সোমবার ● ১২ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » আত্রাইয়ে চাঞ্চল্যকর রফিকুল হত্যার রহস্য উদঘাটন
আত্রাইয়ে চাঞ্চল্যকর রফিকুল হত্যার রহস্য উদঘাটন
নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি :: নওগাঁর আত্রাইয়ে চাঞ্চল্যকর আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে আত্রাই থানা পুলিশ। পুলিশ এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১জন কে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃত হলো উপজেলার খোলাপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সুমন হোসেন (২৫)। গ্রেফতারকৃত সুমন পুলিশের নিকট এ হত্যাকান্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক চাঞ্চল্যকর জবানবন্দী দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারকৃত সুমনের দেওয়া তথ্যমতে, কয়েক বছর আগে আত্রাই বেলি ব্রিজের উত্তরপার্শে এম আর এস সু গ্যালারী দোকান করার সময় সুমন দু’লক্ষ টাকা ধার নেই রফিকুল ইসলামের কাছে থেকে। এর মধ্যে এক লক্ষ টাকা সে পরিশোধ করে বাঁকি এক লক্ষ টাকা আজ কাল করে বছর পেরিয়ে গেলে টাকার জন্য চাপ দিলে গত ১০ অক্টোবর টাকা দেওয়ার দিন ধার্য্য করে সুমন। দিন ধার্য্য করে গত ৫ অক্টোবর সোমবার সুমনসহ চারজন গোপন মিটিং করে টাকা যেন না দিতে হয় সেজন্য রফিকুলকে হত্যার পরিকল্পনা করে। টাকা দেওয়ার ধার্য্যকৃত দিন গত ১০ অক্টোবর রাত্রি আনুমানিক সারে ৮টার দিকে সুমন মোবাইল করে তার দোকান হতে টাকা নিয়ে যেতে বলে রফিকুলকে। এর মধ্যে দোকানের একটি শার্টার বন্ধ এবং আরেকটি অর্ধেক নামিয়ে রেখে রফিকুল দোকানে ঢোকামাত্র ঐ শার্টার নামিয়ে তারা কয়েকজন মিলে রফিকুলের হাত-পা ও মুখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বস্তাবন্দি করে দোকানের নিচে কয়েক ঘন্টা গোডাউনে রাখে। রাত্রি গভীর হলে বস্তাবন্দি লাশ আত্রাই নদীতে ফেলে দেয়।
ওসি আরো বলেন, নিহত হাজী রফিকুল ইসলামের স্ত্রী দৌলতুন্নেছা বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এবং আমরা হত্যার সাথে জড়িত সুমনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। এবং গ্রেফতারকৃত সুমনকে সোমবার দুপুরে নওগাঁ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রচার-প্রচারণায় সরগরম আত্রাই-রাণীনগর
নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার অঙ্গিকার স্থানীয় আ.লীগের
আত্রাই :: আগামী ১৭অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনের উপ-নির্বাচন। জাতীয় সংসদ উপ-নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নওগাঁ-৬ (রাণীনগর-আত্রাই) আসনের জনপদ। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উৎসবে পরিণত হয়েছে শহর থেকে শুরু করে গ্রামাঞ্চলগুলোতে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। প্রতিদিনই নির্বাচনী এলাকার পাড়া-মহল্লায় চলছে মাইকিং ও প্রচার-প্রচারণা। আর পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নির্বাচনী এলাকা। প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে নওগাঁ-৬ আসন।
তবে স্থানীয়রা মনে করছেন, উপ-নির্বাচনে মূল লড়াই হবে দেশের সবচেয়ে দুটি বড় দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীর মধ্যে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া অপর দল ন্যাশনাল পিপলস্ পাটি তেমন নেই প্রচার-প্রচারণা ও লোকবল। তাই এই ছোট দলকে আমলে নিতে চাইছেন না ভোটাররা।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলালের পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীক ও বিএনপি’র মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী শেখ রেজাউল ইসলাম রেজু’র পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা জোড়েশোড়ে প্রচারণা করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন এ আসনের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী নিজেরাই ও তাদের লোকজন।
এছাড়াও এ আসনে ন্যাশনাল পিপলস্ পাটির ইন্তেখাব আলম রুবেল আম প্রতীক নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আম প্রতীককে মাঠে বেশি দেখা যাচ্ছে না। এলাকাবাসি জানিয়েছেন, হটাৎ দু’একজন তার সমর্থককে নিয়ে চলছে তার প্রচারণা।
নৌকা ও ধানের শীষের প্রতীকের প্রচার-প্রচারণায় মুখর এই জনপদের অলিগলি। সব জায়গাতেই বইছে নির্বাচনী আমেজ। তবে এ আসনে সাংগঠনিক ভাবে দলীয় নেতাকর্মী বেশ চাঙ্গা থাকায় নৌকার অবস্থান বেশ ভালই আছেন বলে জানা গেছে।
নওগাঁ-৬ আসনে আসন্ন উপ-নির্বাচন নিয়ে এলাকার সাধারণ, তরুণ ও নতুন ভোটারদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর সেবা পেতে তারা বিশ্বাসী। যিনি জনসাধারণের পাশে থাকবেন, দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও সকল বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে আগামী দিনের নেতৃত্ব দিবেন এলাকার উন্নয়ন করবেন ও যাকে তারা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে মনে করবেন তাকেই তারা ভোট দিবেন বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে এই আসনে ভোটের আমেজ ততই বাড়ছে।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ আসনের দুটি উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন মোট ভোটার ৩ লাখ ৬ হাজার ৭২৫ জন। আগামী ১৭ অক্টোবর ইভিএম পদ্ধিতিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই এই আসনের এমপি ইসরাফিল আলম মারা গেলে আসনটি শুন্য ঘোষণা করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।