রবিবার ● ৮ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » অপরাধ » নবীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ২ ভূয়া ডাক্তারের জেল-জরিমানা
নবীগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ২ ভূয়া ডাক্তারের জেল-জরিমানা
উত্তম কুমার পাল হিমেল,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে দুই ভূয়া ডাক্তারকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ রবিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নামের আগের ডাঃ ব্যবহারকারী কাজল দেবনাথ ও অলক চন্দ্র দত্ত নামের দুই ভূয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জেল ও জরিমানা প্রদান করেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন। এময় কাজল দেবনাথকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান ও নগদ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় করা হয়। অপর ভূয়া ডাক্তার অলক চন্দ্র দত্তকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- আদায় করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডাক্তার না হয়েও নামের আগে ডাক্তার লেখে প্রতারণা করে আসছে একটি চক্র। সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগীতায় অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এরই প্রেক্ষিতে থানার একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান শুরু করে করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন। অভিযানে নবীগঞ্জ পৌর শহরের হাসপাতাল সড়কে দেখা যায় একটি সাইনবোর্ড লেখা রয়েছে- ‘দেবনাথ মেডিকেল সার্ভিস’ এখানে শিশু রোগসহ বিভিন্ন রোগী দেখেন ডাঃ কাজল দেবনাথ। ভিতরে গিয়ে তার কাগজপত্র যাচাই বাচাইকালে বাংলাদেশের কোন সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি। তার কাছে ভারতীয় বিভিন্ন কাগজপত্র পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বেবি ফুডসহ ঔষধ বিক্রির কোন লাইসেন্স না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তার মালিকানাধীন ফার্মেসিতে ঔষধ বিক্রি করছিলেন। এসব অপরাধে কাজল দেবনাথকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে তার দেবনাথ মেডিকেল সার্ভিস নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেন।
অপর দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসূলগঞ্জ নতুন বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পার্বতী নামের ফার্মেসি চিকিৎসার নামে ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন অলক চন্দ্র দত্ত। তিনিও নামের আগে ডাঃ লেখে বড় করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। তার কাগজপত্র যাচাই বাচাইকালে তিনি স্বীকার করেন তিনি দশম শ্রেণী পর্যন্ত লেখা পড়া করেছেন। তার কাছে কোন সার্টিফিকেট না থাকায় তাকেও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। পরে তাদেরকে নবীগঞ্জ থানা পুলিশের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
দন্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন জানান, এ অভিযান শুধু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল গ্রামে গঞ্জে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এসময় অভিযানে সহযোগীতা করেন, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডাঃ চম্পক কিশোর সাহা সুমন, নবীগঞ্জ থানার এস আই সম্রাট আহমেদ।