রবিবার ● ২২ নভেম্বর ২০২০
প্রথম পাতা » চট্টগ্রাম বিভাগ » চিম্বুক পাহাড়ে আলোচিত হোটেল স্থাপনের বিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
চিম্বুক পাহাড়ে আলোচিত হোটেল স্থাপনের বিষয়ে বান্দরবান জেলা পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
বান্দরবান প্রতিনিধি :: বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ে আলোচিত ৫ তারকা হোটেল স্থাপনের বিষয়ে পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আজ রবিবার ২২ নভেম্বর সাড়ে ৯ টায় বান্দরবান জেলা পরিষদ কনফারেন্স রুমে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে চিম্বুক পাহাড়ে পর্যটন হোটেল নির্মাণের উদ্যোগকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পক্ষ মানববন্ধন কর্মসূচিসহ বিভিন্ন অযুক্তিক প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। হোটেল নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত জায়গাটির আশেপাশে কোন পাড়া বা অতীতে কোনো ঘরবাড়ি ছিল না। তর্কিত জমিটি লামা উপজেলাদীন নাইতং পাহাড় ৩০২ নং মৌজার অন্তর্ভুক্ত। গত (২৮ ফেব্রুয়ারি) ২০১২ তারিখে ৪৩০ নং স্বারকমূলে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রশাসনিক অনুমোদনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন প্রেরণ করা হয়। পরে পার্বত্য এলাকার ভূমি বন্দোবস্ত কার্যক্রম স্থগিতাদেশের স্বত্বাধিকারী না হওয়ায় বন্দোবস্ত মামলাটি নিষ্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে মন্ত্রণালয় হতে জানানো হয়। ফলে পরিষদের ভোগ দখলীয় জমিটি পরিষদের নামে বন্দোবস্ত গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থেকে যায়। পরবর্তী ২০১৮ সালে স্থানীয় পর্যটন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিষদের ন্যস্ত হলে পরিষদের নিজস্ব উদ্যোগে নাইতং পাহাড়ে হটিকালচারের পাশাপাশি পর্যটন শিল্প উন্নয়নের জন্য রাস্তা নির্মাণ ও ছোট ছোট উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সদর দপ্তর ৬৯ পদাতিক বান্দরবান সেনানিবাসের প্রস্তাব ও অনুরোধের প্রেক্ষিতে (১ জানুয়ারি) ২০১৮ তারিখ হতে (৩১ ডিসেম্বর) ২০৫৫ সাল পর্যন্ত ৪০ বছরের জন্য যথারীতি উভয়পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সম্পাদন করা হয়। উভয়পক্ষের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিতে সুনির্দিষ্ট ১৮টি শর্তাবলী প্রতিপালনের বাধ্যবাধকতা রাখা হয়। এমনতো অবস্থায় একপক্ষ চায়না পার্বত্য বান্দরবানে আন্তর্জাতিক মানের কোন হোটেল মোটেল বা পর্যটন হোক। তাই স্বার্থন্বেষী এই মহলটি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা মারমা। তিনি সাংবাদিকসহ সুশীল সমাজের সকলকে এই বিষয়ে সজাগ থাকারও অনুরোধ জানান। সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবনে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।