বৃহস্পতিবার ● ২৯ অক্টোবর ২০২০
প্রথম পাতা » গাজিপুর » গাজীপুরে তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণা নিষিদ্ধ করণীয় বিষয়ে শীর্ষক আলোচনা সভা
গাজীপুরে তামাকজাত দ্রব্যের প্রচারণা নিষিদ্ধ করণীয় বিষয়ে শীর্ষক আলোচনা সভা
মুহাম্মদ আতিকুর রহমান (আতিক), স্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) গাজীপুর জেলা শাখার আয়োজনে আজ ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাব কার্যালয়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা এবং পৃষ্টপোষকতা নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিধান বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের করণীয় শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মো. রোমান শাহ আলমের সভাপতিত্বে সভায় আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মো. বেলাল হোসেন ও গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম.এ ফরিদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সভায় তামাকজাত দ্রব্যে বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন, নাটাব এর সমন্বয়কারী ফিরোজ আলম। সভায় উপস্থিত ছিলেন নাটাব এর সমন্বয়কারী মোঃ শাহিনুর রহমান সহ গাজীপুরে কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক।
গাজীপুর জেলা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম.এ ফরিদ বলেন, আমাদের তামাকের বিজ্ঞাপনের বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। তামাক ব্যবহারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতনতা করা প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অমান্য করলে জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে এ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলকে এ বিষয়ে আরো অগ্রনী ভূমিকা পালনের আহবান জানাচ্ছি।
সভায় আলোচকেরা বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩)-এর আর্টিকেল ৫-এর আলোকে তামাকের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও প্রদর্শন এবং পৃষ্ঠপোষকতা নিষিদ্ধ হলেও তামাক কোম্পানিগুলো এই আইনকে তোয়াক্কা না করে নানা উপায়ে বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে যাচ্ছেন। আইনে বলা হচ্ছে, প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায়, বাংলাদেশে প্রকাশিত কোনো বই, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, পোস্টার, ছাপানো কাগজ, বিলবোর্ড বা সাইনবোর্ডে বা অন্য কোনোভাবে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করা যবে না। তামাকজাত দ্রব্য ক্রয়ে প্রলুব্ধ করার উদ্দেশ্যে, উহার কোনো নমুনা, বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে, জনসাধারণকে প্রদান বা প্রদানের প্রস্তাব করা যাবে না।
আলোচকেরা আরো বলেন, তামাক কোম্পানিগুলো তাদের প্রচারণার জন্য বেছে নিচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চল। নগরে কিছু ক্ষেত্রে রয়েসয়ে বিজ্ঞাপন বা প্রচারণা চালালেও গ্রাম, পাহাড়ে অনেকটা প্রকাশ্যেই সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে তাদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তামাকে উৎসাহ নয়, অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে সহজ-সরল এসব মানুষকে তামাক চাষেও উদ্বুদ্ধ করছে কোম্পানিগুলো।
সভায় জানানো হয়, ১৯৪৮ সাল থেকে নাটাব সারা দেশের অধিকাংশ জেলা শহরে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা এবং পৃষ্টপোষকতা নিষিদ্ধ ও ব্যবসা প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছে।