রবিবার ● ২৩ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » শিরোনাম » নবীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসীর হাতে আটক-১
নবীগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রামবাসীর হাতে আটক-১
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১ সদস্যকে গ্রামবাসী আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল ২২ আগষ্ট শনিবার রাত অনুমান ৩টার দিকে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের আউশকান্দি আর্দশ মিঠাপুর গ্রামের তজমুল মিয়ার বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দেয়। এতে ঐ বাড়ির আব্দুল আলী, আঃ জাহির, আ. রকিব সহ অন্যান্যরা গেইট কাটার শব্দ শুনে বের হলে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়ির সবাই ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিলে গ্রামবাসী ও আশপাশ এলাকার লোকজন এগিয়ে আসেন। গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে গেলেও ৬০ বছর বয়সী এক ডাকাত দেয়াল পার হয়ে একটি পুকুরে পড়ে যায়। এতে তাকে চতুর দিক ঘেরাও করেন গ্রামবাসী। কিন্তু অন্যান্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে তার কাছে থেকে তালা ও গ্রীল কাটার একটি বড় কার্টার সহ ১ টি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তাকে আটকের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল করে তার সঙ্গিও ডাকাতরা। বলে, তুই কই? সে বলে আমি একটি জঙ্গলে লুকিয়ে আছি। এসময় অপর ডাকাতরা বলে, আমরা বিশ্বরোডে আছি তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়,গাড়ি চালু রাখছি। এ কথা শুনে উপস্থিত লোকজন বিশ্বরোডে অবস্থান করলে ডাকাতরা তাদের আচ করতে পেরে ট্রাক নিয়ে দূত গতিতে নবীগঞ্জের দিকে দূতগতিতে পালিয়ে যায়। ডাকাতির খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা খালেদ আহমদ জজ সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন চলে আসেন ঘটনাস্থলে। এ সময় ডাকাতরাও তাদের ট্রাক নিয়ে নবীগঞ্জের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে এলাকার শ্রমিকসহ জনতা মোটরসাইকেল, সিএনজি, পিকাপ, কারসহ লোকজন ঐ ট্রাকটির পিছনে ধাওয়া দেয়। এ খবর পেয়ে থানা পুলিশও রাস্তায় ব্যারিকেট দেয়। কিন্তু ডাকাতরা তাদের গাড়ি ও রাস্তা ওভারটিক করে চলে যায়স্তু-চতুর ডাকাতরা। এতে ট্রাক রেখে ৪ডাকাত পালিয়ে গেলেও ট্রাকটিকে রাস্তার পাশে রেখে যায়। পরে বাউশা থেকে ইউপি সদস্য সহ পুলিশ ভোর ৬টার দিকে ঘটনাস্থল মিঠাপুর গ্রামে এসে বিষয়টি তদন্ত করে গ্রামবাসীর কাছে থেকে আটককৃৃৃত ডাকাত সহ তার সাথে থাকা তালা ও গ্রীল কাঠার বড় একটি কাটার উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে ডাকাতির অভিযোগে আটককৃত ব্যক্তি জানায়,তার বাড়ি ছাতক থানার এলংগি গ্রামের মৃত আজিজ উল্লার পুত্র আরিফ উল্লাহ (৬০),তার সাথে ছিল সুনামগঞ্জ এলাকার অজুদ,শাহনুর সহ ঐ এলাকার অজ্ঞাত আরো ২ জন। তাদের ধরলেই সব পাবেন।
নবীগঞ্জ থানার আপারেশন (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আহত ব্যাক্তিকে চিকিৎসার জন্য নবীগঞ্জ হাসপাতালে পাঠালে তারা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হবিগঞ্জ আধুনিক হাসপাতালে প্রেরন করেন। এ ব্যাপারে একটি ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।