বৃহস্পতিবার ● ২৭ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » নওগাঁ » সকলের নজর কাড়ছে শ্যাওড়া গাছের দৃষ্টি নন্দন জোড় ঘোড়া
সকলের নজর কাড়ছে শ্যাওড়া গাছের দৃষ্টি নন্দন জোড় ঘোড়া
মো. নূরুল ইসলাম, পাবনা জেলা প্রতিনিধি :: পাবনার চাটমোহর রেলওয়ে ষ্টেশনের পশ্চিম পাশে অবস্থিত ভাই বোন নার্সারীর গেটে শ্যাওড়া গাছের দৃষ্টি নন্দন জোড় ঘোড়া (দুইটি ঘোড়া) দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন। চাটমোহর থেকে পাবনা গামী সড়কে বিভিন্ন পরিবহনে যাতায়াত কারী অনেক মানুষ এ জোড় ঘোড়ার সৈন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে রাস্তার পাশে গাড়ি দাড় করিয়ে রেখে নিকটে গিয়ে দেখে ভাল লাগার অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হন। এলাকার সেলফিবাজদের পাশাপাশি দূর দূরান্তে যাতায়াতকারী অনেকে সিএনজি মোটর সাইকেল থেকে নেমে এ জোড় ঘোড়াকে নিয়ে সেলফি তোলেন। ছবি তোলেন। গাছকেও বিশেষ আকার দেওয়া হলে তা যে কতটা সৈন্দর্যের ধারক হতে পারে এ জোড় ঘোড়া না দেখলে তা যেন বিশ্বাস করা কঠিন।
প্রায় এক বছর যাবত চেষ্টা করে এ জোড় ঘোড়াটি তৈরী করেছেন পাবনার চাটমোহরের মূলগ্রাম ইউনিয়নের একজন বৃক্ষপ্রেমী ব্যক্তি। তিনি ভাই বোন নার্সারীর মালিক দুলালুর রহমান। প্রায় পঁচিশ বছর যাবত চারা গাছের সাথে বসবাস তার।
দুলালালুর রহমান জানান, শখ করে এটি তৈরী করেছি। লোহার রড দিয়ে ঘোড়ার আকৃতি তৈরী করে মাটিতে স্থাপন করে তার চারপাশে জিআই তারের নেট লাগিয়ে দিয়েছি। নিচে দুসাড়ি দেড় ফিটের মতো উচ্চতার শ্যাওড়া গাছ। দেড় ফিট উপর থেকে শ্যাওড়া গাছ ঘোড়ার চার পায়ের মধ্য দিয়ে তুলে দিয়েছি। ধীরে ধীরে শ্যাওড়া গাছ বড় হয়ে ঘোড়ার পুরো শরীরটাতে, মুখে, লেজে স্থান করে নিয়েছে। এ ঘোড়া দুটি পাঁচ ফিট উঁচু এবং সাত ফিট দীর্ঘ। দু সাড়ি শ্যাওড়া গাছের উপর দাড়িয়ে আছে দুটি ঘোড়া। এলাকার অনেকে এ ঘোড়া দুটোকে জোড় ঘোড়া বলেন।
এ জোড় ঘোড়া দুটির সৈন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে সৈন্দর্যপ্রিয় বৃক্ষপ্রেমীরা এমন জোড় ঘোড়া তৈরী করে দিতে দুলালুর এর স্মরণাপন্ন হচ্ছেন। ইতিমধ্যে চারটি স্থানে জোড় ঘোড়া তৈরীর অর্ডার পেয়েছেন তিনি। প্রতি জোড়া ঘোড়া তৈরীর জন্য তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দাবী করছেন। কেবল জোড় ঘোড়াই নয় পাশাপাশি অগ্নি ঝাউ, কাটা ঝাউ, কামিনী, মাধবীলতাসহ বেশ কিছু গাছ বিশেষ বিশেষ আকার দিয়ে ডিজাইন করেছেন তিনি।
চাটমোহরে অবৈধ সোঁতিজাল ও কারেন্ট জালে মাছ নিধন
পাবনা জেলা প্রতিনিধি :: চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন নদনদী ও খাল-বিলে পানি কমছে। এসময় উপজেলার বিভিন্ন নদী ও বিলের মুখে স্থাপন করা হচ্ছে অবৈধ সোঁতিজাল। একইসাথে অবৈধ কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ নিধনের উৎসব চলছে। দিন-রাত বিরামহীনভাবে দেশী প্রজাতির মাছ নিধন করা হচ্ছে।
এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতার প্রত্যক্ষ মদদে উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের বিভিন্ন বিল ও কাটা নদীতে সোঁতিজাল স্থাপন করা হয়েছে। অনেক স্থানে বাঁশ ও কাঠ পুঁতে সোঁতিজাল বা সোঁতি বাঁধ স্থাপনের আয়োজন চলছে।
হান্ডিয়ালের ডেফলচড়া ও পাকপাড়া কৃষি কলেজের পাশে কাটা নদীতে গত এক সপ্তাহ ধরে অবৈধ সোঁতিজাল স্থাপন করা হয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশনে চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। হান্ডিয়াল ইউপি চেয়ারম্যান কে এম জাকির হোসেন জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সোঁতিজাল দিয়ে মাছ নিধনে মেতে উঠেছে। এদিকে, বিলে কারেন্ট জাল ব্যবহারকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গ্রামগঞ্জের হাটগুলোতে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি হচ্ছে অবাধে। ফলে অসাধু জেলেরা অধিক লাভের আশায় নদ-নদীতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরছে। সম্প্রতি মৎস্য দপ্তর চাটমোহর রেলবাজার হাট থেকে অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করে। কিন্তু বিক্রি বন্ধ হয়নি। মৎস্য বিভাগ বলছে, কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারেন্ট জাল ব্যবহারে দেশি মাছের পোনা ধরে ফেলায় মিঠাপানির মাছ বিলুপ্ত হতে চলেছে। দিনে ও রাতে প্রকাশ্যে চলছে সোঁতিজাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মৎস্য নিধন।
চাটমোহর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সোঁতিজাল স্থাপনের বিষয়টি তারা শুনেছেন। উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যানরা বিষয়টি বলেছেন। সোঁতিবাধ অপসারণের সিদ্ধান্তও হয়েছে। শীঘ্রই ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সোঁতিবাঁধ অপসারণ করা হবে।