বুধবার ● ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীর ভাসমান অসংখ্য সাদা কৃত্রিম থালার বর্জ্য অপসারন
ঝিনাইদহের নবগঙ্গা নদীর ভাসমান অসংখ্য সাদা কৃত্রিম থালার বর্জ্য অপসারন
জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: (১৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ : বাংলাদেশ : সময় : রাত ১১.০০মিঃ) প্রকৃতির ধমনী নদী ৷ আর নদীর জল প্রবাহের মাধ্যমেই প্রকৃতিতে ‘জীবন’ প্রবাহমান ৷ তাই মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে নদী প্রবাহ চলমান রাখতে হবে ৷ কিন্তু কতিপয় অজ্ঞানতাপ্রসূত ও হীনস্বার্থান্বেষী মানুষ নদী হত্যায় নিমগ্ন৷ তার প্রবাহকে করছে রুদ্ধ, পানিকে করছে দূষিত ৷ ১৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে ভাসমান অসংখ্য সাদা সাদা কৃত্রিম থালার বর্জ্য দেখে এইড কর্মীগণ হতবাক হয়ে যায়! বিবেকের দংশনে তাদের প্রাণচঞ্চল করে ওঠে৷ ফলস্বরূপ সকল কর্মী একত্রে একটি নৌকা ও দুইটি তালের ডোঙ্গাযোগে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বর্জ্য অপসারণে৷ এইড কমপ্লেক্স এর উত্তর গা থেকে ধোপাঘাটা ব্রীজের নীচ পর্যন্ত জলাশয় থেকে উত্তোলিত করা হয় সকল পরিত্যাক্ত উচ্ছিষ্ট এবং স্বাস্থ্যহানীর আশঙ্কা দুর করতে আগুনে পুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় ৷ এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সিনিয়র মত্স্য কর্মকর্তা মন্জুরুল ইসলাম,এইড ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী তারিকুল ইসলাম পলাশ,নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, পরিচালক দ্বয় আব্দুর রশীদ ও আশাবুল হক , সহকারী পরিচালক চন্দন বসু মুক্ত,ড্রিম প্রকল্পের পিসি শাহাব উদ্দীন আহমেদ, পিসি সুরাইয়া পারভীন শিল্পি,নাসরিন সুলতানা, মোহনা সাংস্কৃতিক একাডেমির ফারুকুল ইসলাম টুটুল,সনিয়া আক্তার লপতি সহ ২শতাধিক এইড ফাউন্ডেশন এর কর্মী ও স্থানীয় জনসাধারন । প্রকৃতি প্রেমী এইড ফাউন্ডেশন ও তার নিবেদিত প্রাণ কর্মীবাহিনী পরিবেশ বাঁচাও, নদী বাঁচাও, ধরিত্রী বাঁচাও আন্দোলনের অগ্র-সেনানী৷ তার জ্বলন্ত প্রমাণ মেলে ঝিনাইদহের সকল পরিবেশ আন্দোলনের অগ্রসারিতে অবস্থান করে জনমত সৃষ্টি ও নিজ উদ্যোগে পরিবেশ বান্ধব কর্মকান্ড পরিচালনা করা৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যায় বৃক্ষরোপন ও পক্ষীকুলের অভয়াশ্রম-সহ নদী, মত্স্য ও জলজ প্রাণির অভয়াশ্রম গড়ে তোলার লক্ষে ধোপাঘাটা ব্রীজের নীচ থেকে দক্ষিণমুখো জলাধারের ০১ (এক) কিলোমিটার পর্যন্ত এইড ফাউন্ডেশনকে সরকার বরাদ্দ প্রদান করেছে ৷ এইড এর কর্মীগণ প্রাণের থেকেও ভালোবাসে যে নদীকে, তার দূষণ, ক্ষতি সে কি করে সইবে ? তাই সম্প্রতি আমাদের অমঙ্গল আশঙ্কা থেকে একটি আবেদনে ঝিনাইদহের সুযোগ্য মেয়র মহোদয়কে নর্দমার বর্জ্যময় দূর্গন্ধযুক্ত পানি থেকে নদীর পানি, মত্স্য সম্পদ, জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণি তথা পরিবেশ রক্ষায় নর্দমার শেষ মাথায় লৌহজালি স্থাপনের ৷ শেষ পর্যন্ত আমাদের আশঙ্কাই সত্য হলো, সেই কারণেই বোধ হয় জনৈক অসচেতন ব্যক্তি নদীতে অথবা নর্দমাতে ফেলে দিয়েছিলো কৃত্রিম বস্তুর তৈরী কয়েকশত পরিত্যাক্ত থালা ৷ আমাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন-’নদী কি বর্জ্য ফেলার ভাগাড়’?
এই ঘটনাটির বিষয়ে সচেতন নাগরিক, প্রশাসন ও পরিবেশ আন্দোলনকারীগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন ঝিনাইদহ শহরের ধমনী নবগঙ্গা নদীতে জলপ্রবাহকে সচল রাখি, অন্যথায় একদিন বন্ধ হয়ে যাবে আমাদের রক্ত প্রবাহ ৷