সোমবার ● ২৪ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » ঢাকা » করোনা দুর্যোগকালে নারী নিপীড়নের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে
করোনা দুর্যোগকালে নারী নিপীড়নের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে
ঢাকা :: শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম আজ এক বিবৃতিতে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হারবান ইউনিয়নে কথিত গরু চুরির অপবাদ দিয়ে মা ও মেয়ের কোমরে রশি বেধে নির্যাতন নিপীড়ন ও গ্রাম ঘোরানোর ঘটনাকে ‘চরম বর্বরতা ও ক্ষমতার অশ্লীল প্রদর্শন’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং বলেন, নারী লোলুপ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলামের প্ররোচনা ও ইন্ধনে প্রকাশ্য দিবালোকে নারী লাঞ্চনার এই নজিরবিহীন ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। চেয়ার্যানের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রকাশ্যে মা ও মেয়েকে এই হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে। চেয়ারম্যান মিরানুল এর আগেও এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিল। সেসব ঘটনার কোন বিচার না হওয়ায় সে এখন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ গভীর ক্ষোভের সাথে উল্লেখ করেন, করোনা মহামারি ও বন্যা দুর্যোগের মধ্যেও নারী নিপীড়ন, হত্যা, ধর্ষণ থেমে নেই, বরং ক্ষেত্র বিশেষে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর নারী যদি গরীব পরিবারের হয় তাহলে তার লাঞ্চনার কোন সীমা থাকে না। গত ক’বছরে সংঘটিত অধিকাংশ নারী নিপীড়ন ধর্ষণ হত্যার উপয্কুত বিচার না হওয়ায় ধর্ষক ও নিপীড়করা এখন আরও বেপরোয়া। প্রশাসন ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকার কারণে মানবরূপি এসব নরপশুরা অধিকাংশই থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ধর্ষক ও নিপীড়করা যদি জনপ্রতিনিধি হয় তাহলে সহজেই তারা পার পেয়ে যায়।
নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, শ্রেণী শোষন আর পুরুষতান্ত্রিক কারনে করোনা দুর্যোগে নারীর সামাজিক অবস্থান আরও দুর্বল হয়েছে। এর সুযোগ গ্রহণ করে চিহ্নিত অপরাধীরা।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে মা মেয়ের এ নিগ্রহ ও নিপীড়নের জন্যে দায়ী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার ও উপযক্ত বিচারের দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে ধর্ষক ও নারী নিপীড়কদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ জোরদার করারও আহ্বান জানান।