শুক্রবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » করোনার স্থবিরতার পর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রাজনীতি কোন পথে
করোনার স্থবিরতার পর খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রাজনীতি কোন পথে
নির্মল বড়ুয়া মিলন :: খাগড়াছড়ি জেলায় জাতীয় রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ইসলামিক আন্দোলন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম রয়েছে।
এ জেলায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল), সংস্কারপন্থি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক), বাঙ্গালী গণ পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমধিকার আন্দোলন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসি বাঙ্গালী সংগঠন, পার্বত্য নাগরিক কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ সংগঠনের সাংগঠনিক কার্যক্রম রয়েছে।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও দলটির অঙ্গসংগঠনসহ সহযোগী সংগঠনের খাগড়াছড়ি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে কোন নেতা-কর্মীকে হারায়নি বলে দলটির পক্ষ থেকে নিশ্চিত করেছেন।
খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি জেলা ও উপজেলায় করোনাকালিন দুস্থ ও কর্মহীনদের ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. জাহিদুল আলম এবং সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার মধ্যে দলীয় অনেক সিদ্ধান্ত গ্রহন ও বাস্তবায়ন নিয়ে মত বিরোধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাথে যুক্ত আছেন এধরেনের একজন আওয়ামীলীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়েছেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. জাহিদুল আলম সাহেব দলের নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্ত মানতে চান না, খাগড়াছড়ি থেকে যখন কল্পরঞ্জন চাকমাকে দলীয় মনোনয় দিয়ে ছিলেন তখন মো. জাহিদুল আলম কেন্দ্রীয় নেতাদের এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন, যখন আবার তেজেন্দ্রল লাল ত্রিপুরাকে দল মনোনয়ন দিয়েছে তখনও তিনি বিরোধীতা করে নিজেই বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে খাগড়াছড়িতে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছেন, এবার যখন কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন তখন তিনি দলের নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. জাহিদুল আলম দলের মুল স্রোতের সাথে মিশে থাকতে চান না।
ইতোমধ্যে উভয়ের মত বিরোধ পরিহার করে সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. জাহিদুল আলমকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা কমিটিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
এ দিকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম বলেন, খাগছড়িতে দলে কিছু ভুল বুঝাবুঝি রয়েছে, এটা বড় ধরনের নয়, সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার নেতৃত্বে আমরা সকলে এখন ঐক্যবদ্ধ, সমস্যা থাকলে আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়ে সমধান করা হবে।
খাগড়াছড়িতে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগে এবং দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনে বহিরাগত, অনুপ্রবেশকারী বা আওয়ামীলীগে নতুন যোগদানকারী জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগসহ অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন কমিটিতে আছে বলে তিনি স্বীকার করেন, তিনি বলেন, আমরা এবিষয়ে আমাদের দলের করণীয় কি ? সে বিষয়ে এমপি সাহেবের সাথে কথা বলেছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীরা এখনো বহালতবিয়তে আছে, তবে এদের বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়নি।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নতুন পরিচলনা পরিষদ গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো দলের নীতি নির্ধারক পর্যায়ে রয়েছে, জেলা কমিটিতে জেলা পরিষদের পরিবর্তন কিংবা নতুন করে জেলা পরিষদের পরিচালন পরিষদ গঠনের বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
চলিত বছরের ডিসেম্বর মাসে পৌরসভা নির্বাচন এবং তার পর ইউপি নির্বাচন বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, নির্বাচন আসলেই দলের ত্যাগী নেতা-কর্মী এবং অনুপ্রবেশকারীরা মনোনয়ন চাইবে, জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ অবশ্যই তারা তাদের নেতা-কর্মীদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।
খাগড়াছড়ি জেলা শহরে আঞ্চলিক দল সমুহের অবস্থান কি ? জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম বলেন, পৌরসভা এলাকায় আঞ্চলিক দল সমুহের তেমন কোন অবস্থান নাই, এসব আঞ্চলিক দল সমুহের প্রভাব উপজেলা পর্যায়ে রয়েছে। জেলা সদরে এসব দল থেকে নির্বাচনে কোন প্রার্থী জয়ী হতে পারেনি।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল-বিএনপি খাগড়াছড়ি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
দলটির পক্ষ থেকে জেলায় করোনাকালিন ত্রান সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।
খাগড়াছড়িতে বিএনপি সাবেক সংসদ সদস্য, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রয়ী নেতা আব্দুল ওয়দুদ ভুয়ার নেত্বত্বে ঐক্যবদ্ধ।
তবে দলটির দলীয় কার্যালয়ে বাইরে কোন ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি মিলেনা বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপি’র একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরো জানান, এ জেলায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা ক্ষমতাসীদের দ্ধারা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে গায়েবী মামলার কারণে অধিকাংশ নেতা-কর্মী আজ ঘর-বাড়ি ছাড়া, এর বাইরে আর বেশী কিছু বলতে তিনি রাজি হয়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) খাগড়াছড়ি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) এর ঘাঁটি বলে পরিচিত খাগড়াছড়ি জেলায় এ আঞ্চলিক দলটি জেলা শহরে অস্থিত্ব সংকটে তবে এ জেলায় মাত্র ২/১ উপজেলা পর্যায়ে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
এর কারণ হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-মূল) ভেংগে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল), সংস্কারপন্থি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা), ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক) দল-উপ দল খাগড়াছড়ি জেলায় সৃষ্টি হয়েছে।
এ জেলায় বছরের বেশীর ভাগ সময়ে উল্লেখিত দল-উপ দল সমুহের মধ্যে আদিপত্য বিস্তার ও শক্তি প্রদর্শনের লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় দলের সদস্যরা লিপ্ত হয় এছাড়া চাঁদাবাজি, অপহণ, গুম ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা এ জনপদে প্রতিনিয়ত ঘটছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) খাগড়াছড়ি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) প্রসিত বিকাশ খীসার নেত্বত্বে দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রম শক্তিশালী থাকলেও এই পার্বত্য চুক্তি বিরোধী আঞ্চলিক দলটি ভেংগে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) নামের আরেকটি সংগঠন সৃষ্টি হলে ইউপিডিএফ-মূল এর কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ে এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা প্রসিত বিকাশ খীসা আত্মগোপনে চলে যায়।
অনেকটাই পরিস্থিতির শিকার হয়ে পিসিজেএসএস-মুল এর ন্যায় ইউপিডিএফ-মূল সংগঠনটিও খাগড়াছড়ি জেলা শহরে তাদের অফিস ঘুটিয়ে নেয়। তবে খাগড়াছড়িতে উপজেলা পর্যায়ে ইউপিডিএফ-মূল এর সদস্যরা সক্রিয় রয়েছে। করোনাকালিন এ আঞ্চলিক দলটির পক্ষ থেকে ভুমি রক্ষা, নারী ধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।
সংস্কারপন্থি বলে পরিচিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা) খাগড়াছড়ি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে তাদের একজন গুত্বপূর্ণ সাবেক গেরিলা নেতাকে হারিয়েছেন।
খাগড়াছড়িতে সংস্কারপন্থি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা) গ্রুপের অবস্থা অত্যান্ত ভাল ক্ষমতাসীন দলের সাথে এই আঞ্চলিক দলের সর্ম্পক থাকার কারণে সুবিধাজনক অবস্থানে আছেন তাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস-এমএন লারমা) গ্রুপের প্রথম সারির বেশীর ভাগ নেতার মৃত্যুতে এ দলটি নেতৃত্ব শূণ্যতায় ভুগছে।
ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক) খাগড়াছড়ি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিপক্ষের অভিযোগ, একটি মহলের ছত্রছায়াতে খাগড়াছড়ি জেলা শহরে ও কয়েকটি উপজেলায় এবং রাঙামাটি জেলার কয়েকটি উপজেলা পর্যায়ে এ দলটির কার্যক্রম চলছে।
মুলতঃ ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ-মূল) প্রসিত বিকাশ খীসার গ্রুপ ভেংগে বা ভাগ হয়ে এই ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক) সংগঠনটি সৃষ্টি হয়েছে।
খাগড়াছড়ি জেলা শহরে ভিতর ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রোটিক ফ্রন্ট গণতান্ত্রিক (ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক) তাদের দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এবং ৪টি আঞ্চলিক দলের মধ্যে ইউপিডিএফ- গণতান্ত্রিক এ জেলায় বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ভাল আবস্থানে রয়েছে।
বাঙ্গালী গণ পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমধিকার আন্দোলন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আদিবাসি বাঙ্গালী সংগঠন ও পার্বত্য নাগরিক কমিটি নামের সংগঠন সমুহ খাগড়াছড়িতে এক সময়ে তাদের নেতা-কর্মীরা সক্রিয় থাকলে বর্তমান সময়ে নিশক্রয় অবস্থায় রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে গুত্বপূর্ণ কোন নেতা-কর্মীকে হারানো তথ্য পাওয়া যায়নি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাতিল করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল নাগরিকের অধিকার সংরক্ষণ করে সময়পযোগি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি রিভিউ করার দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতা কাজী মো. মুজিবুর রহমান।
খাগড়াছড়ি জেলায় এবং এ জেলার প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। পার্বত্য এলাকায় নতুন ভাবে গঠিত এ সংগঠনটি পার্বত্য এলাকার বাঙ্গালীদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে, করোনাকালিন এ আঞ্চলিক সংগঠনটি পক্ষ থেকে অপহরণ ও হত্যার বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের তৎপরতা খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় উল্লেখযোগ্য বলে স্থানীয়দের ধারনা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক দল সমুহের নিজেদের মধ্যে কোন্দল গ্রুপিং-লবিং প্রকাশ্যে বা গোপনে লেগেই আছে, জাতীয় রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যে দুরত্ব বেড়েছে এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সমুহের মধ্যে দুরত্ব বেড়েছে সর্বশেষ ক্ষমতাসীন দলের সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনকারী আঞ্চলিক দলের সাথে দুরত্ব বেড়েছে। এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মানুষ আর বাঙ্গালী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে দুরত্ব বেড়েছে খাগড়াছড়ি জেলায় করোনাকালীন স্থবিরতার পর পার্বত্য জেলায় রাজনীতি সংকট পরিস্কার, দেখার বিষয় হচ্ছে পাহাড়ে রাজনীতি কোন পথে ?