সোমবার ● ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » বিশ্বনাথে ফাতেমার মৃত্যুর ৫৯ দিনেও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পৌছেনি থানায়
বিশ্বনাথে ফাতেমার মৃত্যুর ৫৯ দিনেও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পৌছেনি থানায়
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : দীর্ঘ ৫৯দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে একটি ময়না তদন্তের রির্পোট বিশ্বনাথ থানায় পৌছেনি । যে কারণে একজন নারীর রহস্যজনক মৃত্যুর মামলাটি আইনের ফাঁকে আটকা পড়ে আছে। নিহতের পরিবার গরীব হওয়ায় থানা পুলিশও ময়না তদন্তের রির্পোট সংগ্রহে তেমন আগ্রহী নয়। ফলে ঘটনাটি প্রায় ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২জুলাই বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের শেখের গাঁও গ্রামের সাইদ আলীর পুত্র জামিল আহমদের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২১) এর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ফাতেমার স্বামীর পরিবার ঘটনাটিকে আত্তহত্যা বলে প্রচার করলে ফাতেমার ভাই রোবেল আহমদসহ মেয়েটির আত্মীয় স্বজনরা তাকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। ২জুলাই ফাতেমার মৃত্যুর পর আত্মীয় স্বজনরা গিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পান এবং নাকে মুখে রক্ত বের হতে থাকে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। এই ঘটনার পর ফাতেমা বেগমের ভাই রুবেল আহমদ বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ অভিযোগটি আমলে নেয়নি। ময়না তদন্তের পর ফাতেমার লাশ স্বামীর বাড়ীতে দাফন না করে এবং ফাতেমার মা বাবাকে না জানিয়ে পুলিশের সহায়তা সিলেট নগরীর মানিকপীর টিলায় তড়িগড়ি করে দাফন করা হয়। এতে ঘটনা আরো বেশি রহস্যের সৃষ্টি হয়।
২০১৮সালের ১৬আগষ্ট রামপাশা ইউনিয়নের আনরপুর গ্রামের ইলিয়াছ আলীর মেয়ে ফাতেমা বেগমকে দৌলতপুর ইউনিয়নের শেখেরগাঁও গ্রামের সাইদ আলীর পুত্র জামিল আহমদ এর সাথে বিবাহ দেয়া হয়। বিবাহ দেয়ার পর জামিল যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে শারীরিকভাবে মারপিটসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করতে থাকে।
এ নিয়ে একাধিকবার শালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনমতেও ফাতেমার উপর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। জামিল আহমদ একজন চালাক চতুর প্রকৃতির যুবক হয়। সে নিজেকে চট্টগ্রামে ও ঢাকায় বড় চাকুরী করেছে মর্মে পরিচয় দিয়ে ফাতেমাকে বিয়ে করে এবং প্রায় সময় বাহিরে থাকে। শালিশ বৈঠকের একজন মুরব্বী জানান, ফাতেমা বেগমকে জামিলের পিতা সাইদ আলী কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু মেয়েটি রাজী না হওয়ায় সাইদ আলী কয়েকদফা মেয়েটি অত্যাচার নির্যাতন করে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক সালিশ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু থানা পুলিশ বাদী রুবেলের কথা কর্ণপাত করছে না। ফাতেমার ভাই অসহায় রুবেল আহমদ ময়না তদন্তের রিপোর্টের জন্য ওসমানী হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে চরম হয়রানীর শিকার হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসলে পুলিশ মামলার কোন পদক্ষেপ নেবে না বলে জানিয়েছে। অসহায় রুবেল আহমদ তার বোনের বিচারের জন্য সিলেটের পুলিশ সুপার ও ওসমানী হাসপাতালের পরিচালকের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ থানার ওসি শামীম মুসা বলেন, ফাতেমা বেগমের লাশ উদ্ধার করার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মনয়া তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা তা ময়না তদন্তের রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তিন বার ময়না তদন্তের রির্পোটের জন্য আবেদন করা হলেও আমরা এখনো রির্পেটি হাতে পাইন। যার কারণে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনে বিলম্ব হচ্ছে।
বিশ্বনাথে সুসমিতা বই ঘর চুরি
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথ পৌরশহরের পুরানবাজারে (এ আর চেরাগ আলী মার্কেটে) সুসমিতা বই ঘর চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
চোরেরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ ও ক্যাশে থাকা নগদ প্রায় দুই হাজার টাকা নিয়ে গেছে। রবিবার রাতে এ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সমরেন্দ্র বৈদ্য সমর জানান, আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিনের চাল কেটে চোরেরা প্রবেশ করে প্রতিষ্ঠানের ল্যাপটপ ও নগদ প্রায় ২ হাজার টাকা চোরেরা নিয়ে গেছে।
বিষয়টি তিনি থানা পুলিশ-কে জানিয়েছেন।
বিশ্বনাথে ১৭ বছর পর কাল নির্বাচন : আনন্দিত ভোটাররা
বিশ্বনাথ :: দীর্ঘ ১৭ বছর পর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা প্রচারে ব্যস্ত হয়েছেন। অনেক প্রার্থী ইউনিয়নের ভোটারদের কাছে তাদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এত বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেখে ভোটাররাও আনন্দিত।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সীমানা জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত ছিল। অবশেষে মামলার জটিলতা নিরসনের পর গত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ওই ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে। ঘোষিত তফসিল অনুসারে আগামী ২৯ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৪ অক্টোবর, যাচাই-বাছাই ৫ অক্টোবর ও মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ১২ অক্টোবর।
দশঘর ইউনিয়নের কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে দীর্ঘদিন তারা ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় ইউনিয়নবাসীর তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এবার নির্বাচনের তারিখ ঠিক থাকলে তারা পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
জানা গেছে, এই নির্বাচনে সাবেক ইউপি মেম্বারদের মধ্যে কয়েকজন অংশ নিতে পারেন। তবে বেশিরভাগই নতুন মুখ। আওয়ামী লীগ-বিএনপির কয়েকজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন। এরই মধ্যে তারা নির্বাচনী কাজ শুরু করে দিয়েছেন।
বিশ্বনাথ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার নিশ্চিত করেছেন, আগামী ২৯ অক্টোবর উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্বনাথে দশঘর ইউপি নির্বাচনে আ.লীগের নৌকার প্রার্থী জবেদুর
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এরইমধ্যে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীরা ব্যস্ত। অনেক প্রার্থী আবার ইউনিয়ন ভোটারদের কাছে তাদের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি তুলে ধরতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এতো বছর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেখে ভোটাররাও আনন্দিত। গত ২৪ সেপ্টেম্বর এ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন।
উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাধ্যমে দলীয় সমর্থন পেয়েছেন জবেদুর রহমান। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা নৌকার প্রার্থী বাছাই উপলক্ষে দশঘর ইউপি পরিষদ হল রুমে এক সভা শেষে ইউনিয়ন আ.লীগের তৃণমূলের ভোটে জবেদুর রহমান নির্বাচিত হন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলাা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহজ্ব শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীষস্থানীয় নেতাকর্মী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব পংকি খান সাংবাদিকদের বলেন, দশঘর ইউনিয়ন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সিন্ধান্ত গ্রহন করার পর চেয়ারম্যান প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় প্রতিক দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন দশঘর ইউনিয়নের দশঘর গ্রামের শফিকুর রহমান নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে হঠাৎ করেই যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চলে আসছিল। এরপর মামলা জটিলতার কারণে বিশ্বনাথের দশঘর ইউনিয়নের নির্বাচন দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকে। অবশেষে আগামী ২৯ অক্টোবর দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।