মঙ্গলবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » সকল বিভাগ » অবশেষে চেয়ারম্যান রুহেল জেল হাজতে
অবশেষে চেয়ারম্যান রুহেল জেল হাজতে
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের বির্তকিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম রুহেলের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত। আজ ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা জজ রবিউল আলম বিকাল ২.৩০ মিনিটে র্দীঘ শুনানী শেষে নাজমুল ইসলাম রুহেলকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর নাজমুল ইসলাম রুহেল মনোকোপা গ্রামের মসজিদের মোতাওয়াল্লী মখলিছ আলী হত্যা মামলায় হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করলে মহামান্য হাইকোর্ট ৬ সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে জেলা জজ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। বিগত ২৪ জুন মনোকোপা গ্রামের মখলিছ আলীর ভাই ইউ/পি সদস্য ফজলু মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষের ভূমি নিয়ে বিরোধ ছিল। বিষয়টি মীমাংশার জন্য এক সালিশের আয়োজন করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল সালিশ বৈঠকে না গিয়ে মারামারিতে উস্কে দেন। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ মখলিছ আলীকে হত্যা করে। এঘটনায় চেয়ারম্যান রুহেলকে প্রধান আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে খুন, জালিয়াতি, নাশকতাসহ ১০/১২টি মামলা ছিল। বর্তমানে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা জজ ৪র্থ আদালতে একটি খুনের মামলা এবং অতিরিক্ত জেলা জর্জ ১ম আদালতে বিশেষ ক্ষমতায় আইনে মামলা এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট আদালতে জালিয়াতির একটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চেয়ারম্যানের অন্যায় অত্যাচারে অতিষ্টিত হয়ে প্রতিবাদ সভা এবং বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করা হয়। জামিন শুনানীতে ছিলেন জেলা জজের পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, বাদী পক্ষে ছিলেন এডভোকেট এএসএম গফুর, এডভোকেট শাহ মশাহিদ আলী, এডভোকেট সালেহ আহমদ হীরা, এডভোকেট মঞ্জুর এলাহী সামী। আসামী পক্ষে ছিলেন, সিনিয়র আইনজীবি এডভোকেট রেজাউল করীম, এডভোকেট এটিএম ফয়েজ, এডভোকেট সোহেল চৌধুরী, এডভোকেট আতিকুর রহমান প্রমুখ।
বিশ্বনাথে নিখোঁজের একদিন পর লাশ উদ্ধার
বিশ্বনাথ :: বিশ্বনাথে ‘নিখোঁজের’ একদিন পর ডোবা থেকে রবিউল ইসলাম (১২) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সে উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের রহমাননগর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে ও স্থানীয় গোয়াহরি লতিফিয়া-ইর্শাদীয়া মাদরাসার তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র।
আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রামপাশা-বৈরাগীবাজার সড়কের বাল্লার ব্রিজের পাশে একটি ডোবা থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে কে বা কাহার হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে যায়।
জানা যায়, নিহত রবিউল ইসলাম গতকাল সোমবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজাখুজি করেও তাকে না পাওয়ায় ওই দিন বিকেলে বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে স্থানীয় রামপাশা-বৈরাগীবাজার সড়কের বাল্লার ব্রিজের পাশে একটি ডোবায় রবিউল ইসলামের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন একজন কৃষক। খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
নিহতের পিতা আকবর আলীর অভিযোগ, হত্যা করে ডোবায় তার ছেলের লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, এটি একটি হত্যাকান্ড। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
বিশ্বনাথে দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে প্রশাসনের সভা
বিশ্বনাথ :: শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে উপজেলার হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক বর্ণালী পালের সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান, কৃষি অফিসার রমজান আলী, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, এসআই ফজলুর রহমান, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল কান্তি দে, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিলু, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মানিক লাল দে, সহ সভাপতি রুপক কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বৈদ্য, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জানাইয়া পূজা মন্ডপের সভাপতি নিশি কান্ত পাল, সদর পূজা মন্ডপের সভাপতি শংকর দাশ শংকু, দশঘর হরিনাম মন্ডপের সভাপতি নন্দ লাল দে, কালীবাড়ি মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় দে, শনি মন্দির পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক কানু রঞ্জন দে, হরিনাম পূজা মন্ডপের সভাপতি নন্দ লাল বৈদ্য, শিব ও দূর্গা বাড়ি পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক বিষ্ণু দেব, ত্রি-নয়নী পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক শিল্টু বৈদ্য, সূর্যোদয় সনাতন পূজা মন্ডপের সভাপতি মিন্টু মালাকার, বৃন্দাবন জিউর আশ্রম পূজা মন্ডপের সাধারণ সম্পাদক পার্থ সারথী দাশ পাপ্পু। সভাতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সম্পাদক আবদুল মতিন, প্রচার সম্পাদক নিখিল পাল, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সদস্য আশিক আলী, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বিভাশু গুন বিভু, বিভিন্ন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের মধ্যে মলয় সোম চৌধুরী, কাবিন্দ্র কুমার দে, শ্যামল দাশ, টপেশ বৈদ্য, বিজয় বৈদ্য বারীন্ড, বিজিত পাল, সুমন দেব, কালাচান্দ বৈদ্য, পবিত্র রঞ্জন দাশ, নকুল বর্ধন, বিধান বৈদ্য, চন্দন দেব, রিপন দাশ, দিপক দাশ, অজিত বৈদ্য, হারান পাল, শিমুল মালাকার, বিষু দেব, বিকাশ দত্ত, রানা সরকার, গোপাল রঞ্জন গোস্বামী, নির্মল দেবনাথ, প্রদীপ সূত্রধর, সুজিত বৈদ্য, ভোষণ কর, সুমন কর, রিন্টু কর, সুব্রত চন্দ দে, বিজয় বৈদ্য প্রমুখ ।
উল্লেখ্য এবছর উপজেলার আট ইউনিয়নে ২৫টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২২টি মন্ডপে সার্বজনীন ও ৪টি মন্ডপে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে দূর্গাপূজা আর ২৬ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে।
এবছর দেবী দূর্গা আগমন হচ্ছে দোলায় ও গমণ করবেন গজে। ২২টি সার্বজনীন পূজা মন্ডপে সরকারি বরাদ্ধ হিসেবে ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে।
বিশ্বনাথে উপজেলা চেয়ারম্যানের বস্ত্র বিতরণ
বিশ্বনাথ :: শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার ব্যক্তিগত উদ্যোগে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলার হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মিলনায়তনে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপজেলার ২২টি সার্বজনীন পূজামন্ডপের প্রায় শতাধিক ব্যক্তির মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করেন নুনু মিয়া।
বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক বর্ণালী পাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলী, বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, হাজী মফিজ আলী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ নেহারুন নেছা, উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মানিক লাল দে, সহ সভাপতি রুপক কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বৈদ্য, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুনীল কান্তি দে, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দাশ, উপজেলা জন্মাষ্ঠমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি শংকর দাশ শংকু, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান লিলু, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সদস্য আশিক আলী, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, সদস্য নূর উদ্দিন, সাংবাদিক রোহেল উদ্দিন, কামাল মুন্না, নবীন সোহেল প্রমুখ।
বিশ্বনাথের দশঘর ইউপি নির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের পাঁচ প্রার্থী, সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদের ৪৯ প্রার্থী এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের ১১ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসের কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে এ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।
প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিক বরাদ্দের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাচন কমিশন গোলাম সারওয়ার। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
চেয়ারম্যান পদে প্রতীকপ্রাপ্তদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জুবেদুর রহমান পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এমাদ উদ্দিন খান পেয়েছেন ধানের শীষ প্রতীক, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল মান্নান পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) সামছু মিয়া লয়লুছ পেয়েছেন ঘোড়া প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপির বিদ্রোহী) আবুল হোসেন পেয়েছেন আনারস প্রতীক।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, পুরুষ ইউপি সদস্য পদে ৪৯ জন ও সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থীর মধ্যে এ প্রতীক দেওয়া হয়। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার ১৪ হাজার ১১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ২৯ জন ও নারী ভোটার ৬ হাজার ৯০৯ জন। ভোট কেন্দ্র ১০টি। আগামী ২৯ অক্টোবর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৭ সালে দেশে জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ চলাকালীন সময়ে মীরপুর ইউনিয়নের লহড়ি গ্রামের একটি অংশ জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলার ভোটার হওয়া নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে আইনি জটিলতায় উচ্চ আদালতের রায়ে নির্বাচনী কার্যক্রম আটকে যায়। সম্প্রতি আইনি জটিলতা নিরসন হওয়ায় নির্বাচন কমিশন গত ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে।
বিশ্বনাথে মামলার স্বাক্ষীর উপর আসামী পক্ষের হামলার অভিযোগ
বিশ্বনাথ :: সিলেটের বিশ্বনাথে হামলার ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষীর উপর আসামি পক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বোনের স্বামীর বাড়ি উপজেলার গোয়াহরি গ্রামে যাওয়ার পথে স্থানীয় গোয়াহরি মাদ্রাসার সামনে হামলার শিকার হন আফসান উদ্দিন (২৩) নামের এক যুবক। আহত যুবক সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউরা গ্রামের লেচু মিয়ার পুত্র আফসান উদ্দিন (২৩)। ওইদিন রাতেই তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশের এসআই দেবাশীষ শর্ম্মার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
আহত আফসান উদ্দিন জানান, তার বোন গোয়াহরি গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল করিমের স্ত্রী পপি বেগম (২৯)’র দায়ের করা জিআর ৯০/২০২০ নং মামলার স্বাক্ষী রয়েছেন। সোমবার রাতে ওই মামলার আসামি গোয়াহরি গ্রামের নজরুল (২৯), রাকিব (২৫), তাহের (২০), কাওসার (১৯)’সহ অজ্ঞাত আরও একজন তার উপর হামলা করে। এসময় অভিযুক্তরা লোহার পাইপ দিয়ে তাকে (আফসান) ব্যাপক মারধর করে আহত করে।
হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আহত আফসান উদ্দিনের বড় বোন পপি বেগম।