বৃহস্পতিবার ● ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » নওগাঁ » অবশেষে শহীদ মিনার পেলো ঐতিহাসিক আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
অবশেষে শহীদ মিনার পেলো ঐতিহাসিক আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ছোট যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ের বিশেষত্ব হচ্ছে বিদ্যালয়টি পলাশীর যুদ্ধ ১৭৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রায় ৩শত বছরের পুরনো এই বিদ্যালয়টি বর্তমানে অবহেলার চাদরে মোড়ানো। নদী ও বিল বেষ্টিত কয়েকটি গ্রামের শত শত শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র বিদ্যাপিঠ এটি।
তৎকালীন সময়ে আটগ্রামের জমিদার এই অঞ্চলের মানুষদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আধুনিকতার কোন ছোঁয়া স্পর্শ করেনি বিদ্যালয়টিতে। সম্প্রতি বিদ্যালয়টির নানা সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়। বছরের পর বছর এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অস্থায়ী ভাবে শহীদ মিনার তৈরি করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় দিবস উদযাপন করে আসতো। অবশেষে একটি শহীদ মিনার পেয়ে খুবই উৎফুল্ল শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয় মানুষরা। সম্প্রতি নব-নির্মিত এই শহীদ মিনারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ছানাউল ইসলাম, কালিকাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন মন্ডল, আটগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মতিউর রহমান কবিরাজ, প্রধান শিক্ষক মুকুল উদ্দিন, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টি ছোট যমুনা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পথে। স্থানীয় ভাবে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু স্থায়ী ভাবে বিদ্যালয়টি রক্ষা করার জন্য বড় ধরনের অর্থ বরাদ্দসহ সরকারি পরিকল্পনা প্রয়োজন। যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হয় তাহলে আগামী বর্ষা মৌসুমে নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাবে ঐতিহাসিক এই বিদ্যালয়টি। এছাড়াও বিদ্যালয়টির সুরক্ষা প্রাচীর নষ্টের পথে, আধুনিক মানসম্মত একটি ভবনের প্রয়োজন। কক্ষের অভাবে একই কক্ষে গাদাগাদি করে শিক্ষার্থীরা পাঠগ্রহণ করে। এছাড়াও কয়েকটি গ্রামের জন্য একটি মাত্র খেলার মাঠও অনেকটাই ব্যবহার অনুপযোগি। একথায় বর্তমান সরকারের ডিজিটাল যুগের কোন ছোঁয়াই এই ঐতিহাসিক বিদ্যালয়ে লাগেনি। এখানে নেই শিক্ষার্থীদের খেলার কোন উপকরন, নেই ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব। তাই অবহেলিত এই অঞ্চলের শিশু শিক্ষার্থীদের আনন্দমুখর ও ছিমছাম পরিবেশে পাঠগ্রহনের জন্য ডিজিটাল আধুনিক শিক্ষার সকল সুযোগ-সুবিধা বিশিষ্ট একটি মানসম্মত বিদ্যালয় উপহার দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সুদৃষ্টি কামনা করছি।