বুধবার ● ১১ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম » রাউজানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকীর মূখে ডাবুয়া ব্রীজ
রাউজানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে হুমকীর মূখে ডাবুয়া ব্রীজ
আমির হামজা. রাউজান :: চট্টগ্রামের রাউজানের ডাবুয়া খাল থেকে ড্রেজার মেশিনে দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকীর মূখে পড়েছে কয়েকটি স্থানীয় ব্রীজ। ডাবুয়া খালের বৃক্ষভানু পুর হতে পৌর এলাকার জানালী হাট পষর্ন্ত পরিদর্শন কালে দেখা যায়, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক অবৈধ বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত। ডাবুয়া হাছানখীল এলাকার ডাবুয়া ব্রীজের গোড়ালীতে বসানো হয়েছে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন। সেখানে মাত্রা অতিরিক্ত খনন করে বালু উত্তোলন করায় ব্রীজটি এখন ঝুকিপূর্ণ। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন নামে দুই ব্যাক্তি যৌথ ভাবে অবৈধ বালু উত্তোননের সাথে জড়িত। স্থানীয় জহুর উদ্দিন ও বেলাল উদ্দিন নামে দুই ব্যাক্তি অভিযোগ করেছেন নাজিম উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন বালু উত্তোলনের ফলে তার এক একর ফসলী জমি খালের ভাঙ্গনে পড়েছে। মোহাম্মদ খালেদ নামে একজন অভিযোগ করেছেন তার জায়গার উপর জোর পূর্বক বালু মহল সৃষ্টি করেছেন তারা। তার দাবি বালু মহালের জন্য তিনি দীর্ঘদিন ধরে তার জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারছেনা। একই ভাবে বৃক্ষভানু পুর, বাঁচা মিয়ার দোকান, চিকদাইর সসদ্বীপ পাড়া ও জানালীহাট সংলগ্ন ডাবুয়া খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে দুবৃর্ত্তরা। ডাবুয়া খালে অবৈধ বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ জানান, ডাবুখালে কোন বালু মহালের ইজারা নেই। তবে আমি শুনেছি কিছু লোক অবৈধ ভাবে মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের সাথে যারা জড়িত তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা অভিযান পরিচালনা করবো।
অস্ট্রেলিয়ায় ডীনস অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী
রাউজান :: গবেষণায় কৃতিত্বপূর্ণ সফলতার জন্য অষ্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস (ইউএনএসডব্লিউ) থেকে ডীনস অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন বাংলাদেশী তিন শিক্ষার্থী। তারা তিনজনই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী । স্নাতক শেষে এই তিনজন শিক্ষার্থীই অষ্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে। অস্ট্রেলিয়ার স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডীনস অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত হওয়া তিনজন হলেন ড. সাইয়েদুল মুরসালিন, ড. আহসানুল হাবীব এবং ড. সুমনা বিশ্বাস। ড. সায়েদুল মুরসালিন ইউএনএসডব্লিউ, সিডনি এবং বাকি দুজন ইউএনএসডব্লিউ, ক্যানবেরা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী ছিলেন। ড. মুরসালিন জানান, গত ২৪শে আগস্ট ইউএনএসডব্লিউ এর নিজস্ব ওয়েবসাইটে এবং মেইলযোগে শিক্ষার্থীদের এসব নাম প্রকাশ করা হয়। তবে করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কোনো সমাবর্তনের আয়োজন করেনি। পাওয়ার সিস্টেমে অথবা পাওয়ার গ্রিডে এর যেসব যন্ত্রপাতি এবং উপকরণ যেমন (ট্রান্সফর্মার,ক্যাবল সংযুক্ত তার) ব্যবহার করা হয় সেগুলার কোনো একটি নষ্ট হয়ে গেলে সেটি পুরো সিস্টেমের উপর প্রভাব ফেলে,যেমন লোডশেডিং, ব্লাক আউট ইত্যাদি। এসব নষ্ট যন্ত্রপাতি খুলে ঠিক করে নতুন করে লাগানো যেমন কষ্টসাধ্য তেমনি ব্যয়বহুলও আর সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু কম মানের কম্পাংক প্রয়োগ করে পাওয়ার সিস্টেমে সংযুক্ত এসব যন্ত্রপাতি পরীক্ষামূলক চেক করা যায়,এতে খরচ কমার সাথে সাথে সিস্টেমে পাওয়ার লসও কম হয়,তাছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই যে কম কম্পাংক প্রয়োগের মাধ্যমে সিস্টেমের যন্ত্রপাতিগুলো কতদিন টিকসই হবে তাও জানা যায়। এমন কম ফ্রিকুয়েন্সি কিভাবে একটি পাওয়ার সিস্টেমে কাজ করে তার পুরো বিষয়টি গবেষণা করেছেন ড. মুরসালিন। ড. সাইয়েদুল মুরসালিন চুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার থিসিসের শিরোনাম ছিল Diagnostic measurement and modelling of Electrical insulation Based on very low frequency high voltage Excitation.
এদিকে ড. আহসান হাবিব চুয়েটের তড়িৎকৌশল বিভাগের ২০০৫-০৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গবেষনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমার পিএইচডি থিসিসের শিরোনাম ছিলো Efficient Algorithms for Computationally Expensive Optimization Problems. আমার থিসিসের এর মূল লক্ষ্য ছিলো গণনামূলকভাবে অত্যন্ত ব্যয়বহুল Optimization সমস্যার জন্য এমন দক্ষ এলগরিদম তৈরী করা যারা খুব অল্পসংখ্যক ব্যয়বহুল ডাটা ব্যবহার করেও উচ্চমানসম্পন্ন সমাধান প্রদানে সক্ষম। ডীনস অ্যাওয়ার্ড অর্জন সম্পর্কে ড. আহসানুল জানান,তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক কৌশলের ছাত্র হওয়ায় কম্পিউটার বিজ্ঞান সম্পর্কিত পিএইচডি যাত্রাটি প্রাথমিকভাবে আমার জন্য খুব বেশি সুখকর ছিল না। এলগরিদম ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে আমার প্রাথমিকভাবে অনেক সময় লেগে যায়। যার কারণে নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছুদিন পর আমি থিসিস জমা দিতে সক্ষম হই। স্কলারশিপ পরবর্তী ও থিসিস জমাদান পূর্ববর্তী সেই সময়টি আমার জন্য বেশ সংগ্রামমূখর একটি সময় ছিলো।অন্যদিকে ড. সুমনা বিশ্বাস চুয়েটের ২০০০-০১ শিক্ষাবর্ষের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। ডীনস পদক অর্জন সম্পর্কে তিনি জানান-আমার পিএইচডি যাত্রাটি খুব বেশি সুখকর ছিল না। একে তো বিদেশ, যেখানে সব কিছু নিজেকে একা হাতে সামলাতে হয় তার উপর আমার দেড় বছরের ছেলে, সব মিলিয়ে খুব কঠিন সময় গেছে। তবে আমার স্বামী, বাবা, বোন, ভগ্নিপতি, সর্বোপরি আমার পরিবারের অসামান্য সমর্থন, আমার চুয়েট, রুয়েটসহ সকল পরিচিতদের সাহায্য এবং আমার ছেলের আত্মত্যাগ - সবকিছু মিলিয়ে যাত্রাটার সফলতা সম্ভব হয়েছে। ড. সুমনার পিএইচডি থিসিসের সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার থিসিসের শিরোনাম ছিল Real-time Path Planning (Mission Planning) for a Swarm of Autonomous Systems. থিসিস এর মূল বিষয়বস্তু হলো চালকবিহীন একগুচ্ছ স্বয়ংক্রিয় গাড়ির সফল মিশন পরিচালনা। কিভাবে চালক বিহীন একগুচ্ছ স্বয়ংক্রিয় গাড়ি, তাদের মধ্যে কোনো রকম সংঘর্ষ ছাড়া এবং পথে কোনো রকম বাধা থাকলে তাকে সংঘর্ষ ছাড়া অতিক্রম করে কম সময়ে গন্তব্য পৌঁছেতে পারে।