শুক্রবার ● ২৮ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » জাতীয় » নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী পন্থায় এখতিয়া বহির্ভূতভাবে অর্থের অপচয় করেছে
নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী পন্থায় এখতিয়া বহির্ভূতভাবে অর্থের অপচয় করেছে
ঢাকা :: বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ২৭ আগষ্ট এক বিবৃতিতে নির্বাচন কশিনের সাম্প্রতিক তৎপরতাকে ‘ নেই কাজ তো খই ভাজ’ এর সমতুল্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন নির্বাচন কমিশন অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে সময় ও অর্থের অপচয় করে চলেছে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল ও জরিমানা সংক্রান্ত বিধান বাতিল করা সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবকে ‘চরম দায়িত্বহীন, আত্মঘাতি ও বিস্ময়কর’ হিসেব আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন নির্বাচন কমিশনের প্রার্থীতা বাতিলের এই ক্ষমতা না থাকলে নির্বাচন কমিশন ‘ঢাল-তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সর্দারে’ পরিণত হবে এবং নির্বাচন কমিশনের কার্যকারিতা বলে আর কিছু অবশিষ্ট থাকবে না। নির্বাচনে অবাঞ্চিত ব্যক্তিদের অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে এবং নির্বাচনে পেশীবাজ মাফিয়া সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের হাতে এই ন্যূনতম ক্ষমতা না থাকলে নির্বাচনে অসৎ আর দুর্বৃত্তদের আধিপত্য কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের প্রস্তাব সরকারি দলকে বাড়তি সুবিধা দিতে কিনা ইতিমধ্যে এই সন্দেহও দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, এমনিতেই বর্তমান নির্বাচন কমিশন ও বর্তমান প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনী ব্যবস্থার মানুষের কোন আস্থা-বিশ্বাস নেই। এরকম একটি অবস্থায় এই ধরনের সংশোধনী গৃহীত হলে বাস্তবে নির্বাচন কমিশনের উপযোগিতা বলেও আর কিছু থাকবে না।বিবৃতিতে তিনি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ১৯৭২ এর নাম পরিবর্তনকে এখনও পর্যন্ত ‘অপ্রয়োজনীয়’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন আগামীতে এসব আইনের যুগোপযোগী সংস্কার সাধনে রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে আলাপ-আলোচনা করা যেতে পারে।
তিনি নির্বাচন কমিশন কর্তৃক স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও পদের নাম বাংলায় করার উদ্যোগকেও তাদের এখতিয়ার বহির্ভূত বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন যেসব প্রস্তাব করেছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী স্বাভাবিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ধরনের কিছু কিছু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অভ্যন্তরেই গণতান্ত্রিক চর্চা নেই, সেখানে চলছে এক ধরনের স্বেচ্ছাচারীতা, যা নির্বাচন কমিশনের সম্মান ও মর্যাদাকে বারবার ভূলুন্ঠিত করছে।
তিনি বলেন, ভেঙে পড়া জনআস্থাহীন অকার্যকরি নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুনর্গঠন এবং গণতান্ত্রিক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এখনকার এক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনসহ গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থার খোল-নলচে পাল্টানোই এখন জরুরী কাজ। তিনি এই ব্যাপারে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।