সোমবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খাগড়াছড়ি » মাটিরাঙ্গায় গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
মাটিরাঙ্গায় গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি :: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি মোল্লা বাজার সওদাগর পাড়ায় তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে শ্লীলতা হানির অভিযোগ উঠেছে।
আজ সোমবার ২৮ সেপ্টম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার তবলছড়ি ৩নংওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি আবুল বাশারের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আবুল বাশার ওই রাতে কচুর গাড়ি লোড দিতে পার্শবর্তী চৌমুহনী এলাকায় লেবারদের সাথে অবস্থান করে। তার ভূক্তভোগী স্ত্রী টর্চ লাইট হাতে প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে ঘরে ফেরার সময় ৩/৪ জন পেছন থেকে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানা-হেছড়া করতে থাকে। গৃহবধূর আর্তচিৎকারে পার্শ্ববর্তী বাড়ির চান মিয়াসহ লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় তার পরণের কাপড়ের বিভিন্ন অংশ ছিড়ে যায়। শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত প্রাপ্ত হলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় সকালে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।
স্ত্রীর দু:সংবাদের খবর পেয়ে রাতেই স্বামী আবুল বাশার ছুটে আসেন নিজ বাড়ীতে। তিনি বলেন, আমার স্ত্রীর প্রতি অমানবিক আচরণে আমি তীব্র নিন্দা জানাই। মূলতঃ রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্য আসা সন্ত্রাসীরা আমাকে না পেয়ে আমার স্ত্রীকে নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। শাহজালাল হোসেন বাবু গতকাল জ্যোস্না বেগমের জমি সংক্রান্ত মামলায় জামিন পায়। আমার সাথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়াও জ্যোস্নার মামলায় সহযোগিতা করার সন্দেহ করতো। আমি এর বিচার চাই।
ভূক্তভোগী গৃহবধু শ্লীলতা হানির চেষ্টাকারী ৫/৬ জনের মধ্যে মৃত কাশেম ফকিরের দুই ছেলে সিরাজ(৪৫), শাহজালাল হোসেন বাবু(৩২) ও সিরাজের ছেলে আলমগীর(২০)সহ ৩জনকে চিনতে পারে বলে জানায়। মূখোস পড়ে থাকায় এক নারীসহ অন্যদের চিনতে সক্ষম হয়নি।
তবলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের জানান, রাত ১২টার পরে আমাকে ঘটনা অবগত হয়েছি। ভিকটিম বেহুশ অবস্থায় থাকায় তাৎক্ষণিক সন্ত্রাসীদের কারো নাম জানা যায়নি। আমি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠাতে পরামর্শ দিয়েছি । সন্ত্রাসীদের সনাক্ত করতে পারলে আমরা স্থানীয় ভাবে এর বিচারের ব্যাবস্থা করবো। অন্যথায় আইনের আশ্রয় নেয়া হবে।