রবিবার ● ১ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » অপরিকল্পিত বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি
অপরিকল্পিত বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি
মো. জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:: ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিত ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিদ্যুতের তারে ক্রমেই বাড়ছে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি। ঝিনাইদহ জেলা শহরের শিল্পকলা একাডেমী, গীতাঞ্জলি সড়ক, পায়রা চত্বর, ব্যাপারিপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ পিলারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য তার। বোঝার উপায় নেই কোন সংযোগ কোথায় গেছে। বৈদ্যুতিক তারের পাশাপাশি এসব স্থানে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও কেবল লাইনের তার। ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, এসব কারণে শহরেই চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত পিলার, ট্রান্সফরমার ও বাসাবাড়িতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। বছরের শুরুর দিকে ট্রান্সফরমার থেকে শর্ট সার্কিটে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে আগুন লাগে। ঝিনাইদহ জেলা শহরের অন্যতম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র গীতাঞ্জলি সড়ক। এটি সোনার ব্যবসার কেন্দ্র রয়েছে অনেক বাসাবাড়ি। এখানেই একটি পিলার থেকে নেওয়া হয়েছে শতাধিক বিদ্যুৎ সংযোগ। জড়িয়ে আছে ইন্টারনেট ও ডিশ লাইনের তারও। শিল্পকলা একাডেমী-সংলগ্ন ট্রান্স ফরমারের চিত্রও একই। এই সড়কের একজন স্বর্ণকার পঞ্চরেশ পোদ্দার বলেন, ‘আমরা খুবই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছি। পিলারের তারগুলো যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একই ভাবে শহরের প্রতিটা জায়গায় অপরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ।’ ওই এলাকার ব্যবসায়ী এবং আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, তারা বার বার বিদ্যুৎ বিভাগকে (ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড- ওজোপাডিকো) জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তারা ঠিকমতো মেইনটেনেন্সও করে না। এই গীতাঞ্জলি সড়কে আগুন লাগলে শহরের একাংশ পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার সুমন আলী বলেন, ‘এবছর বৈদ্যুতিক কারণে শহরে আগুন লাগার ঘটনা বেশি। নেভাতে গিয়ে দেখি সংযোগস্থলে অপরিকল্পিত তারের কারণেই বেশির ভাগ আগুনের সূত্রপাত। এই সংযোগ গুলো যদি নিরাপদ করা যেত এবং পিলার বা ট্রান্সফরমার সংরক্ষিত রাখা যেত তাহলে আগুন লাগার হার একবারেই কমে যেত।’ এ ব্যাপারে ওজোপাডিকো ঝিনাইদহের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষচন্দ্র সরকার বলেন, ‘এসব তার মেইনটেনেন্সের দায়িত্ব আমাদের না।
অভিযোগ দেখে ব্যাবস্থা নিবেন বলে জানান।
পুকুরে বিষ দিয়ে ৬০ হাজার টাকার মাছ নিধন
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে শুক্রবার দিবাগত মধ্য রাতে পুকুরে বিষ ট্যাবলেট দিয়ে নিধন করেছে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ। রাতের আধারে একের পর এক দুর্বৃত্তদের হাতে মৎস নিধনের ঘটনায় উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের এখন প্রায় সর্বশান্ত। এ ঘটনায় সে শনিবার সকালে সন্দেহভাজন ৬ জনের নাম উল্লেখ করে কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। প্রায় ৫ মাস আগে দুর্বৃত্তরা কাদেরের ১০ কাটা ধরন্ত পটলের ক্ষেত কর্তন ও ৩ মাস আগে ২৮০ টি পেয়ারা গাছের চারা কেটে বিনষ্ট করেছিল। এমনি ভাবে কালীগঞ্জে রাতের আধারে গ্রামের মাঠে মাঠে সবজি ফসল ও মৎস নিধনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ পযৃন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে প্রায় ২০/২৫ টি সবজি ক্ষেত কর্তন ও মৎস পুকুরে মাছ বিনষ্টের ঘটনা ঘটেছে। থানা পুলিশের ভাষ্য, গ্রাম্য সামাজিক বিরোধের জেরেই প্রতিনিয়ত এমন জঘন্যতম ঘটনাগুলি ঘটছে। মৎসচাষী নিয়ামতপুর গ্রামের সরোয়ার মেম্বরের পুত্র আব্দুল কাদের দায়েরকৃত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তার বাড়ীর পাশেই একটি মৎস পুকুর আছে। শনিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান পুকুরে মাছ মরে ভাসছে। প্রতিপক্ষরা শত্রুতামুলক রাতের আধারে তার পুকুরে বিষটোপ দিয়ে প্রায় ৬০ হাজার টাকার মাছ নিধন করেছে। কালীগঞ্জ থানার দায়েরকৃত এজাহারের তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সৈয়দ আলী জানান, পুকুরে বিষটোপ দিয়ে মাছ নিধনের সত্যতা পেয়েছেন। এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচাজর্ (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ওই এলাকায় দুটি গ্রুপের বিরোধের জের ধরেই এমন ঘটনা ঘটছে। পুলিশ মুল রহস্য উন্মোচন করে ব্যাবস্থা নিবেন বলেও জানান তিনি।