রবিবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » পর্ণোগ্রাফি মামলায় স্বামী-ভাসুর গ্রেফতার
পর্ণোগ্রাফি মামলায় স্বামী-ভাসুর গ্রেফতার
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ডির্ভোসের পর আমেরিকা প্রবাসী স্ত্রীর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করায় পর্ণোগ্রাফি মামলায় স্বামী ও তার বড় ভাইকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। তারা হচ্ছে, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডি গ্রামের হাজী ইদ্রিছ আলীর পুত্র নুরুজ্জামান মিনার (৩২) ও তার বড় ভাই আনহার আলী (৪২)।
শনিবার রাতে উপজেলা সদরের পৃথক স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার গ্রেফতারকৃত দুই আসামিসহ ৫জনের বিরুদ্ধে থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের মশুলা (মজলিশ ভোগশাইল) গ্রামের আলতাব আলীর পুত্র আলকাছ আলী, (মামলা নং-১৪)।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রেমের সম্পর্কে আসামি নুরুজ্জামান মিনারের সাথে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তার আমেরিকা প্রবাসী বোনের বিয়ে হয়। পরবর্তিতে উভয় পরিবারের লোকজন তাদের বিয়ে মেনে নিয়ে ১৮সালের ১১ এপ্রিল সামাজিকভাবে ২৫ লাখ টাকা কাবিননামার মাধ্যমে পুনরায় আনুষ্ঠানিকতা করা হয়। অবশেষে একই সালের ১৫ মে তার বোন আমেরিকা চলে যান। এরপর থেকে তার বোনকে বিভিন্ন সময় টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে স্বামী নুরুজ্জামান মিনার। দেশে থাকতেও টাকার জন্য অশুভ আচরণ করতো স্বামী। এর পূর্বে কৌশলে মোবাইল ফোনে স্বামী স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনের বিভিন্ন ধরণের ভিডিও আর ছবি ধারণ করে রাখে স্বামী নুরুজ্জামান মিনার। টাকা না দেয়ায় এসকল গোপন ছবি আর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
আর এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ সালের ৬ডিসেম্বর তার আমেরিকা প্রবাসী বোন স্বামী নুরুজ্জামান মিনারকে ডিভোর্স দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী ওই ছবি আর ভিডিওগুলো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফেসবুকের ফেইক আইডির মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
এঘটনায় আলকাছ আলী বাদি হয়ে থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর তারা দুই সহোদরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রোববার সকালে আনহার আলীকে কোর্টে প্রেরণ করা হলেও নুরুজ্জামান মিনারকে অসুস্থ্যতার জন্য সিলেট ওসমানী হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই নুর হোসেন জানান।
বিশ্বনাথে সাংবাদিক প্রণঞ্জয়ের বিয়ের অন্যরকম বৌভাত
বিশ্বনাথ :: মহামারি করোনাভাইরাসের কারনে বিয়ে বা সকল সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে বিশাল আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন সংকটকালীন সময়ে যারাই বিয়ে করছেন তারা পরিবার নিয়ে সীমিত পরিসরে আয়োজনের মাধ্যমে বিয়ে, বৌভাত সেরে নিচ্ছেন।
এমন সময় সাংবাদিক প্রণঞ্জয় বৈদ্য অপু তার বৌভাতের খাবার বিতরন করেছেন দুটি এতিম খানায়। তিনি বিশ্বনাথ উপজেলার সাবেক কৃষকলীগ নেতা মৃত শ্রী প্রভাত বৈদ্যের ছেলে ও বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পারিবারের সদস্য ও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বৌভাতের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এরপর বিকেলে উপজেলার রামপাশা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং কাদিপুর-আজিজনগরের আল হিকমাহ একাডেমী ও এতিমখানায় এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন।
এই দুই এতিমখানায় শিশুদের দুপুরের খাবার প্রদান করে বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হয়েছেন এই সাংবাদিক। এরআগে গত ৯ সেপ্টেম¦র পারিবারিকভাবে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
তার পক্ষে খাবার বিতরণ করেন বিশ্বনাথ বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক নবীন সোহেল ও সহ-সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন নাঈম ও সংগঠক তাজুল ইসলাম তাজুল।
এতিমখানায় বৌভাতের অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রসঙ্গে প্রণঞ্জয় বৈদ্য অপু বলেন, বিয়ে ও বৌভাতে পরিবারের ও ঘনিষ্ট বন্ধুদের নিয়ে অনুষ্ঠানগুলো সেরেছেন। ইচ্ছা থাকলেও করোনার কারনে অনেককে দাওয়াত দেওয়া হয়নি। তিনি জাঁকজমকপূর্ণ ও ব্যয়বহুল অনুষ্ঠানের বদলে বঞ্চিত ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করে নিজেকে গর্বিত মনে করছেন। এভাবে বঞ্চিত ও দুস্থদের খাবার খাওয়ানোর নতুন ঐতিহ্য প্রচলন চালু করা এখন অতি প্রয়োজন।