সোমবার ● ১৬ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » গাইবান্ধা » গাইবান্ধায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ সেমিনার
গাইবান্ধায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ সেমিনার
সাইফুল মিলন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :: ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন বিষয়ক আজ সেমিনার সোমবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. আবদুল মতিন সেমিনারের উদ্বোধন করেন। এবারের সেমিনারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, সুরক্ষিত ভোক্তা অধিকার’।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাদিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গাইবান্ধার সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস সালাম। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন, ক্যাব ও গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি কেএম রেজাউল হক ও সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, ডিবির ইন্সপেক্টর মানসরঞ্জন দাস, বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির জেলা সভাপতি আব্দুর রশিদ প্রমুখ। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন সহকারী কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. লোকমান হোসেন। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের উপর বর্তমান সরকার সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেছে। এজন্য ২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনটি প্রণীত হয়েছে। ভোক্তাদের অধিকার ক্ষুন্ন হলে বা লংঘিত হলে এই আইনে যে কোন ভোক্তাই অভিযোগ করে অতিসহজেই আইনানুগ প্রতিকার পেতে পারে। তিনি উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রণীত এই আইন ও ভোক্তাদের অধিকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়মিত সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠানের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বেতন গ্রেড উন্নীতকরণসহ ৭ দফা দাবিতে গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারীদের কর্মবিরতি
গাইবান্ধা :: গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত ১৬-১১ গ্রেডের কর্মচারীরা পদ-পদবী পরিবর্তন ও বেতন গ্রেড উন্নীতকরণসহ ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করে। সচিবালয়ের ন্যায় নিয়োগবিধি প্রণয়নের যৌক্তিক ও ন্যায় সঙ্গত দাবি বাস্তবায়নের নিমিত্তে নির্দেশনা সুপারিশ ২০০১ সাল থেকে অদ্যাবধি দাবি সমূহ বাস্তবায়িত না হওয়ায় বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারি সমিতি বাকসস জেলা শাখা এই পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। একযোগে বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনারের (ভুমি) কার্যালয়ে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
এই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ১৫ নবেম্বর থেকে ১৯ নবেম্বর, ২২ নবেম্বর থেকে ২৬ নবেম্বর, ২৯ নবেম্বর থেকে ৩০ নবেম্বর এবং ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টায় হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পূর্নদিবস কর্মবিরতি এবং ব্যানার পোস্টারসহ অফিস চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।
কর্মবিরতি চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাকাসস জেলা শাখার সভাপতি মো. শামীম হায়দার, সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান নাহিদ, জেলা প্রশাসকের গোপনীয় সহকারী মজিবুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, আকতারুজ্জামান স্বপন, সিএ রেজাউল ইসলাম, হাবিব রহিম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত স্থায়ী কমিটির ২০১৩ সালের ৭মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় কতিপয় সুপারিশ করা হয়। কিন্তু আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। মাঠ প্রশাসনে কর্মরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের পদবী পরিবর্তনের দাবি বাস্তবায়িত হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) এর সভাপতিত্বে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের ২০১৪ সালের ৪ নবেম্বরের সভার সুপারিশ, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটির ২০১৮ সালের ৭ম সভার নির্দেশনা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়িত হয়নি। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন বাস্তবায়িত না হওয়া সংক্রান্ত চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারির পত্রের নির্দেশনাও বাস্তবায়িত হয়নি।