বুধবার ● ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » গাইবান্ধায় মাদক দ্রব আইনে এক ব্যক্তির ৭ বছর কারাদন্ড
গাইবান্ধায় মাদক দ্রব আইনে এক ব্যক্তির ৭ বছর কারাদন্ড
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: গাইবান্ধা সিনিয়র দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক মাদক দ্রব্য আইনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আজ বুধবার আব্দুর রশিদ প্রধান (২৬) কে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন।
আব্দুর রশিদ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের চিনিরপটল গ্রামের মৃত আইয়ুব হোসেনের ছেলে। পুলিশ তার কাছ থেকে ১০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে।
গাইবান্ধায় ইমাম হত্যার প্রায় ১ বছর পর মামলার ৩ আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের চাঞ্চল্যকর ইমাম মও. আবুল কালাম আজাদ হত্যার প্রায় ১ বছর পর হত্যা মামলার ৩ আসামীর ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে গাইবান্ধাস্থ সাদুল্লাপুর আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট উপন্দ্রে নাথ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ হারিসুল ইসলাম জানান, আসামীরা গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান। তিনি আরও জানান, পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে তাদের প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। বুধবার বিচারক শুনানী শেষে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামী ৩ জন হলো, পলাশবাড়ী উপজেলা উদয়সাগর গ্রামের মোজা মিয়ার ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৩), একই উপজেলার জামালপুর গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মিলন মিয়া (৩১) ও আমবাড়ী গ্রামের সাবু মিয়ার শরিফুল ইসলাম (৩১)। নিহত মও. আবুল কালাম আজাদ সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের মহিপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত. ইসমাইল হোসেনের ছেলে ও পার্শ্ববর্তী পলাশবাড়ী উপজেলার দূর্গাপুর গাবেরদিঘি এলাকার জামে মসজিদের পেশ ইমাম ছিলেন।
বাদি পক্ষের আইনজীবি এ্যাড. রেজাউল করিম জানান, বিগত ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মও. আবুল কালাম অভাবে পরে তার বন্ধু দাদন ব্যবসায়ী শাহারুলের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা ধার নেন। পরে তিনি সেই টাকা পরিশোধও করেন। কিন্তু পরবর্তীতে শাহারুল তাকে জানান ওই ধারের টাকার সুদ তাকে দিতে হবে। কিন্তু তিনি সুদ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
বিগত ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর গাবেরদীঘি এলাকার জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়াতে যাবার পথে ইমাম আবুল কালামকে তুলে নিয়ে যায় শাহারুল, শরিফুল, মিলন ও তাদের লোকজন। পরদিন ১৯ অক্টোবর সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের গোবিন্দরায় দেবত্তর গ্রামের একটি আম গাছ থেকে ইমাম আবুল কালামের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোছাঃ লাবনী বেওয়া বাদি ওই দিনেই সাদুল্লাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটি তদন্তের জন্য গাইবান্ধা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাঠানো হয়।
গাইবান্ধায় অপহৃত ছাত্রী উদ্ধার, গ্রেফতার-১
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অপহরণের ১২দিন পর এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী মোতালেব মিয়া (১৯) নামের এক কলেজ ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উপজেলার খামার পাঁচগাছি গ্রাম হতে স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার এবং মোতালেবকে গ্রেফতার করা হয়। গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকালে উপজেলার কে কৈ কাশদহ গ্রামের ওই স্কুল ছাত্রী দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। এরই এক পর্যায় বালারছিড়া নামে এক স্থানে মোতালেব মিয়া তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মোতালেব উপজেলার বাজারপাড়া মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র এবং খামার পাঁচগাছি গ্রামের শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর ছেলে। এ নিয়ে থানায় ওই স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ওইদিন রাতে মামলা করে। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই জাহাঙ্গীর আলম জানান, দীর্ঘ সময় অভিযানের পর অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার এবং অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার অপহরণকারীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।