শনিবার ● ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » রামগড়ে ২ অপহৃত ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিন পর ছাড়া পেল
রামগড়ে ২ অপহৃত ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিন পর ছাড়া পেল
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি ::খাগড়াছড়ির রামগড়ে অপহরণের ৩৩ দিন পর ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেল অপহৃত ২ব্যক্তি।
ইউপিডিএফের সদস্যদের হাতে অপহৃত ২ জন গতকাল শুক্রবার ২৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেয়েছে জুয়েল ট্রেডার্সের বিক্রয় প্রতিনিধি মঞ্জুরুল আলম (৩৫) ও কর্মচারী নোয়াখালীর সুধারামের মো: রাজু (২৮)।
গত ২৩ আগস্ট রামগড়-জালিয়াপাড়া সড়কের যৌথ খামার অতিক্রম করার সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে ৪ জন সন্ত্রাসী পিকআপের সামনে এসে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে গাড়িটি আটকায়। চাঁদার টোকেন নাই বলার সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে রাস্তা থেকে প্রায় ৩-৪শ গজ দূরে জঙ্গলের ভিতর গাড়িসহ সবাইকে নিয়ে যায়।
পরে মোবাইল ফোনে জুয়েল ট্রেডার্সের মালিকের সাথে চাঁদার টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা গাড়ির চালক মিজানকে ছেড়ে দিয়ে মঞ্জু ও রাজুকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
অপহরণের এ ঘটনায় চালক মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ২৪ আগস্ট রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়ার পর অপহৃতদের স্বজনরা ভিন্ন কৌশলে অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। অপহরণকারীরা তাদের মুক্তির জন্য ৫ লক্ষ টাকার মুক্তিপণ দাবি জানায়। অপহৃত রাজুর স্বজন নোয়াখালীর মাইজদী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ও ঠিকাদার কামাল উদ্দিন অপহরণকারীদের সাথে গত এক সপ্তাহ ধরে যোগাযোগ সমন্বয় করেন। জুয়েল ট্রেডার্সের মালিক মেহেদী হাসান জুয়েল তার অপহৃত ২কর্মচারীকে উদ্ধারে মুক্তিপণের ৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজী হওয়ার পর বৃহস্পতিবার অপহরণকারীদের সাথে যোগাযোগ করা হয়।
অপহৃত রাজুর স্বজনরা অপহরণকারীদের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর শুক্রবার সকালে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে গুইমারার বড়পিলাকের ছনখোলার গরু বাজার নামক স্থানে আসেন।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পর ইউপিডিএফের দুই কর্মী মোটরসাইকেলে করে ফেনী থেকে আাসা কামালকে নিয়ে যায় অচেনা এক পাহাড়ির বাড়িতে। সেখানে মুক্তিপণের নগদ ৫ লক্ষ টাকা দেয়ার পর তারা টাকাগুলো গুনে বুঝে নেয়। টাকা গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক ম্যাসেজটি মোবাইল ফোনে তাদের ঊর্ধ্বতন নেতাকে জানানো হয়। পরে ওই নেতা পুনরায় কামালকে ফোন করে জানায় অপহৃতদের মানিকছড়ি গিরি মৈত্রী কলেজ এলাকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
রামগড় থানার সেকেন্ড অফিসার ও অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মুজিবুর রহমান বলেন, মুক্তিপণ দিয়ে অপহৃতরা ছাড়া পেয়েছে বলে শুনেছি।