সোমবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বাগেরহাটে কাতার চ্যারাটির অর্থায়নে সুপেয় পানি পাচ্ছেন মানুষ
বাগেরহাটে কাতার চ্যারাটির অর্থায়নে সুপেয় পানি পাচ্ছেন মানুষ
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির,বাগেরহাটে প্রতিনিধি :: বাগেরহাটের সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামে প্রকল্পের আওতায় তীব্র লবনাক্ত এই এলাকায় একটি সোলার নলকুপ স্থাপন করে ১টি ওভারহেডটেংকি হতে আড়াই কিঃমিঃ পাইপ লাইন করে ৩০টি পানি সরবরাহের পয়েন্ট করে প্রায় ৩হাজার মানুষের জন্য খাবার সুপিয় পানির ব্যাবস্থা করেছে কাতার চ্যারাটি।
সরেজমিনে অনুস›দ্ধানে জানা গেছে কাতার চ্যারাটির অর্থায়নে চলতি বছর এই প্রকল্পটির নির্মান করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বাগেরহাটের স্বপনীল এন্টারপ্রাইজ। বাগেরহাটের বেমরতা ইউনিয়নের ২নং বিজয়পুর গ্রামের একটি সৌর বিদুৎ চালিত টাওয়ার নির্মান করে প্রতি ১০টি বাড়ি পরপর ১টি পানি সরবরাহের পয়েন্ট নির্মান করে পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্রামের ২.৫ কিঃমিঃ রাস্তার পাশে মোট ৩০টি পানি সরবরাহের পয়েন্ট নির্মান করা হয়েছে। যার থেকে এই গ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষ বাড়ীর কাছে বিনা মূল্যে পাচ্ছে সুপিয় খাবার পানি।
স্থানীয় বাসি›দ্ধা কবির হাওলাদার বলেন, এই গ্রামের পুকুরের পানি লবনাক্ত হওয়ায় ও গভীর নলকুপ স্থাপন করতে বারবার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হওয়ায় ইতি পূর্বে তীব্র সুপীয় পানির সংকট ছিল। কাতার চ্যারিটির এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় আমরা খুব খুশি হয়েছি।
স্থানীয় মসজিদের মোয়াজেম আবু হানিফ বলেন, আগে মিষ্টি পানি আনতে ৩মাইল দূরে যাইতে হত, এখন কাতার চ্যারাটি এই সোলারের মাধ্যমে গ্রামের সব খানে মিষ্টি খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে, তিনি কাতার চ্যারাটির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ষাটোর্ধ বৃদ্ধা বিধবা রহিমা বেগম বলেন, কিছুদিন আগে খাবার পানি আনতে ২মাইল যাইতে হত এখন কাতার চ্যারাটি আমার বাড়ির সামনে মিষ্টি পানির কল বসায়ছে মুখ ঘুরাইলেই পানি পড়ে কলচাপা লাগেনা। কাতার চ্যারাটি আমাগো খাবার পানি দিচ্ছে।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বেমরতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর বলেন, আমার ইউনিয়নটি দড়াটানা নদীর পাশে অবস্থিত তাই আমার এলাকার বিজয়পুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যুগযুগ ধরে সুপেয় খাবার পানির সমস্যা ছিল সম্প্রতি কাতার চ্যারিটির অর্থায়নে ও উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বিজয়পুরের প্রায় ৩হাজার মানুষের খাবার পানির ব্যাবস্থা করেছে এতে বিজয়পুর বাসী খুব উপকৃত হচ্ছে।
ডেয়ারী ও পল্টি ফার্ম করে সঞ্জিত অনেক স্ববলম্বি
বাগেরহাটে :: বাগেরহাটের ফকিরহাটে শিক্ষিত বেকার যুবক সঞ্জিত দেবনাথ এখন দেশী বিদেশী জাতের ডেইরী ও পল্ট্রি ফার্ম করে আগের চেয়ে অনেক স্বাবলম্বি হয়েছেন। একজন শিক্ষিত বেকার যুবক হয়েও তিনি চাকুরী নামের সোনার হরিণের পিছনে পড়ে না থেকে নিজের পায়ে দাড়িয়ে এখন নিজেই স্বাবলম্বি হয়েছেন। তার মত শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি বছরের পর বছর চাকুরীর পিছনে না পড়ে থেকে যা আছে তাই নিয়ে কর্ম করে খান তাহলে নিজে ও সমাজের উন্নতি করা সম্ভব হবে বলেও তার অভিমত।
জানা গেছে, লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া বারুইডাঙ্গা গ্রামের সুভাষ দেবনাথ এর পুত্র সঞ্জিত দেবনাথ ২০০১সালে এসএসসি এবং ২০০৪সালে এইচএসসি পাশ করেন। পাশ করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বিভিন্ন স্থানে চাকুরী করার জন্য দৌড়ঝাপ শুরু করেন। কিন্তু চাকুরী নামক সোনার হরিণ তার ভাগ্যে জুটলো না। তাই মনের কষ্টে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে পাড়ি জমায়। সেখানে দীর্ঘদিন যাবৎ থাকার পর পুনঃরায় আবারও দেশে ফিরে আসেন।
ফিরে এসে চিন্তা করেন চাকুরীর পিছনে দৌড়ানোই তার কোন লাভ হবেনা। তাই প্রথমে একটি দেশী গাভি পালন করা শুরু করেন। সেই দেশী গাভিতে বিদেশী জাতের বীজ দিয়ে এখন পরপর ৪টি গরু নিয়েই তার ডেইরী ফার্ম। এখন বাছুর বড় হয়েছে তার পরেও তার গাভীতে ৭/৮লিটার দুধ দিচ্ছে। শুধু তাই নয় ডেইরী ফার্মের পাশের্^ দেড়হাজার এসকয়ারফুটের ১টি ঘর নির্মণ করে সেখানে দেশী ও বিদেশী জাতের মুরগীর ফার্মও করেছেন তিনি। প্রথম কয়েক দফায় তার কয়েক লক্ষ টাকার লস হলেও এখন পরিস্থিতি অনেকটা ভাল। তার ফার্মে বর্তমানে দেশী মুরগী ২শতাধিক এবং বিদেশী অর্থাৎ সোনালী ৪শতাধীক রয়েছে। তিনি বলেন তার মত শিক্ষিত বেকার যুবকরা যদি বছরের পর বছর চাকুরীর পিছনে না ছুটে যা আছে তাই নিয়ে কর্ম করে খান তাহলে নিজে ও সমাজের উন্নতি করা সম্ভব বলেও তার অভিমত।
বাগেরহাটে বেকারী কারখানা অগ্নিকান্ডে ভস্মিভুত: ক্ষয় ক্ষতি১৫লক্ষ টাকা
বাগেরহাটে :: বাগেরহাটের ফকিরহাটে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডে মেসার্স সাব্বির ফুড নামের একটি বেকারী কারখানা পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়েছে। এতে কারখানা মালিকের প্রায় ১৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে লখপুর ইউনিয়নের জাড়িয়া মাইট কুমরা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন রাত ১২টার সময় হঠাৎ করে কারখানার পিছনের দিকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মিরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা চালায়। ততক্ষন বেকারী কারখানাটি সম্পূর্ণরুপে পুড়ে ভস্মিুভুত হয়।
কারখানার মালিক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, কারখানাতে ১টি এ্যাপাসি মোটর সাইকেল, মালামাল বহনের জন্য ২টি অটো ভ্যান, ৫টি ড্রামে থাকা তৈল, ২০বস্তা ময়দা ও আটা সহ বিপুল পরিমানে বিভিন্ন প্রকার মালামাল পুড়ে যায়। এতে তার প্রায় ১৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গরীব বেকারী মালিক সর্বস্ব হারিয়ে তিনি এখন পাগলের মত প্রলাপ বকছেন।
নাজিরপুরে অগ্নিকান্ডে বসতঘর ভস্মিভুত ক্ষয় ক্ষতি ৫ লক্ষ টাকা
পিরোজপুর :: পিরোজপুর জেলার নাজিরপুরে আকষ্মিক অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভুত হয়েছে। এতে বসতঘর মালিকের প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গভীর রাতে নাজিরপুর উপজেলার চিথলিয়া গ্রামে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার দিন রাত ২টার সময় হঠাৎ করে বসতঘর পিছনের দিকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা সমগ্র এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা চালায়। ততক্ষন বসতঘর টি সম্পূর্ণরুপে পুড়ে ভস্মিুভুত হয়।
সরেজমিনে অনুসদ্ধানে জানা গেছে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস কে বহুবার ফোন দেয়া হয়,রিং হয় কিন্তু রিসিভ করেনা,পরে স্থানীয় লোকের ঐকান্তিক প্রচেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে উদ্ধার করা হয় বিল্ডিংয়ের লোকজনকে, আগুন নেভানোর ৩০ মিনিট পরে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেখানে উপস্থিত হয়,তারা ঘটনাটি দেখে চলে আসে, পরের দিন তাদের অফিসে যাওয়া হয়,তাদের কে ঘটনাটি বলা হয় এবং টেলিফোন নাম্বার টি মেলানো হয়, তারা বলে আমাদের টেলিফোন সেটে সমস্যা ফোন আসলে বোঝা যায়না,পরে বললাম এত গুরুত্ব পুর্ন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানের ফোন সেটে থাকে সমস্যা এটা কিভাবে সম্ভম, বলে আমাদের কিছু করার নাই আমরা কর্তৃপক্ষকে বলেছি টি এন্ড টি কেও বলেছি,কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নিলে আমাদের কিছু করার নাই,কথা হল ফায়ার সার্ভিসের মত যায়গায় টেলিফোন সেটে যদি থাকে সমস্যা তবে আমরা এই সেবাটি কোথায় পাব।বসতঘর মালিক মোঃ আবুল কালাম শেখ বলেন, বিপুল পরিমানে বিভিন্ন প্রকার মালামাল পুড়ে যায়। এতে তার প্রায় ৫লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। গরীব বসতঘর মালিক সর্বস্ব হারিয়ে তিনি এখন পাগলের মত প্রলাপ বকছেন।