শুক্রবার ● ৬ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » ঝিনাইদহে বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে ১০ জন আহত
ঝিনাইদহে বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে উল্টে ১০ জন আহত
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাঁচমাইল এলাকায় বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে উল্টে নারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাঁচমাইল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহ লাইন নামের একটি বাস ঝিনাইদহ থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশের খাদে উল্টে যায়। এতে বাসে থাকা যাত্রীদের মধ্যে অন্তত ১০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জোর করে হাজিরা নেন প্রধান শিক্ষক
ঝিনাইদহ :: গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ নাগরিকের দেহে মহামারি করোনা ভাইরাস সনাক্তের পর ১৪ মার্চ থেকে সারাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করে সরকার। কয়েক দফায় বাড়িয়ে আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গায়ের জোরে নিজ প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদের নিয়মিত আসা-যাওয়া বাধ্যতামূলক করেছেন ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ এসএসসি ভোকেশনালের প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম। এজন্য তিনি প্রতিষ্ঠানে খুলেছেন হাজিরা খাতা। নিজ ক্ষমতাবলে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদের প্রতিদিন সকাল ১০ টার মধ্যে উপস্থিত হয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার নির্দেশনা জারি করেছেন। আর নিজের ক্ষমতার বাহাদুরি দেখাতে শিক্ষকদের কঠোরভাবে এ নির্দেশনা মানতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানে নির্দেশিত উপস্থিতির সময় পেরিয়ে গেলেই হাজিরা খাতায় সেই শিক্ষকের নামের পাশে লালকালি দিয়ে অনুপস্থিত লেখা হয় বলেও তারা জানান। এবিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ভোকেশনাল শাখার ট্রেড ইন্সট্রাক্টর মোস্তাক আহাম্মেদ বলেন, মহামারি করোনা সচেতনতায় সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ থাকার পরেও নিয়মিত স্কুলে আসতে বাধ্য করা ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে বাধ্য করছেন ওই প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও যদি কেও সকাল ১০ টার এক মিনিট পরেও আসেন তাহলে হাজিরা খাতায় তার নামের পাশে লালকালি দিয়ে অনুপস্থিত লিখে রাখছেন। আবার ওই প্রধান শিক্ষকের পছন্দের কিছু শিক্ষক স্কুলে না আসলেও হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষরের ঘর ফাঁকা রেখে পরে স্বাক্ষর করিয়ে নেন। যা সম্পূর্ন নিয়ম বহির্ভত। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম দম্বোক্তি প্রকাশ করে মিডিয়াকর্মীদের বলেন নিয়ম থাকুক বা না থাকুক আমার ইচ্ছায় আমি করেছি। আপনারা যা ইচ্ছা তাই করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম টানু মল্লিক বলেন, শুনেছি প্রধান শিক্ষক এসব অবৈধ কাজ করছেন। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাকে আমি মৌখিকভাবে এ বিষয়ে সতর্ক করেছি। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্ত ফজলুল হক বলেন, নিয়মিত দাপ্তরিক কাজের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস খোলা রাখার সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষক ও অফিস সহকারি বা সহায়কদের জন্য এ নির্দেশনা। সব শিক্ষক বা কর্মচারিদের প্রতিষ্ঠানে আসার কোন নির্দেশনা নেই। যদি এ ধরণের কোন নির্দেশনা ওই প্রধান শিক্ষক দিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) সৈয়দা নাফিস সুলতানা বলেন, এ ধরণের কোন নির্দেশনা দেওয়ার এখতিয়ার প্রধান শিক্ষকের নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
হত্যার ৬৭ দিন পরও ধরা পড়েনি খুনিরা প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি কে ?
ঝিনাইদহ :: ঝিনাইদহের আলোচিত কারিশমা হিজড়াকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। এখন প্রশ্ন উঠেছে কারিশমা হিজড়ার আসল খুনি কে? আর কেনই বা তাতে খুন করা হলো ? তবে পুলিশ বলছে খুনিদের গ্রেফতার করা হলে মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করা যাবে। পুলিশ জানায় এ বছরের গত ৯ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলার উদয়পুর গ্রামের নিজ ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় কারিশমা (৪০) হিজড়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কারিশমা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত সুলতান আলীর সন্তান। কথিত আত্মহত্যার ধরণ দেখে পুলিশ প্রথম থেকেই সন্দেহ করে পরিকল্পিত ভাবে কারশিমাকে খুন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর পুলিশের আশংকাই সত্য হলো। এদিকে পুলিশসহ সরকারের একাধিক টিম এই হত্যার রহস্য উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। দতন্তের কাজ অনেক দুরে এগিয়েছেও। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কামাল হোসেন শুক্রবার বিকালে জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে হত্যাকারীদের সনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা পুর্নাঙ্গভাবে ডিটেক্ট করতে পারিনি। এটা নিয়ে ৪/৫টি সংস্থা একযোগে কাজ করছে। তিনি আশা করেন খুব দ্রুত ঘাতক চক্রকে ধরা যাবে। তিনি বলেন, হিজড়াদের মধ্যে দ্বন্দ, সম্পত্তি আত্মসাৎ এমনকি তৃতীয় কোন পক্ষ এই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তিনি বলেন গলায় দড়ি দিলে ঘাড়ের পেছনে দাগ থাকে না। এটা হত্যাকান্ড। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, কারশিমা হিজড়া উদয়পুর গ্রামে যখন বাড়ি তৈরী শুরু করেন, তখন একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ চাঁদা দাবী করে। এছাড়া ঝিনাইদহ ও কোটচাঁদপুরের হিজড়াদের একটি গ্রুপ তার উপর ক্ষিপ্ত ছিল। এ সব মিলিয়ে কারশিমা হিজড়াকে খুব ঠান্ড মাথায় খুন করা হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। কারিশমার বড় ভাই নুরুন্নবী বলেন, উদয়পুর গ্রামের ওই বাড়িতে কারিশমা একাই থাকতো। সম্প্রতি অন্যত্র বাড়ি তৈরী করায় শহরের টার্মিনাল এলাকার কাজল নামের এক ব্যক্তির কাছে তিনি বাড়িটি বিক্রি করার জন্য বায়না করেন। ঘটনার দিন ওই বাড়িতে ক্রেতারা গেলে তার লাশ দেখতে পায়। বিছানায় বসা অবস্থায় ফ্যানের সাথে ঝুলে ছিল কারিশমার মৃতদেহ। সম্পতি, নগদ টাকা ও গহনার কারণে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তার ভাই দাবী করেন। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। তবে খুনের ৬৭ দিন অতিবাহিত হলেও কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি।
এমপি চঞ্চলসহ পরিবারের ৩জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
ঝিনাইদহ :: মহেশপুরে ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলসহ তার পরিবারে ৩জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবার রাতে তাদের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আঞ্জুমান আরা বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস শুরু হলে স্থানীয় এমপি শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের নির্বাচনী আসনের মাঠে-ময়দানে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানার চেষ্টা করেছেন। তিনি করোনাকালীন সময়ে বিরামহীনভাবে মানুষের সেবা অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাকে ভয় না করে তিনি কাজ করে গেছেন এবং এখনও তিনি মানুষের সেবা করতে চান। বর্তমানে তিনি ভালো আছেন তবে তার স্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ। তিনি সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে স’মিল স্থাপন
ঝিনাইদহ :: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ বাজারের রাস্তার পাশে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একটি স’মিল স্থাপন করা হয়েছে। এতে সমিলের পাশে থাকা একটি স্কুলের শিক্ষাথীরা বিপাকে পড়েছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহ জেলার মধ্যবর্তী স্থানে বদরগঞ্জ বাজারটি অবস্থিত, বাজারটি অনেক বড় হওয়ায় মাঝেমধ্যেই যানজট লেগে যায়। বাজারের পাশেই হয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল ও একটি হাই স্কুল, স্কুলের ঠিক উল্টাপাশে অবৈধভাবে শুরু করেছে একটি সমিল। চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখেছে বড় বড় গাছের গুড়ি, যার কারণে বাস বা ট্রাক কে সাইড দিতে গিয়ে ছোটখাটো গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে বদরগঞ্জ বাজারে অবস্থিত আলিয়ারপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল মোতালেব বলেন স্কুলের ২০০ মিটারের ভিতরে কোন সমিল নির্মাণ করার নিয়ম নেই, করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অবৈধ এই মিলটি স্থাপন করেছে। চুয়াডাঙ্গা বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন বদরগঞ্জ থেকে একজন একটি করাত কলের অনুমোদন চেয়ে অ্যাপ্লিকেশন করেছে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন, করাতকল টির লাইসেন্স দেয়া হয়নি। যদি স্কুলের ২০০ মিটারের ভিতরে করাত কল টি স্থাপন করে থাকে তাহলে তাকে লাইসেন্স দেয়া হবে না, আর লাইসেন্স না দিলে সে করাতকল চালু করতে পারবে না, যদি চালু করে থাকে তাহলে অবৈধভাবে করাতকলটি চলছে । আর আমি বুঝতে পারছি না কিভাবে লাইসেন্স বিহীন একটি করাতকলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হল। আজকেই অবৈধ করাত কল বন্ধের জন্য করাতকল মালিকের নিকট চিঠি পাঠাবো, যদি বন্ধ না করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।