শনিবার ● ২২ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ঝিনাইদহের ৫টি পার্কের সাড়ে ৩’শ কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন
করোনায় বন্ধ হয়ে যাওয়া ঝিনাইদহের ৫টি পার্কের সাড়ে ৩’শ কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: মহামারী করোনা ভাইরাসের গত ৫ মাস বন্ধ রয়েছে ঝিনাইদহে বিনোদন কেন্দ্রগুলো। গত ৫ মাসে পার্ক কর্তৃপক্ষের লোকসান হয়েছে প্রায় কোটি টাকা। আর মানবেতর জীবন যাপন করছেন ৩’শ পার্কের স্থায়ী ও মৌসুমী কর্মচারীরা। জানা গেছে, ঝিনাইদহের বর্তমানে মোট ৫ টি পার্ক রয়েছে। যেগুলো হলে-শহরের চুয়াডাঙ্গা সড়কের জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্ক এন্ড পিকনিক স্পট, কুষ্টিয়া সড়কে তামান্না পার্ক, কালীগঞ্জের নলডাঙ্গা রাজবাড়ী, কোটচাঁদপুরের বকুল সিটি পার্ক ও শহরের নবগঙ্গা নদীর পাড়ে অবস্থিত প্রান্তিক শিশু পল্লী। পার্কগুলোতে ঘুরে দেখা যায় অনেক পার্কে পরিচর্যার অভাবে ঘন ঘাস জন্মেছে। পার্কের রাইডারগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় নষ্ট হচ্ছে। এতদিন পরিচর্যায় করলেও লোকসানের কারণে অনেক পার্ক মালিক পরিচর্যা বন্ধ করে দিয়েছে। শহরের জোহান ড্রীম ভ্যালী পার্কের স্বত্তাধীকারী মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এটি একটি বড় বিনোদন কেন্দ্র। ঝিনাইদহ জেলা ছাড়াও আশেপাশের জেলা থেকে মানুষ পিকনিক করতে এখানে আসে। বিনোদনের ভাল ব্যবস্থা রয়েছে। এটির রিসোর্ট মেন্টারে থাকার ব্যবস্থাও আছে। কমিউনিটি সেন্টার থাকায় অনেক সংস্থার সভার জন্য এসে থাকে। কিন্তু গত ৫ মাস ধরে পার্ক বন্ধ রয়েছে। পার্ক বন্ধ থাকলেও পরিচর্যা করাতে হচ্ছে। এখানে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন কর্মচারী কাজ করছে। দর্শনার্থী আসা বন্ধ আর পার্কের নিয়মিত পরিচর্যার করা নিয়ে গত ৫ মাসে ৫০ লাখ টাকার লোকসান হয়েছে। সরকার পার্ক মালিকদের প্রণোদণা দিলে সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হতো। শহরের তামান্না পার্কের ম্যানেজার রুহুল আমিন বলেন, ৫ মাস বন্ধ থাকার কারণে এর সাথে জড়িত কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পার্কের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হলেও পর্যাপ্ত দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পার্ক চালু থাকলে তারা এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেত। মিলন হোসেন নামে পার্কের এক কর্মচারি বলেন, তারা কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি। পার্ক মালিক মাঝে মধ্যে সহযোগিতা করলেও যা পাচ্ছেন তাতে কোনমত সংসার চলছে। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত পার্ক চালু করার দাবি তার। জোহান ডিমভ্যালী পার্ক এন্ড রিসোর্ট এর ম্যানেজার মোঃ হাসানুজ্জামান বাবু বলেন, স্থায়ী অস্থায়ী মিলে এখানে প্রায় দেড়’শ মানুষ কর্ম করতো। ৫ মাস তার বেকার। মানবেতর জীবন যাপন করছে। মালিক মাঝেমধ্যে কিছু সাহার্য করেন। তা দিয়ে চলে না। পার্কের সামনে প্রায় শতাধিক দোকান ছিল। যা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। পার্ক না চললে দোকানগুলো চলে না। যে কারণে তারাও চরম কষ্টে দিনানিপাত করছেন। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, পার্কের মালিকগণ যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পার্ক চালান। সে শর্ত অনুযায়ী আবেদন করলে যাচাই করে সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
ঝিনাইদহে ১৬৯ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন নেই
ঝিনাইদহ :: দুই বছর ধরে ঝিনাইদহের ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টারগুলোর লাইসেন্স নবায়ন নেই। আবার ঝিনাইদহ শহরে অনেক ক্লিনিক লাইসেন্স ছাড়াই মাসের পর মাস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ ভাবেই চলছে জেলার ক্লিনিক ও প্যাথলজি ব্যবসা। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা পর্যায়ের ক্লিনিকগুলোতে অহরহ অপচিকিৎসা চলছে। ডাক্তারের অবহেলায় প্রসুতির মৃত্যু ঘটছে। ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসার উন্নত পরিবেশ নেই। নেই সর্বক্ষন চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত র্নাস। ১০ বেডের পরিবর্তে শয্যা বাড়িয়ে ৫০/৬০ জন করে রোগী ভর্তি করা হয়। নীতিমালা ভঙ্গ করার পরও এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টার নতুন লাইসেন্স পাচ্ছে। পুরানো লাইসেন্স নবায়ন করছে। গত এক সপ্তার ব্যবধানে হরিণাকুন্ডু ও মহেশপুরে চার ক্লিনিকে চারজন প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তার ফলাফল এখনো দৃশ্যমান হয়নি। তবে ডাক্তারের বিরুদ্ধে ডাক্তার নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কতটুকু শাস্তি নিশ্চিত করবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিস থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় মোট ক্লিনিক ও ডায়াগনেস্টিক সেন্টরের সংখ্যা ১৭০টি। এর মধ্যে ক্লিনিক রয়েছে ৮১টি। সুত্রমতে কোটচাঁদপুরের একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন আছে। বাকী ১৬৯টি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই। এছাড়া ৮৯টি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারের কোনটার লাইসেন্স ২০১৮ সাল থেকে নবায়ন করা হয়নি। সবগুলোর লাইসেন্স নবায়ন পক্রিয়াধীন বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের নওশের আলী, নজরুল ইসলাম, ইসরাইল হোসেন ও নজরুল ইসলাম (২) ক্লিনিকের এই ফাইলগুলো দেখভাল করেন। অভিযোগ উঠেছে অর্থের বিনিময়ে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে চিকিৎসার জন্য অনুপোযুক্ত এ সব ক্লিনিকের কাগজপত্র ঠিক করে বহাল রাখার পক্ষে রিপোর্ট দেন। ক্লিনিকের ফাইল করলে ভাল উপার্জন হয় বলেও সিভিল সার্জন অফিসে কথিত আছে। সরেজমিন সদর উপজেলার ডাকবাংলা, বৈডাঙ্গা, সাধুহাটী, বরোবাজার, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডু, মহেশপুরের নেপারমোড় ও খালিশপুরের ক্লিনিকগুলোতে সর্বক্ষন ডাক্তার থাকে না। ক্লিনিকমালিক, ছেলে. স্ত্রী ও মেয়োরাই কোন কোন ক্লিনিকের স্টাফ সেজে কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপারেশন থিয়েটার ও রোগীর শয্যা রুমে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করে। নেই দক্ষ নার্স। ফলে রোগীরা বিপদে পড়লে তেমন কোন সহায়তা পান না। ফলে প্রায় এ সব ক্লিনিকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে কয়েকটি ক্লিনিকের ফাইল ঘেটে দেখা গেছে, শর্ত পুরণ করে তাদের কাগজপত্র খুবই মজবুত ভাবে তেরী করা হয়েছে। অথচ তাদের ক্লিনিকের পরিবেশ সম্পুর্ন ভিন্ন। পেপারবুকের সাথে ক্লিনিকের বাস্তবতার কোন মিল নেই। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম এ ব্যাপারে জানান, জেলার কোন ক্লিনিকের এখন লাইসেন্স নেই। সবগুলো নবায়নের জন্য অপেক্ষমান। তিনি বলেন, এখন অনলাইনে সরাসরি আবেদন নেওয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে যে সব ক্লিনিকের রিপোর্ট চাওয়া হচ্ছে আমরা সেগুলো প্রেরণ করছি। তিনি বলেন, ২৩ আগষ্টের মধ্যে সবার নবায়ন না হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক ক্লিনিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
মানবাধিকার কর্মী পরিচয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগ
ঝিনাইদহ :: সুজন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাটাবাড়িয়া গ্রামের আমির মন্ডলের ছেলে। তিনি নিজেকে কখনো যুবলীগ নেতা আবার কখনো মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ সব পরিচয় দিয়েই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজী ও মনুষকে বিপদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এক সময় যারা চরমপন্থিদলের সদস্য ছিলেন, তাদের নেতৃত্বে গড়ে তুলেছেন চাঁদাবাজী সিন্ডেকেট। ফলে মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যে সুজনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীর মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। এদিকে হলিধানী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক পারভেজ মিয়া জানিয়েছেন সুজন নামে তাদের কোন নেতা কর্মী নেই। অপকর্ম করতেই যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে সুজন এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন টাঙ্গিয়েছে। থানায় দেওয়া অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, সুজন ও নাটাবাড়িয়া গ্রামের ইসরাইল (ইছা খুড়া) ছেলে বদরউদ্দীন (বুদো) গত ১৭ আগষ্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটাবাড়ীয়া গ্রামের ছানারদ্দীন মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর মন্ডলের কাছে কুড়ি হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে হাত পা ভাঙ্গার হুমকি দেয়। একই গ্রামের গার্মেন্টস ব্যাবসায়ী মুক্তারসহ অনেকের কাছে চাঁদা চেয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানী করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে সুজন ও বুদোর বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি সুজন অস্বীকার করে বলেন, আমি চাঁদাবাজীর সঙ্গে যুক্ক নয়। শুধুমাত্র জাহাঙ্গীরের সাথে মজা করেছিলাম। এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর জানান, সুজন এবং বুদো ওরা দুজনে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। বিষয়টি নিয়ে হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জাহাঙ্গীর এলাকায় নীরিহ মানুষ হিসেবে পরিচিত। আমি চাই সুজন এবং বুদোর এই অপকর্মের বিচার করা হোক।
ঝিনাইদহে নানা কর্মসুচিতে ভয়াল ২১ আগস্ট পালিত
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহে ভয়াল ২১ আগস্ট উপলক্ষে নানা কর্মসুচি পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টায় জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে শহরের প্রেরনা একাত্তর চত্তরে স্থাপিত জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সিনিয়র আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড. ইসমাইল হোসেন, মাসুদ আহমেদ সনজুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামীলীগের জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ডা: সিদ্দিকুল ইসলাম এর ইন্তেকাল
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ জেলা বিএমএ সভাপতি ও ডাঃ শামীমা সুলতানার স্মামী এবং শামীমা ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারী ডাঃ এ বি এম সিদ্দুকুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না..রাজেউন)। বৃহস্পতিবার সন্ধায় ঢাকা পপুলার হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দুই সন্তান ও স্ত্রীসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। অবসরের আগে তিনি স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক সহকারি পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। শুক্রবার বাদ জুম্মা ঝিনাইদহ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে স্থানীয় পৌর গোরস্থানে দাফন করা হয়। তাঁর মৃত্যুতে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা, ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম, ঝিনাইদহ জেলা বি এমএ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দুলাল কুমার চক্রবর্তী, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ডাঃ রাশেদ আল মামুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডাঃ প্রসেনজিত বিশ্বাস পার্থ, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু, সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদসহ, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও শোক জানিয়েছেন।
২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে ঝিনাইদহে মৌন মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে সদর উপজেলার নগরবাথান বাজারে এ কর্মসূচি পালিত হয়। কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নবাসীর পক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে স্থানীয় যুবলীগ নেতা সিরাজুল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য টোকন হোসেন, আনোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ বাদশা, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহবায়ক রেজাউল করিম মন্টু, যুগ্ন-আহবায়ক মেহেদী হাসান, যুবলীগ নেতা কুতুব উদ্দিনসহ এলাকার স্থানীয় যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়। বক্তারা ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার দাবি করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।