয়োজনের সকাল হলেই তাদের বাইরে বেরুতে হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের ৩ থেকে ৪ মাস তারা থাকেন পানির মধ্যে। এই সময়কালে কষ্ট করেই চলাচল করতে হয়। বিষয়টি তারা স্থানীয় কাউন্সিলর এর কাছে একাধিকবার বলেছেন। তিনিও চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তারা পানির মধ্যেই বসবাস করছেন। ওই পাড়ার বাসিন্দা মানিক মিয়ার স্ত্রী লিপি বেগম জানান, বেশি বৃষ্টির সময় তার ঘরের মধ্যেও পানি উঠে গিয়েছিল। বর্তমানে বাড়ির উঠানে পানি। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। রাতে পোকা-মাকড় আর সাপের ভয় নিয়ে ঘুমাতে হয়। তাদের গোটা পাড়ার এই অবস্থা দীর্ঘদিনের। তিনি আরো জানান, ১৩ বছর পূর্বে তারা এই পাড়াতে বাড়ি করে বসবাস করেন। পৌর এলাকা ভেবে পাড়ায় এসেছেন, কিন্তু একন হবে ভাবতেও পারেননি। আছির উদ্দিনের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, তার ঘরের মধ্যেও পানি। বন্যা ছাড়া ঘরের মধ্যে পানি ভাবতেও কষ্ট হয়। তারপরও কষ্ট করে বসবাস করছেন। তিনি দুঃখ করে বলেন, জানি না কবে এই অবস্থার অবসান হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জানান, সমস্যাটি বেশ কিছুদিনের। ইতিপূর্বে মহাসড়কের ধার ঘেঁষে পৌরসভার যে ড্রেনটি আছে সেই ড্রেন দিয়ে পানি উত্তর দিকে থাকা বড় ড্রেন হয়ে চিত্রা নদীতে নেমে যেতো। কিন্তু সেই উত্তর দিকে নানা স্থাপনা গড়ে উঠায় পানি বর্তমানে দক্ষিনে ধাবিত হচ্ছে। এখন ফায়ার সার্ভিস পাড়ায় প্রবেশমূখ হতে একটি ড্রেন গ্রামের মধ্যে জয়নাল আবেদিনের বাড়ির পাশের ড্রেনে যুক্ত করে দিলে এই সমস্যার সমাধান হবে। এ জন্য মাত্র ৫ শত মিটার ড্রেন নির্মান করতে হবে। তাহলে ওই পাড়ার মানুষগুলো আর দিনের পর দিন পানিবন্দি থাকবে না। সে বিষয়ে পৌরসভায় তিনি কথাবার্তা বলছেন, আশা করছেন দ্রুত এর একটা সমাধান হবে। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল ওহাব জানান, স্থানীয় ভাবে সমস্যাগুলো তাদের অবহিত না করা হলে অনেক সময় সমস্যা থেকেই যায়। এ বিষয়টি নিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান।
কালীগঞ্জে উধাও রাস্তার ইট চলাচলে বেহালদশা : জন দুর্ভোগ চরমে
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কসহ শহরের কিছু রাস্তা ভাল হলেও অধিকাংশ রাস্তার অবস্থায় খুবই নাজুক। পৌর এলাকার বেশির ভাগ রাস্তার ফ্লাট সোলিংয়ের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হওয়ায় রাস্তার ইট উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জনদূর্ভোগ চরমে। আবার রাস্তায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী পৌরবাসীর দাবী জনতার দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পৌর পিতা দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কালীগঞ্জ পৌরবাসীর শতভাগ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলেও বর্তমান মেয়র ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেশ কিছু জনকল্যানকর কাজ করেছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ড থেকে বাজার রোডের পুরাতন ব্রীজ পর্যন্ত ড্রেন, ড্রেনের দু’পাশের ফুটপাতে মানুষের চলাচলের টাইলস করা, পৌর পিলখানার কাজ চলমান। এ ছাড়া মেয়রের নিজস্ব অর্থায়নে বর্জ্য ফেলার জন্য পৌর এলাকার চাচড়ার গ্রামের মাঠে ৮৬ শতক জমি ক্রয় করে পৌরসভায় দান করেছেন, বাজার রোড সহ ওয়ার্ড পর্যায়ে লাইট পোষ্টে আলোকসজ্জা, সোলার বাতি স্থাপনম বিভিন্ন গোরস্থানের অবকাঠামো উন্নয়ন, পৌর শহরের কিছু সড়কে পিচকরণ, রাস্তা টেকসই করতে ভারী যানবাহন চলাচল ঠেকাতে মেইন ষ্ট্যান্ডর বাজার রোড়ের প্রবেশদার সহ বেশ কয়েকটা সড়কের প্রবেশদারে বিশেষ পোষ্টের ব্যবস্থা, প্রয়াত মেয়র মকছেদ আলী বিশ্বাসের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করা, শহর পরিস্কার করতে বিশেষ কর্মসূচী, মাদক প্রতিরোধেসহ বেশ কিছু কল্যানকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। পৌর মেয়রের এসব উন্নয়ন কর্মকা- নিয়ে এলাকাবাসীর মুখে আলোচনা থাকলেও পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন দাবী জানিয়েছেন পৌরবাসী। পৌর এলাকার কিছু রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় বেশীর নাগরিকই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তার ফ্লাট সোলিং অনেক আগেই উঠে যাওয়ায় জন দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অধিকাংশ ফ্লাট সোলিং রাস্তার মেয়াদ আগেই শেষ হয়ে যাওয়ায় রাস্তাগুলো তার প্রকৃত অস্তিত্ব হারিয়েছে। পৌর এলাকার অনেক রাস্তায় বর্ষা মওসুমে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে কোটচাঁদপুর রোডের বিহারী মোড়সহ পৌরসভার সামনের রাস্তা, কলেজ রোড, কলাহাটার মোড়, নলডাঙ্গা রোডের হাটচাদনীর সামনে, নিমতলা থেকে থানা রোড, ফয়রা গ্রামের মধ্য দিয়া হাসপাতাল রোড, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে বলিদাপাড়ার মধ্য দিয়ে হাসপাতাল রোড, ভূষন রোড থেকে নিশ্চিন্তপুরের মধ্য দিয়ে হাসপাতাল রোড, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক থেকে ভূষন রোডের খালধার বাইপাস সড়ক, নলডাঙ্গা রোড থেকে কোলা রোডের লাটা ষ্ট্যান্ড পর্যন্ত বেশ কিছু রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খোদ ৭ নম্বার ওয়ার্ড মোক্তার হোসেন কাউন্সিলরের বাড়ীর সামনের বিহারী মোড় থেকে দরগা রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগীই নয়, সেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় পানি জমে যায়। তিনি বলেন, রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় থাকলেও পৌরসভায় আর্থিক সঙ্কটের কারণে উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। তবে পৌর মেয়র সাহেব আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে পৌর এলাকার সব রাস্তার উন্নয়ন শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানেও রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়ন না হওয়ায় তাদের মধ্যে এক ধরণের চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। তাদের দাবী জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিলেও বিগত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন পৌর এলাকায় হয়নি। কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ বলেন, পৌর এলাকার উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধার জন্য আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর অনেক উন্নয়নমুল কাজ করেছি সেগুলো এখন দৃশ্যমান। খুব শিগগিরই রাস্তা ঘাটের কাজ শুরু করা হবে। কোন রাস্তা বাকী থাকবে না। মেইন মেইন সব রাস্তার টেন্ডার হয়েগেছে বৃষ্টি একটু কমলেই কাজ শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।