মঙ্গলবার ● ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » বৌ রেখে শালী নিয়ে উধাও
বৌ রেখে শালী নিয়ে উধাও
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে বৌ রেখে শালী নিয়ে উধাও হয়েছে এক স্বামী। এবার শাশুড়িকে নিয়ে উধাও হবার পালা মর্মে হুমকি প্রদান করছেন সেই জামায়! ঘটনাটি ঘটেছে ০৯/০৮/২০২০ তারিখ রবিবার রাত ৮টার দিকে কোটচাঁদপুর উপজেলার সাফদারপুর ইউনিয়নের জয়দিয়া গ্রামে। এব্যাপারে জয়দিয়া গ্রামের মৃত ওমর আলী মন্ডলের ছেলে ও মেয়ের পিতা মোঃ শাহাজান মন্ডল ঝিনাইদহ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৭/৩০ ধারায় একটি মামলার আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোটচাঁদপুর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে লিপিবদ্ধ করতে আদেশ দিয়েছেন। মামলা নং-ঘঞঈ/চ ১৫৮/২০। সে মোতাবেক কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মাহবুবুর রহমান মামলাটি এজাহার হিসাবে গন্য করে এসআই আনোয়ার হোসেনকে আইও হিসাবে মামলার তদন্ত দায়িত্ব প্রদাণ করেন। সরেজমিনে তদন্ত করে ও মামলা সুত্রে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষীকুন্ডু গ্রামের আক্কাচ মন্ডলের ছেলে আসামী মিলন হোসেন (২৬) মামলার বাদী শাহাজান মন্ডলের সেজ জামাই ও সেজ মেয়ে মরিয়মের স্বামী, জামায়ের ভাই আক্কাচ মন্ডলের ছেলে খোকা হোসেন (৩০), জামায়ের পিতা মৃত জহর আলীর ছেলে মোঃ আক্কাচ মন্ডল (৬০) ও জামায়ের মা আক্কাচ আলীর স্ত্রী মোছাঃ রুপভান বেগম (৫৫)। বাদীর সেজ কন্যা মরিয়মের সহিত আসামী মিলন হোসেনের বিগত অনুমান ৫ বৎসর পূর্বে বিবাহ হয়ে। বিবাহের পর তাদের কোনো সন্তান হয়নি। বাদীর সেজ কন্যা মরিয়ম (২২) এর চেহারা খারাপ হওয়ার আসামীগন বাদীর সেজ কন্যাকে স্ত্রী/পুত্রবধু হিসাবে মানিয়া লইতে না পারিয়া বাদীর সেজ কন্যার উপর শারীরিক ও মানষিক ভাবে নির্যাতন করিত। ভিকটিম ও বাদীর ছোট ও নাবালিকা কন্যা মোছাঃ নাছরিন খাতুন (১৫) সাফদারপুর এস.বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। আসামী মিলন হোসেন বাদীর ছোট কন্যা ভিকটিম নাছরিন খাতুনকে প্রায়ই উক্ত্যাক্ত করিত। বাদীর কন্যা বিষয়টি বাদীকে জানাইলে বাদী অন্যান্য আসামীদের বিষয়টি অবহিত করে। কিন্তু অন্যান্য আসামীগন বাদীর কথায়া কর্নপাত না করিয়া বাদীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকী দিয়া বাদিকে তাড়াইয়া দেয়। বিষয়টি জানতে পেরে আসামী মিলন আরো বেপরোয়া হইয়া ওঠে এবং অন্যান্য আসামী তার পিতা, মাতা, ভাই ও অন্যান্যদের যোগসাজসে বাদীর ছোট কন্যা নাছরিন খাতুনকে অপহরণ করিবার হুমকি প্রদান ও পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে আসামীর হুমকীর কারনে বাদীর কন্যার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এমতাবস্থা চলাকালে ঘটনার দিন তারিখ ও সময়ে বাদীর কন্যা নিজ বাড়ীতে অবস্থান করাকালীন সময় ২নং আসামী খোকা হোসেন নাবালিকা কন্যাকে ঘর থেকে ডেকে বাহিরে আনা মাত্রই পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা ১নং মিলন হোসেন আন্যান্য আসামীদের সহায়তায় বাদীর কন্যাকে জোর পূর্বক অপহরন করিয়া তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একটি সাদা রং এর মাইক্রো যোগে কোটচাঁদপুর শহরের দিকে চলিয়া যায়। বাদীর কন্যা আসামীদের সহিত ধস্তাধস্তি ও ডাক চিৎকারের একপর্যায়ে জয়দিয়া গ্রামের স্থানীয় স্বাক্ষীগন মজনু মন্ডলের ছেলে আঃ রাজ্জাক, ওমর আলীর মেয়ে মোছাঃ সাবিনা খাতুন, মোজাম মন্ডলের ছেলে নাজিম উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার বসন্তপুর গ্রামের বিশারত মন্ডলের ছেলে রকিজুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা আগাইয়া এসে দেখে যে, আসামীগণ বাদীর কন্যাকে মাইক্রো যোগে অপহরণ করিয়া কোটচাঁদপুরের দিকে লইয়া যাইতেছে। বাদী ও স্বক্ষীদের ডাকচিৎকারে স্থানীয় লোকজন আসিয়া বাদীর কন্যাকে খোঁজাখুঁজি করিতে থাকে। বাদী ও স্বাক্ষীগন বাদীর কন্যার ভবিষ্যত জীবনের কথা চিন্তা করিয়া ও সামাজিক মান সম্মানের কথা চিন্তা করিয়া অনেক খোঁজাখুঁজি করিতে থাকে। বাদীর কন্যাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় বাদীর ধারনা অসামীগন তাহার কন্যাকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন অনৈতিক কাজে ব্যবহার করিতে পারে অথবা তাহাকে কোথাও বিক্রয় করিয়া অথবা পাচার করিয়া দিতে পারে বা জোর পূর্বক বিবাহ করিতে পারে। বিষয়টি লইয়া বাদির আতœীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করিয়া বাদীর কন্যাকে কোথাও না পাইয়া সর্বশেষ গত ইং-১২/০৮/২০২০ তারিখে কোটচাঁদপুর থানায় মামলা করিতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করিতে অনিহা প্রকাশ করায় বিজ্ঞ আদালতে মামলা দাখিল করে। মামলায় বাদি আরো উল্লেখ্য করে বলেন অসামীগন বাদীর ছোটকন্যা ভিকটিমকে অপহরন করিয়া লইয়া যাওয়ায় আসামী মিলন হোসেনের স্ত্রী ও বাদীর সেজ কন্যা ক্ষোভে অপমানে বিষ পান করিয়া আতœহত্যার চেষ্টা করিয়াছে। বর্তমানে বাদীর সেজ কন্যা মৃত্যুর সহিত পাঞ্জা লড়িতেছে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা দাখিল হওয়ার প্রায় এক মাস পরে ৭ই অক্টোবর আসামিরা সুকৌশলে ভিকটিম নাসরিনকে কোটচাঁদপুর থানায় আত্মসমর্পণ করলে কোটচাঁদপুর থানার আইও এসআই আনোয়ার হোসেনের নিকটে আত্মসমর্পণ করায়। কোটচাঁদপুর থানা পুলিশ ভিকটিক নাসরিনকে কোট হাজতে প্রেরণ করে। ৭ই অক্টোবর ঝিনাইদহ আদালতে জবান বন্দিতে ভিকটিম নাসরিন আসামিদের হুমকির কারনে ভয়ে স্ব-ইচ্ছায় পালিয়েছে মর্মে কোর্টে জবানবন্দি প্রদান করে। পরে বিজ্ঞ আদালত ভিকটিম নাসরিনকে তার পিতার জিম্মায় মুক্তি প্রদাণ করেন। এদিকে উদ্ধারের পর ভিকটিম নাসরিন বাড়িতে এসে তার পিতা শাজাহানকে জানায় ৮ই অক্টোবর ঘটনার দিন রাতে জয়দিয়া গ্রামে নিজেদের বাসার পাশের পিয়ারা বাগানে প্রথমে আসামি খোকা ডেকে নিয়ে গেলে মজনুর ছেলে রাজ্জাক (৩০) ও রাজ্জাকের স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৫) এর সহযোগিতা আসামী মিলন হোসেন, খোকা হোসেন, আক্কাচ মন্ডল,আক্কাচ আলীর স্ত্রী রুপভান বেগম পাশের পিয়ারা বাগানে গেলে ভিকটিমের মুখ বেধে একটু দুরে নিয়ে গাড়িতে তুলে খালিশপুরে নিয়ে ঘুরে আবার বলুহর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামে ৪দিন রেখে ঘুমির বড়ি খাইয়ে মুখ বেধে রেখে দেই আর তিনটি বুলেট সহ পিস্তল ও চা পাতির ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে। নচেৎ তোকে ও তোর পরিবারকে হত্যা করা হবে মর্মে ভয় দেখিয়ে লক্ষীকুন্ডু গ্রামে নিয়ে মৃত. ছন্নত মন্ডলের ছেলে আশার বাড়িতে রাখে ২দিন পরে আরেক জনের সহযোগিতায় ঢাকায় নিয়ে রাখে ৩দিন। ২৪শে অক্টোবর আসামী মিলন হোসেন, খোকা হোসেন, আক্কাচ মন্ডল,আক্কাচ আলীর স্ত্রী রুপভান বেগম ঝিনাইদহ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিজ্ঞ আদালত আসামি মিলনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রধাণ করেন আর বাকি আসামিদের জামিন প্রদাণ করেন। এঘটনায় ভিকিটিম নাসরিনের পিতা শাজাহান তার বাড়ির পাশের অপহরণে সহযোগিতাকারি মজনুর ছেলে ভাতিজা রাজ্জাক ও রাজ্জাকের স্ত্রী বিলকিস বেগম সহ বাকি আসামিদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন এখনও আসামি মিলন ও তার পরিবারের লোকজন হুমকি দিয়ে বলছে এবার শাশুড়ির পালা! শাশুড়িকেউ এবার উধাও করা হবে মর্মে প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করছে তারা।
প্রধানমন্ত্রীর পিএস পরিচয় দিয়ে প্রতরণাকারী গ্রেফতার
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানাধীন চুরামনকাঠি তিন রাস্তার মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের ০১ জন সদস্য মোঃ হোসেন আলী (২৪), পিতা- মোঃ সিরাজুল ইসলাম ওরফে সিরাজ মুন্সী, সাং-পাঁচ কাউনিয়া, থানা- শালীখা, জেলা-মাগুরাকে গ্রেফতার করা হয়। উক্ত আসামী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পিএসও-১, জনাব মোঃ সালাউদ্দিন আহম্মেদ এর পরিচয় দিয়ে যশোর সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব আনোয়ার হোসেন বিপুল এর নিকট হতে প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। চক্রটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নাম ভাংগিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণা করে আসছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীর দখল হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০২ টি মোবাইল সেট সিম উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর জেলার কোতয়ালী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ সংক্রান্তে যশোর সদর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব আনোয়ার হোসেন বিপুল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক মেরামতে ইউপি চেয়ারম্যান কবির
ঝিনাইদহ :: জনগনের দুঃখ লাঘব করতে কোন প্রকল্প ছাড়াই নিহাত ব্যক্তিগত ফান্ড থেকে ১৭ নং নলডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নলডাঙ্গা ইউনিয়নের কাচা পাকা রাস্তা গুলো চলাচলের অনুপযোগী হওয়ার কারনে ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামে গ্রামীন সড়ক ও বাজার মেরামতের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে থেকে বিকালে বিভিন্ন সড়কে ট্রাক ভর্তি ঈটের গাড়ি খানা গর্ত ভড়াটে ব্যস্থ সময় পার করতে দেখা গেছে শ্রমিকদের। প্রত্যক্ষ ভাবে তদারকিও করেছে চেয়ারম্যান কবির নিজেই। স্থানীয় জনগন বলেন,খানা,গর্ত কাদার হাত থেকে বাঁচা যাবে খুব ভাল কাজ করেছে চেয়ারম্যান সাহেব তবে কিছু জায়গা এখনো বাদ আছে। তার চিন্তা ভাবনা রয়েছে অবশিষ্ট রাস্তা গুলো তিনি মেরামত করবেন। যাতে করে তার ইউনিয়নের জনসাধারনের চলাচলে সমস্যা না হয়। সারাদিন সাধারন মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের কাজে ব্যাস্ত থাকেন। চেয়ারম্যান কবির হোসেন বলেন,জনগনকে নিয়ে চিন্তা করি সবসময় তাই নলডাঙ্গা বাজারসহ ইউনিয়নের বেশ কিছু জায়গা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল তাই এগিয়ে এসেছি। জনগনের সাথে ছিলাম থাকব সবসময়। গ্রামীন সড়ক মেরামত করার কারনে গ্রাম্য জনগনের কষ্ট অনেকটাই কমবে এমনটি মনে করে স্থানীয় জনগন।
ঝিনাইদহে হরিজন ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সভা
ঝিনাইদহ :: শেখ হাসিনার বাংলায় উচ্ছেদের কোন ঠাই নাই শ্লোগানে নিয়ে ঝিনাইদহে হরিজন ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সভা, মিছিল ও স্বারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে শহরের পায়রা চত্তরে ঘন্টাব্যাপী এক মানবন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের নিকট এক স্বরক লিপি প্রদান করা হয়। সেসময় তারা ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মধ্য হতে ভু’মিহীন হরিজন সম্প্রদায়ের পুনঃবাসন না করে উচ্ছেদের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা, মিছিল ও স্বারক লিপি প্রদান করেন। এসময় সংঘটনের সভাপতি রবি বাশফোড়, সম্পাদক দর্পণ বাসফোড়সহ ভুক্তভোগিরা উপস্থিত ছিলেন।
বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন
ঝিনাইদহ :: বন্ধ হওয়া পাটকল চালু, শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ, চাকুরিচ্যুত কর্মচারীদের পুনরায় কাজে ফিরিয়ে আনার দাবিতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে শহরের আরাপপুরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সংগঠনটির নেতা-কর্মীসহ পাটকল শ্রমিকরা অংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি আব্দুস সালাম শাহ, সাধারণ সম্পাদক মানববেন্দ্র দাস মিন্টু, বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ফারুক প্রমুখ। কর্মসূচিতে বক্তারা পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিল ও শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধসহ কয়েক দফা দাবি জানান।