বুধবার ● ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » সিলেটে এক যুবককে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি
সিলেটে এক যুবককে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৭নং দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের নয়াগ্রাম হালাবাদী গ্রামের শামস উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন নামের এক যুবককে বেনামি চিঠিসহ কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে এই মাসের প্রথম দিকে। গত ৫ সেপ্টেম্বর থানায় জিডি করলেও খবরটি এতদিন গনমাধ্যমকে জানানো হয়নি।
গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে তার বাড়ির পাশে কাফনের কাপড় মোড়ানো একটি চিঠিতে এ হুমকি প্রদান করা হয় বলে দাবি করেন আমিন। বেনামি ঐ চিঠিতে আমিন উদ্দিনকে সব সময় কাফনের কাপড় সাথে রাখার কথা বলা হয়। যে কোনও সময় তাকে লাশ হতে হবে এবং তার লাশ কেউ খুঁজে পাবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে জনৈক সিরাজ মাস্টারকে হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে আমিন উদ্দিন জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। চিঠির বিষয়বস্তু অনুযায়ী, প্রকাশ্যে পরিচয় না দিলেও কাফনের কাপড়ের প্রাপক ও প্রেরক একই এলাকার ব্যক্তি তেমন ইঙ্গিত মেলে। যদিও আমিন উদ্দিন দাবি করেছেন কে তাকে এ কাপড় পাঠিয়েছে তাকে তিনি চেনেন না। তবে জনৈক ব্যক্তিকে পাঠানো হাতে লেখা চিঠির বক্তব্যে এটাও পরিষ্কার, তারা পরস্পর কোনও একটি বিষয়ে আলোচনা করছিলেন এব সেখানেই তাদের মতবিরোধ ঘটে। সে আলোচনা সাক্ষাতে হয়নি এমন দাবি করেছেন আমিন। তার ভাষ্যমতে, আলোচনা হয়েছে ফেসবুকে এবং যার সঙ্গে হয়েছে সেই আইডিধারী ব্যক্তিকে তিনি প্রকাশ্যে চেনেন না। ওই আইডিধারীর নাম হানিফ আসাদী।
জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর কাফনের কাপড় মোড়ানো একটি চিঠিতে এ হুমকি পাওয়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর আমিন উদ্দিন নিজেই কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর- ২৫১) দায়ের করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২৮ আগস্ট হানিফ আসাদী নামে ফেসবুকের একটি আইডি থেকে তার নামে বিভিন্ন মিথ্যা মন্তব্য করে একটি পোস্ট করা হয়। সেই সাথে আবুল বাশার নামের আরেক আইডি থেকে পোস্টটি শেয়ার করা হয়। পরবর্তীতে তিনি হানিফ আসাদী নামের আইডির ব্যবহারকারী সম্পর্কে খোঁজ নিলেও এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি। এরপর গত ২ সেপ্টেম্বর তার বাড়িতে পাঠানো কাফনের কাপড়সহ চিঠি দিয়ে হত্যার হুমকির পর হানিফ আসাদী নামের আইডির ব্যবহারকারীই এই হুমকি দিয়েছে বলে সন্দেহ পোষণ করছেন তিনি।
এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাম চন্দ্র দেব বলেন, আমিন উদ্দিন নামের এক যুবক থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্তের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন থেকে গ্রামবাসীদের রক্ষার দাবীতে সিলেটে মানববন্ধন
সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেটের বি:বাজারের ৩নং দুবাগ, ৫নং কুড়ার বাজার ইউনিয়ন ও ৪নং শেওলা ইউনিয়ন এর কোনা শালেশ্বর, বালিঙ্গা, শালেশ্বর, দিগলবাক, কাকরদি ও ঢেউনগর গ্রামকে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের করাল গ্রাস থেকে রক্ষার দাবীতে কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন রোধ কমিটি কোনা শালেশ্বর বিয়ানীবাজারের উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ বুধবার ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক মাননববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুশিয়ারা নদী ভাঙ্গন রোধ কমিটির আহবায়ক আলী আক্তার উজ জামান চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ৪নং শেওলা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আখতার হোসেন খান জাহেদ, ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আলী ওয়াসিকুল জামাল অনি, বালিঙ্গা হাই স্কুল কমিটির সহ সভাপতি মাসুদ আহমদ খান, শাওন আহমদ চৌধুরী, ইরাদ চৌধুরী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জমির আহমদ, মাওলানা আব্দুল হামিদ, রেজুয়ান হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, ব্যবসায়ী শাহীন আহমদ, ফয়জুল হক, শাহী চৌধুরী, তরুণ আহমদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিয়ানীবাজার উপজেলার ৩নং দুবাগ, ৫নং কুড়ার বাজার ইউনিয়ন ও ৪নং শেওলা ইউনিয়ন এর কোনা শালেশ্বর, বালিঙ্গা, শালেশ্বর, দিগলবাক, কাকরদি ও ঢেউনগর গ্রামকে কুশিয়ারা নদী ক্রমাগত ভাঙ্গনের মুখে এসব গ্রামের অস্তিত্ব বিলীনের পথে। কয়েকশ বছর ধরে এই খরস্রোতা কুশিয়ারা নদীর মানুষের কয়েক হাজার একর আবাদি জমি গ্রাস করেও মাথা গোঁজার ঠাইটুকুও কেড়ে নিয়েছে। এসব কারনে অনেকে বাড়িঘর নির্মাণ করে অন্যত্র চলে গেছে। এর মধ্যে যারা নিন্মবিত্ত দিনমজুররা তাদের সহায় সম্বল ও মাথা গোঁজার শেষ সম্বল টুকু হারিয়ে অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। গ্রামে অন্য জমিতে আশ্রয় না পেয়ে শহরের কলোনিতে আশ্রয় গ্রহণ করে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। গ্রামবাসী কাছে দ্রুত বাধ নির্মান ও নদী শাষন করে তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য এবং হাজার হাজার গ্রামবাসীকে রক্ষা করতে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সহ সংশ্লিষ্ট দফতরের সুদৃষ্টি কামনা করছি।