শনিবার ● ৭ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » খুলনা বিভাগ » সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠনের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন
সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠনের দাবিতে বাগেরহাটে মানববন্ধন
শেখ সাইফুল ইসলাম কবির, বাগরহাট প্রতিনিধি :: বাগেরহাটে মোংলার চৌধুরী মোড়ে সংখ্যালঘুদের সু-রক্ষা ও সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় গঠনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দরা। আজ শনিবার সকাল ১০ টায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিতো হয়। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ মোংলা শাখার সভাপতি মিহির কুমার ভান্ডারী।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বুড়িরডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উৎপল মন্ডল, হিন্দু খ্রিষ্টান বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ মোংলা শাখার সাধারন সম্পাদক উত্তম কুমার মন্ডল, পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পিযুষ কান্তি মজুমদার, মৃনাল কৃষ্ণ মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রঞ্জিত দাস, সংকর বিশ্বাস, স্বপন কুমার মন্ডল, মনি মোহন অধিকারী, হারাধন শীল, অনুপ কুমার অধিকারী প্রমূখ।
এসময় বক্তরা বলেন,এক শ্রেণীর দুষ্কৃতিকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংখ্যা লঘুদের আইডি হ্যাকড করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে। সারা দেশে গুজব ছড়িয়ে সংখ্যা লঘুদের নির্যাতন করা হচ্ছে।সংখ্যা লঘুদের বাড়ি ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে এটা আমাদের কারোই কাম্য নয়। আমরা সবাই মিলেমিশে দেশটাকে স্বাধীন করেছি। আমরা সবাই শান্তিতে থাকতে চাই।
ফকিরহাটে ইমাম পরিষদের বিক্ষোভ সমাবেশ
বাগেরহাট :: বাগেরহাটে ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় মহানবী (সা.)কে অবমাননা করায় ফকিরহাটের পিলজংগ ইমাম পরিষদের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার ৭নভেম্বর সকাল ১০ টায় উপজেলার টাউন নওয়াপাড়া মোড়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়। এসময় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন,পিলজংগ ইউনিয়ন ইমাম পরিষদের আহবায়ক আলহাজ্ব হযরত মাওঃ হেমায়েত বিন তৈয়েব,আল আমিন বিন আমীন,মাওঃ মোঃ আঃ রহিম,মাওঃ নাসির উদ্দিন,মুফতি আব্দুল হান্নান,মাওঃ ওমর ফারুক প্রমুখ।
এসময় বক্তারা ফ্রান্সের সকল পণ্য বর্জনের আহবান জানান। পরে হাজারো তওহীদী জনতাকে নিয়ে নওয়াপাড়া মোড় থেকে কাটাখালী মোড় পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করে।
মোরেলগঞ্জে সমবায় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা
বাগেরহাট :: “বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন” প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে আজ শনিবার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পালিত হয়েছে ৪৯ তম জাতীয় সমবায় দিবস। জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। পরে এ উপলক্ষ্যে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সর্ভা।
উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এ্যাড. শাহ-ই-আলম বাচ্চু। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহেনা পারভিন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন,উপজেলা সমবায় অফিসার মো.আতাউর রহমান পাটোয়ারী।
উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমবায় দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, সমবায়ী নিকুঞ্জ বিহারী, মামুনুর রশিদ টিটু।
ঐতিহ্যবাহী ষাট গম্বুজ মসজিদের পচা দিঘিতে মাছ ধরার উৎসব
বাগেরহাট :: বাগেরহাটের ঐতিহ্যবাহী ষাট গম্বুজ মসজিদের পচা দিঘিতে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতেছিলেন হাজারেরও বেশি সৌখিন মাছ শিকারি। দিনভর তারা বড়শি ফেলে মাছ ধরেছেন ওই দিঘিতে।
গতকাল শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ভোরেই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মাছ শিকারিরা দিঘির পারে ভিড় জমান। এরপর বিশাল দিঘির ১৪০টি ঘাটে শুরু হয় মাছ ধরার উৎসব। সৌখিন শিকারিরা সারাদিন বড়শি ফেলে নানা প্রজাতির শত মণেরও বেশি মাছ শিকার করেছেন।
এই আয়োজনে মাছ শিকারিদের পাশাপাশি দর্শনার্থীদেরও ঢল নেমেছিল। ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিতে ধরা পড়েছে সর্বোচ্চ ৮ কেজি ওজনের রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
স্থানীয়রা জানান, ঐতিহ্যবাহী পচা দিঘিতে মাছ শিকার করতে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, ফরিদপুর ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সৌখিন মাছ শিকারিরা এসেছেন। ঘাটপ্রতি ৮ হাজার টাকা দামের টিকিটে শিকারিরা মাছ ধরায় অংশ নেন।
বরিশাল থেকে আসা মাছ শিকারি রাজু হাওলাদার বলেন, আমরা একটি ঘাটে ৯ সদস্য বিশিষ্ট টিম মাছ ধরেছি। বৃহস্পতিবার গলাচিপায় মাছ ধরা শেষ করে, রাতেই বাগেরহাটে এসেছি। পচা দিঘিতে ভালই মাছ পেয়েছি।
ফরিদপুর থেকে আসা শিকারি সাইদুর রহমান বলেন, মাছ বেশি পাওয়া না পাওয়া কোন বিষয় নয়, মাছ ধরা যেন নেশায় পরিণত হয়েছে। আমরা যেখানেই মাছ ধরার জন্য টিকিটের খবর পাই, সেখানেই ছুটে যাই।
সুমাইয়া, রফিকুল ইসলাম, মোস্তাফিজসহ কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, সকাল থেকে আমরা মাছ ধরা দেখতে দিঘিতে এসেছি। এত বড় দিঘিতে মাছ ধরার মজাই আলাদা। একসাথে অনেক মানুষ বড়শি ফেলে মাছ ধরেছে, সারাক্ষণই কারো না কারো বড়শিতে মাছ উঠছিল, যা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে।
আয়োজকদের পক্ষে মো. পাপ্পু বলেন, মাছ শিকারিদের চাহিদা মতো সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। অংশগ্রহণকারীরা এখানে মাছ শিকার করে সাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নিয়ে আমরা এই দিঘিতে মাছ ছেড়েছি। এখানে মাছ ধরার জন্য সব সময় শিকারিরা মুখিয়ে থাকেন। তারা মাছও ভাল শিকার করেন। এবারও সর্বোচ্চ ৮ কেজি ওজনের মাছ অনেকেই পেয়েছেন।